শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
৫৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রী

ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্যমন্ত্রীডলারের দাম বেড়ে গেলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আগে ডলারের যে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল সেটাই অব্যাহত থাকবে। ঈদের আগ পর্যন্ত ডলারের নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না।

২১ মে, মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্য তেলের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করব না। আশা করছি, উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। পুরনো মূল্যেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্থে পণ্যের দাম একই পর্যায়ে রাখব।

ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে। এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে টিটু বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের অ্যাডজাস্টমেন্টটা হলো দশ থেকে সতেরো টাকা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না।

কেন পড়বে না, সে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০-১২২ টাকা, একেকজন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন।

তিনি বলেন, এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, আগে যে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল, ঈদের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না। পুরনো দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।

তাহলে ঈদের পরে ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে ডলারের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করব।

বাজার মনিটরিংয়ে কী কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল, বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।

তিনি বলেন, রমজানের পর বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগ সন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরও জিনিসপত্রের দাম দুয়েক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান, সেজন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।

তিনি আরও বলেন, মনিটরিং আবার সচল করব, যেন ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো উৎপাদন কিংবা সরবরাহ করি না। আমরা মোটামুটি কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে তাদের কাছ থেকে সরবরাহ পেয়ে ভোক্তাদের কাছে নিশ্চিত করি। তাদের নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আজ যেহেতু খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন না, তাই ঈদের আগে আরেকবার বসব। সেখানে খাদ্য ও কৃষিপণ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেব।



বিষয়: #


আর্কাইভ