রবিবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » রাজশাহী » জয়পুরহাট সদর থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে পালিয়েছে
জয়পুরহাট সদর থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে পালিয়েছে
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
সীমাহিন দূর্নীতি, অনিয়ম করে জয়পুরহাট সদর থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনরোস থেকে বাঁচতে বিচারের ভয়ে দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করে পলিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো: তৌহিদুল ইসলাম।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অত্র বিদ্যালয়ে এসএসসি ২০২৪ বিদায়ী শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কল্পে ৩৭ হাজার টাকা এসি ক্রয় বাবদ প্রদান করলে তা ক্রয় করা হয় নি। ২০২০ সালে বিদ্যালয়ে দোয়া মাহফিল আয়োজনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ২শ’ টাকা হারে আদায় করা হয় মাহফিল অনুষ্ঠিত না হলেও পরবর্তীতে টাকা প্রধান শিক্ষক আর ফেরত প্রদান করে আত্মসাৎ করেছেন। ২০২২ সালে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড বাবদ ১শ’ ৫০ টাকা নিলেও আইডি কার্ড প্রদান করেননি। ২০২২ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ৬ জন শিক্ষক কর্মচারীকে অন্যায় ভাবে দাবিয়ে রাখার জন্য কারণ ছাড়ায় শোকজ করে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করে প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে। প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৮১ সাল থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক, প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসককে বাদ দিয়ে ২০২৩ সালে কমিটি গঠনের সময় আওয়ামীলী দলীয় মেয়র তার চাচাতো ভাইকে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে সভাপতি করেন। এছাড়াও ওই কমিটিতে অন্যান্য পদে ফরম নেওয়ার পরও নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের ছাড়া নিজ দল আওয়ামীলীগ এর প্রভাব ও তৎকালীন জয়পুরহাট মেয়র মোস্তাক ও তার দলীয় বাহিনীকে পাঠিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেন প্রধান শিক্ষক। এভাবেই দলীয় প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ও সভাপতি পৌর মেয়রকে ব্যবহার করে অস্বচ্ছ অনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে স্বচ্ছ কাগজ পত্র বানিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়ে নেন। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সনদপত্র বিতরণে বিধি বহির্ভূত ভাবে ৩শ’ টাকা করে রশিদ ছাড়া গ্রহণ করে বিদ্যালয় ফান্ডে জমা না দিয়ে সমদয় টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। দলীয় প্রভাব ক্ষমতার অপব্যবহার ও দাপট দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে প্রতিষ্ঠানে। এত কিছুর পরও খান্ত হন তিনি। তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে বলৎকার করার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করে জেলা প্রশাসক আদালতে মামলা দায়ের করলে (নারী ও শিশু নির্যাতন) আদালত আদেশে জেল খাটেন। আওয়ামী রাজনীতির সক্রিয় সদস্য হিসাবে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২১ সালের পৌর নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে সক্রিয় থেকে ভোটে প্রভাব খাটান প্রধান শিক্ষক মো: তৌহিদুল ইসলাম।
এসব অভিযোগ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক পালিয়ে গেল কেন? আমরা তাকে খুঁজতেছি। তাকে পাওয়া মাত্র শায়েস্তা করবো এবং তার মতো দূর্নীতিবাজ, চরিত্রহীন শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে দিব না।
এ ব্যাপারে পদত্যাগকারী শিক্ষক মো: তৌহিদুল ইসলাম এর ০১৭৬৭ ৭২৯৬৮০ নাম্বারে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
বিষয়: #জয়পুরহা #পদত্যাগ #বিদ্যালয় #শিক্ষক