শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
শনিবার ● ২ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বম্ভরপুরে পুলিশের সোর্সের হাতে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী আহত
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বম্ভরপুরে পুলিশের সোর্সের হাতে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী আহত
১৫৯ বার পঠিত
শনিবার ● ২ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বম্ভরপুরে পুলিশের সোর্সের হাতে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী আহত

বিশ্বম্ভরপুরে পুলিশের সোর্সের হাতে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী আহতআল হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : পুলিশের সোর্সের হাতে এক মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১লা মার্চ) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলূকাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব কাফনা গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোঃ সুনু মিয়ার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে পূর্ব কাফনা গ্রামের জিতু মিয়ার পুত্র ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী মামলাবাজ সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন,তার মা মদিনা খাতুন ও ছোট ভাই জাকির হোসেন মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী রহিমা খাতুন (৬০) এর উপর বর্বরোচিত হামলা করে। হামলাকারীরা বাঁশের লাঠি ও বটিদায়ের বারী মেরে বিধবা রহিমা খাতুনের ডান হাতে ও মাথার উপরিভাগে ডানপাশে জখম করে। জখমের পর সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন বিধবা রহিমা খাতুনের ১টি নাকফুল ও তার ছেলে মোঃ মাইনুদ্দিন এর পরিচালিত মীম ষ্টোর নামক দোকানের মালামাল বিক্রির ২০ হাজার টাকা জোরামূলে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর আশংকাজনক অবস্থায় বিধবা রহিমা খাতুনকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন,পুলিশের সোর্স বলে এলাকায় পরিচয়ধারী দেলোয়ার হোসেন সম্পর্কে আমার আপন ভাগ্না হয়। কিন্তু সে এতটাই বেপরোয়া যে,এর আগে আমাকে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করার জন্য রামদা নিয়ে রাস্তায় ওৎপেতে বসে থাকে। এ ঘটনায় গত ২৫ জানুয়ারি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ইউপি চেয়ারম্যান পর পর ২ বার তাকে বিচার সালিশে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু সে গ্রাম আদালতের উক্ত সালিশে না এসে এবং বারংবার সালিশ পঞ্চয়েত অবমাননা করে আমি ও আমার মাকে খুন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত বছরের ১৭ ফেব্রæয়ারি আমার মাতা অনুরুপ হামলার ঘটনায় বাদিনী হয়ে উক্ত দেলোয়ার হোসেনের পিতা ও মাতার বিরুদ্ধে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দায়েরকৃত অভিযোগটি বিশ্বম্ভরপুর থানার এস আই নজরুল ইসলামের কাছে তদন্তাধীন ছিল। এসআই নজরুল ঐদিন রাতে ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম শেষে থানায় ফিরে যাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করে আবারো রামদা দিয়ে আমার বিধবা মাতা রহিমা খাতুনকে খুন করার জন্য দৌড়িয়ে একই গ্রামের হাছান আলী মিয়ার বাড়ীতে নেয়। ঘটনার ব্যাপারে জখমী রহিমা খাতুন দেলোয়ার হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওসি অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এসআই তাজ উদ্দিনকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রহিমা খাতুন তিনি ও তার পরিবারের উপর হামলাকারী দেলোয়ার হোসেনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



বিষয়: #  #  #  #  #  #  #


আর্কাইভ