শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
সোমবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » বাংলাদেশ » রিমান্ড শেষে কারাগারে ১১ রোহিঙ্গা, অপর ১১ জন পুলিশ হেফাজতে
প্রথম পাতা » বাংলাদেশ » রিমান্ড শেষে কারাগারে ১১ রোহিঙ্গা, অপর ১১ জন পুলিশ হেফাজতে
৭০ বার পঠিত
সোমবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রিমান্ড শেষে কারাগারে ১১ রোহিঙ্গা, অপর ১১ জন পুলিশ হেফাজতে

রিমান্ড শেষে কারাগারে ১১ রোহিঙ্গা, অপর ১১ জন পুলিশ হেফাজতেমিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে ১১ জনকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১২ রোহিঙ্গার মধ্যে অসুস্থ একজন ছাড়া অপর ১১ জনকে তিন দিনের রিমান্ডের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার বিকেলে ৩ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়া ১১ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার আদালতে উপস্থাপন করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার।

উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ আটকের পর বিজিবির করা মামলার শুনানি ছিল গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি)। সেই মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা ২২ জনের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একজন অসুস্থ থাকায় তাকে সেদিন আদালতে আনা হয়নি।

তিনি বলেন, দুইধাপে ২২ রোহিঙ্গাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমধাপে ১১ জন রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার পর দ্বিতীয় ধাপে বাকি ১১ জনকে আজকে নেয়া হচ্ছে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশের পর তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েক সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম উখিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। সে মামলা আরও তদন্ত ও অস্ত্রসহ কেন তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলেন, তা জানার জন্য আটককৃতদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

আসামিরা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের ৩০ বছর বয়সী মো. হোসেন আহমদ, একই ক্যাম্পের ২৩ বছর বয়সী মো. রফিক, ৩০ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ, ৯ নম্বর ক্যাম্পের ১৯ বছর বয়সী মো. জুনাইদ, একই ক্যাম্পের ২৩ বছর বয়সী মো. হারুন, ১৯ বছর বয়সী মো. কায়সার ও মো. সাবের, ১০ নম্বর ক্যাম্পের ১৯ বছর বয়সী ওসামা, ওমর ফারুক, মো. সাদেক, ইয়াসিন আরাফাত, মো. ইসমাইল ও মো. রহিম, একই ক্যাম্পের ২৪ বছর বয়সী হারুন অর রশিদ, ১১ নম্বর ক্যাম্পের ৩৮ বছর বয়সী নজু মোল্লা, ১৫ নম্বর ক্যাম্পের ১৯ বছর বয়সী সৈয়দ উল্লাহ ও হাফেজ আহমেদ, ২০ নম্বর ক্যাম্পের ১৯ বছর বয়সী মো. জোবায়ের, কুতুপালং এলাকার ৬ নম্বর ক্যাম্পের ২০ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ, একই এলাকার ৩ নম্বর ক্যাম্পের ২২ বছর বয়সী এনামুল হাসান, ২ নম্বর ক্যাম্পের ২৪ বছর বয়সী মো. রফিক ও সৈয়দুল ইসলাম এবং ৭ নম্বর ক্যাম্পের ২১ বছর বয়সী মো. আরমান।

এদের কাছ থেকে মোট ১২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এসএমজি পাঁচটি, জি-৩ রাইফেল একটি, পিস্তল দুইটি, রিভলভার চারটি। এছাড়া ১৯৮ রাউন্ড এসএমজি গুলি, ৯৮ রাউন্ড এমজি গুলি, ২৭৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১০৩ রাউন্ড জি-৩ রাইফেলের গুলি, ১৯৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ইত্যাদি।



বিষয়: #


আর্কাইভ