শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » জীবনযাপন » জীবনধারা পরিবর্তনে মিলবে নারীর পিসিওএস থেকে মুক্তি
প্রথম পাতা » জীবনযাপন » জীবনধারা পরিবর্তনে মিলবে নারীর পিসিওএস থেকে মুক্তি
৫৬ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জীবনধারা পরিবর্তনে মিলবে নারীর পিসিওএস থেকে মুক্তি

জীবনধারা পরিবর্তনে মিলবে নারীর পিসিওএস থেকে মুক্তিনারীদের মধ্যে পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম) বা পিসিওডির (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ) সমস্যা বাড়ছে। এটি মূলত হরমোনের সমস্যা। এই রোগের কারণে নারীর ওভারিতে সিস্ট হয়। যদিও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।

তবে নিয়মকানুন না মানলে কিংবা সঠিক চিকিৎসা না নিলে এই সমস্যা নারীর বন্ধ্যাত্বও ডেকে আনতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত নারীর ডিম্বাশয় বেশি পরিমাণে অ্যান্ড্রোজেন তৈরি করে। যদিও এই হরমোন নারীর শরীরে খুব কম থাকে, কারণ এটি মূলত পুরুষের হরমোন।

ডিম্বাণু তৈরি হওয়ার জন্য যে হরমোনের প্রয়োজন সেটি যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি না হলে, ডিম্বাণু তৈরি করতে পারে না শরীর। ফলে ডিম্বাশয়ের বাইরে ছোট ছোট সিস্ট দিয়ে একটা আস্তরণ তৈরি হয়। এ কারণে নারীর শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, মন-মেজাজ খারাপ থাকা, শরীরে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করে না, গর্ভধারণে সমস্যা ইত্যাদি।

সাধারণত কমবয়সীদের মধ্যেই এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে সন্তান হওয়ার পর কিংবা ৩০ বছর বয়সী নারীর মধ্যেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিসিওএস বা পিসিওডি মূলত লাইফস্টাইল ডিজিজ। কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়ার কারণে শরীরের হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয়।

পিসিওএস থেকে রেহাই পেতে কার্ডিও ব্যায়াম সবচেয়ে উপযোগী। প্রতিদিন সকালে ২০ মিনিট জোরে হাঁটা বা জগিং করা, সাইক্লিং, সাঁতার ও ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম এই রোগ থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। এর পাশাপাশি যোগব্যায়ামও বেশ উপকারী।

ভারতের ফোর্টিস হাসপাতালের সিনিয়র গাইনোকোলজিস্ট, গুরুগ্রাম ও কালোসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. দীপ্তি আস্থানা জানান, শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াও প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়া খাবার একেবারেই বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে। আর মিষ্টি খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। তবে ধীরে ধীরে এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।

এমন রোগীরা অবশ্যই বেশি করে শাকসবজি ও ফল খাবেন। এর পাশাপাশি আদা, হলুদ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ব্যবহার বাড়াতে হবে। ক্যামোমাইল চায়ে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব আছে, এটিও অন্তর্ভূক্ত করুন খাদ্যতালিকায়।

অন্যদিকে ফ্ল্যাক্সসিড হরমোন ফাংশন সংশোধন করে ডিম্বাশয়ের সিস্ট দূর করতে সাহায্য করে। এতে প্রদাহবিরোধী উপাদান ছাড়াও ভিটামিন বি৬ আছে, যা হরমোন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

পিসিওসের চিকিৎসায় ম্যাগনেসিয়াম খুবই কার্যকরী। এই উপাদান ডিম্বাশয়ের সিস্টের সমস্যার সমাধান করে। তাই খাদ্যতালিকায় ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার অবশ্যই রাখুন।



বিষয়: #  #  #  #


আর্কাইভ