শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
শুক্রবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে শশুর বাড়িতে গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে শশুর বাড়িতে গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।
১০০ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে শশুর বাড়িতে গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।

আকিকুর রহমান রুমন
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে শশুর বাড়িতে গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।হবিগঞ্জের বানিয়াচংয় শশুর বাড়িতে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গিয়াছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) সকাল ১০টায় বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের (বন্দের বাড়ি, কাজীপুর) গ্রামে।
নিহত গৃহবধূ হলো ঐ গ্রামের মৃত মজম উল্লার পুত্র দুলাল মিয়ার স্ত্রী সাজনা আক্তার(২৪)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, সাজনা আক্তার শশুর বাড়ির লোকজনের অগোচরে নিজ গৃহের তিরের বাঁশের সাথে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
এদিকে নিহত গৃহবধূর দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান (ফাহমিদার) কান্নার শব্দ শুনে প্রতিবেশী মহিলা সাজনাকে ডাকাডাকি করে দরজা বন্ধ থাকায় জানালা দিয়ে চুপি দিয়ে দেখেন সাজানা বাঁশের তীরের ফাশঁ লাগানো অবস্থায় ঝুলে রয়েছেন।
এসময় তিনি শোর চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর প্রবেশ করেন এবং তাকে জিবীত দেখে লাশটি নামিয়ে নিয়ে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন এর নেতৃত্বে এসআই স্বপন সরকারসহ একদল পুলিশ দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসি(তদন্ত)আবু হানিফ।
এলাকাবাসী সূত্রে নিহত গৃহবধূ সাজনা সম্পর্কে আরও জানাযায়, সাজনা আক্তার পাঁচ-ছয় মাস গত হয় স্বামী সন্তান রেখে নিজ পিত্রালয়ে চলেযান।
এমনকি সেখানে গিয়ে স্বামীকে তিনি ডিভোর্স প্রদান করেন।
পরে বিষয়টি এলাকাবাসী মিলে পুনঃরায় তাকে স্বামীর সংসারে ফিরিয়ে আনেন।
এছাড়াও নিহত সাজনার স্বামী দুলাল মিয়া জীবীকার তাগিদে তার ভাইদেরকে নিয়ে সিলেটে রাজমিস্ত্ররীর কাজে সিলেটে অবস্থান করছিলেন।
অন্যদিকে দুলালের বয়স্ক মাতা প্রতিদিনের ন্যায় সকালের রান্নার কাজ শেষে বৌ,নাতনীকে নিয়ে খাবার দাবার করে লাকড়ি সংগ্রহের কাজের জন্য হাওরে ছিলেন এবং তার পুত্র বধূর এমন সংবাদ শুনে বাড়িতে আসেন।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
তারপরও আমরা লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছি।
এবিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়ে।
এছাড়াও তদন্ত করে কোন প্রকার ক্লো পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।



বিষয়: #


আর্কাইভ