শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
শুক্রবার ● ১ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » ২০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ সিলেটের নিচে!
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » ২০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ সিলেটের নিচে!
৯৯ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

২০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ সিলেটের নিচে!

২০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ সিলেটের নিচে!সিলেট অঞ্চলে শীঘ্রই আরও দুটি কূপ খনন করবে জ্বালানি বিভাগ। এর একটি তেল এবং অন্যটি গ্যাসের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন- তেল ও গ্যাসের মোট হিসেবে অন্তত ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার উত্তোলনযোগ্য সম্পদ রয়েছে সিলেটের মাটির নিচে। আর সিলেটের এই সম্পদের উপর ভিত্তি করেই বাণিজ্যিকভাবে জ্বালানি তেল উত্তোলনের পথে পা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ।

এদিকে, সিলেট অঞ্চলে কার্যকর তেলক্ষেত্র গড়ে তুলতে প্রয়োজনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সিলেট (গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন)-১০ নম্বর কূপটি পুরো দেশকে জ্বালানি মজুতের ক্ষেত্রে আশাবাদী করে তুলেছে। তবে এ কূপে থাকা তেলের মজুত জানতে আরও দুমাস সময় লাগবে।

প্রাকৃতিক সম্পদের বড় মজুতপ্রবণ এলাকাখ্যাত সিলেটের এ অঞ্চল এবার নতুনভাবে তেলক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত হতে যাচ্ছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের অধীনে প্রায় সাড়ে ৮ একর জমিতে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোপ্যাক এ কূপটির খননকাজ শেষ করেছে। যেখানে তিনটি স্তরে প্রাকৃতিক গ্যাস ও একটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি তেলের অস্তিত্ব।

গত ডিসেম্বরে অনুসন্ধানের প্রাথমিক ফল পাবার পর থেকেই এ কূপটি দেশকে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার নতুন আশা দেখাচ্ছে। কূপটিতে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুত আছে, সেই তেল এখন উত্তোলনের পথে হাঁটছে সরকার। একই সঙ্গে এ জ্বালানি তেল উত্তোলনে যে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির দরকার পড়বে, সেই পথেও অনেকটা এগিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

খনি প্রকৌশলীদের দেয়া তথ্যমতে- এ কূপটির প্রায় দেড় হাজার মিটার নিচের স্তরে মিলেছে ক্রুড বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুত। বাকি স্তরগুলোর একেকটিতে মিলেছে প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় আধার। ড্রিল স্টিম টেস্ট বা ডিএসটি চলাকালে কূপটিতে স্বয়ংক্রিয় চাপে ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রাথমিক ধারণা বলছে, এখানে ১৫ থেকে ১৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের মজুত থাকতে পারে এবং গ্যাস মিলতে পারে ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত।

সম্প্রতি এ কূপটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এখানে পাওয়া অপরিশোধিত তেলের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, বাণিজ্যিকভাবে এ তেল উত্তোলনে সরকার আরও কিছু পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে।

নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এখন মূল্যায়ন চলছে। এর পরে জানা যাবে এখানে কী পরিমাণে তেল পাওয়া যাবে এবং কী পরিমাণে তেলের মজুত আছে। আমরা এরই মধ্যে একটি ড্রিল করেছি। এখন আমরা আরেকটি ড্রিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখানের তেল পাওয়ার বিষয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। কেউ বলছেন, ১১ মিলিয়ন ব্যারেল, আবার কেউ বলছেন ১৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পাওয়া যাবে। কাজেই আমরা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যায় যেতে চাই। তেলের ক্ষেত্রে এটিই হবে বাংলাদেশের বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর একটি প্রকল্প।

মজুতের সঠিক তথ্য এবং প্রয়োজনীয় সক্ষমতা আছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দরকার হলে সরকার উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, আমরা এখানে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। শেভরনের কূপ খননে আমরা দেখেছি যে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে। সুতরাং, এই বিষয়টি আসায় আমাদের এখানে সম্ভাবনার ক্ষেত্রটি ত্বরান্বিত হয়েছে। আমরা সবকিছু নিয়ে ভালো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।

বিশেষজ্ঞদের মতে- একটি বা দুটি নয়- বরং সিলেট অঞ্চলে বেশ কিছু কূপে একযোগে খনন কার্যক্রম চালালে দ্রুত সুফল মিলবে।



বিষয়: #


আর্কাইভ