বুধবার ● ১০ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » গল্প:- লুসিফার
গল্প:- লুসিফার
শারিরীক চাহিদা মিটাতে লুটেপুটে নিচ্ছে তার সব কিছু লুসিফার, একটি নেশা গস্ত মেয়ের থেকে! এভাবে প্রতি রাতে নতুন নতুন মেয়ের সাথে শারীরিক চাহিদা মেটাতে থাকে লুসিফার? আজকে যেনো তার চাহিদা মিটছে না? এদিকে মেয়েটির অবস্থা খুবই খারাপ। লুসিফারের এমন হিংস্রতার কাছে নেশা কেটে গেছে মেয়েটির অনেক আগে, এখন যেনো মনে হচ্ছে মেয়েটা মরে যাবে। শারীরিক চাহিদার উত্তেজিত অবস্থায় খুব মজা লেগেছে এখন মনে হচ্ছে মরে যাবে??
–আর পারছি না প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন?
এভাবে মেয়েটা আকুতি মিনতি করতে লাগলো, বাঁচার জন্য,
-আমার মন যতক্ষণ ভরবে না ততক্ষণ তোর রেহাই নেই বুঝলি! যদি চেচামেচি করিস তো এখনি তোর কলিজা বের করে খেয়ে নিবো! আমার কাজ হয়ে গেলে আমি ছেড়ে দিবো!
(বলেই আবার হিংস্রতা শুরু করে দেয় মেয়েটির উপর)
মেয়েটি আর সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে, কিন্তু সেদিকে লুসিফারের কোনো খেয়াল নেই! সে মেতে উঠেছে না’রীর ছোঁয়াত চাহিদা মিটাতে..
একটা সময় মেয়েটি জ্ঞান হাঁড়া অবস্থায় মারা যায়।
লুসিফারের যখন চাহিদা মিটে যায় তখন মেয়েটির উপর থেকে উঠে যায়, হাত টেনে পেন্টের পকেট থেকে সিগারেট পেকেটটি নিয়ে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে মুখে নেয়,
সিগারেট খেতে খেতে মেয়েটির দিকে তাকায়, মেয়েটি উলঙ্গ অবস্থায় একি ভাবে পরে আছে কোনো লড়ছর নেই, তা দেখে মুচঁকি হাসে লুসিফার আর বলতে থাকে..
-এমন কোনো মানব নেই, যে আমার নেশার পাহাড় পরিপূর্ণ করা অব্দি জীবিত থাকতে পারে! মানব জাতি এ-তোটাই দূর্বল।
ফজরের আজান শুনা যাচ্ছে চারপাশ থেকে, আজানের সুর শুনে অদৃশ্য হয়ে যায় লুসিফার,
একটি নাইট ক্লাবে সকাল ১০ টা বাজে রুম মেট আসে রুম ঠিক করার জন্য, ভিতরে যারা আসে তাদের ডেকে তুলে দিয়ে রুম ঠিক করার জন্য। কেনোনা রাত ৯ টা থেকে নাইট ক্লাবে পার্টি শুরু হয়, রাত ১২ টা পযর্ন্ত পার্টি চলে। এরপর নেশাগত অবস্থায় যারা থেকে যেতে চাই তাদের জন্য স্পেশাল রুম আছে, তাঁরা সেখানে রুম বুকিং করে থেকে যায়, আর যারা শারীরিক চাহিদা মেটাতে চাই নেশাগত অবস্থায় তাদের জন্যও স্পেশাল রুম আছে।
সকাল ১০ টা পযর্ন্ত সময় এরপর প্রতিটি কাস্টমার ইচ্ছে কৃত ভাবে চলে যেতে হবে যে যার বাসায় বিল পরিশোধ করে, আবার রাতে ৯ টা শুরু হবে।
নাইটক্লাবের মেট বয় সব রুম ঠিকঠাক করে এসে, লাস্ট যে রুমের সামনে দারাই সেটা হলো ২০৩ নম্বর রুম। প্রতিটি রুমের মতো এটারও দরজা ধাক্কা দেয় কিন্তু দরজা ভিতর থেকে লক হয়ে আছে, রুম মেট বয় মনে করে হয়তো কাস্টমার বের হবার সময় দরজা লাগানোর সময় ভিতর থেকে অটোলক হয়ে গেছে। তাই মেট বয় দ্বিতীয় চাবি যেটা সেটা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে যায় রুম ঠিকঠাক করার জন্য।
কিন্তু ভিতরে গিয়ে রুম মেট বয় চিৎকার দেয়!
এমন আচমকা চিৎকার শুনে পাশের রুম মেট বয় গুলো চলে আসে আর এসে দেখে ২০৩ নম্বরে যে রুম মেট ঢুকেছে সে পরে আছে নিচে, এটা দেখে তাঁরা সামনের দিকে তাকাই আর হয়চয় লাগিয়ে দেই, এক রুম মেট দূর দিয়ে গিয়ে ম্যানেজার কে খবর দেই,
ক্লাবের ম্যানেজার আর বাদবাকি কর্মচারি সবাই-ই ২০৩ নম্বর রুমে এসে উপস্থিত হয়।
২০৩ নম্বর রুমে গিয়ে ম্যানেজারের চোখ বড় বড় হয়ে যায়….
গল্প:- লুসিফার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত
বিষয়: #গল্প #লুসিফার