বুধবার ● ২২ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » গল্পঃ_অনন্য জুনানী
গল্পঃ_অনন্য জুনানী
পাশের ফ্লাটের ঐতিহ্য ভাইকে আমার বড্ড ভালোলাগে।আজ প্রায় গুনে গুনে দুবছর ধরে।আমি এইচএসসি দিয়েছি সবে।ভার্সিটি এডমিশনের জন্য প্রতিদিন কোচিং এ যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত সিড়িতে দেখা হয় তার সাথে।হয় সে উপরে উঠছে হয় নামছে।আমি ক্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকি শুধু।এদিকে সে তো এমন ভাবে যায় যেন সে আমায় দেখেইনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রি বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের একজন ছাত্র ঐতিহ্য ভাই।তাকে নিয়ে কতশত কল্পনা-জল্পনা আমার এই ছোট্ট হৃদয়ে।সেই পাষণ্ড পুরুষ কি বুঝে না?মাঝেমাঝে যে ছ্যাচড়ার মতো ব্যালকনি থেকে পাশের ব্যালকনিতে বসে বসে বই পড়া ঐতিহ্যকে দেখি একটাবারও কি বুঝতে পারে না আমি তাকে দেখছি?আমার মনের গ্রীষ্মের তান্ডবে এক পশলা বৃষ্টির ন্যায় ধরা দিয়েছিল সে তাকে কি এত সহজে ভোলা যায়?নিশ্চয় না।পুরুষটির সাথে দু একটা কথা হয়েছে।তবে সেগুলোও আমিই আগে শুরু করেছিলাম।তবে তার উত্তর ছিল শুধু হু হা।ঐতিহ্য ভাইয়ের মা মাঝেমধ্যেই আমাদের বাসায় বেড়াতে আসতেন।আমায় বেশ আদরও করতেন।আমি মনে মনে কত যে তাকে শ্বাশুড়ি মা ডেকেছি হিসেব নেই।শ্বাশুড়ি মা-কে নিয়ে ঐতিহ্যকে নিয়ে শ্বশুরকে নিয়ে কল্পনাতীতও কত সংসার সাজিয়েছি।উফফ বলার মতো না।
একদিন দোকানে বসে বান্ধবীদের সাথে চা খাচ্ছিলাম রাস্তার ওপাশে দেখি ঐতিহ্য ভাই একটা সুন্দর মেয়ের সাথে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে।অথচ আজ পর্যন্ত কখনো এভাবে হাসতে দেখিনি আমি তাকে।এমনকি মাঝে মাঝে আমি যদি জিজ্ঞাসা করতাম কেমন আছেন শুধু ভালো বলেই চলে যেতো।চোখের সামনে প্রিয় পুরুষকে অন্যজনের সাথে হেসে খেলে কথা বলতে দেখে হৃদয়ে দহন হতে শুরু করেছিল।নেক্সট পাঠ কথা কাব্য তে পাবেন। চোখ বেয়ে দুফোটা জলও মনে হয়ে গড়িয়ে পড়েছিল।এত কষ্ট বুঝি কখনো হয়নি আমার।পাশ থেকে বান্ধবী নিহা বলে উঠে,
“এই বন্তী কি হয়েছে?কাদছিস কেন?”
আমি দুচোখ মুছে উত্তর দিয়েছিলাম,
“বৃষ্টিটা থেমে গেছে।”
আমার বান্ধবীগুলো কথার মানে বুঝতে না পেরে হেসে উঠেছিল।সেদিন বাসায় এসে বেশ মনমরা হয়েছিলাম।দু চোখের সামনে যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম দুজনের হাসোজ্জল মুখখানা।
বিষয়: #অনন্য #গল্প #জুনানী