রবিবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » যৌ*নতা আবশ্যক
যৌ*নতা আবশ্যক
-কি গো এনেছো? আজ রাতে কিন্তু পিল নিতে পারবো না।
-হ্যাঁ এনেছি কিন্তু ফুঁটো থাকলে জানি না।
হেসে উঠল সায়ন। বিয়ের তিন বছর হল। কমলিকাও সুখে আছে। সায়ন শুধু টাকা পয়সাই নয় যৌনতা ভালবাসা সবই দিয়েছে। সংসার চলছে জলঙ্গি’র মতন। কমলিকা স্কুলে পার্টটাইম করে আর সায়ন টি.সি.এস’এ যব করে। ভাল মাইনে। দু’জনের ইনকামে বেশ ভাল ভাবেই সংসার চলে। হঠাৎ একদিন সায়ন অফিস থেকে আসার পর কমলিকা বেশ মিষ্টি হেসে বললো,
-কি গো..এই মাসে না প্রিওডসটা হয়নি.!
জুতো খুলতে খুলতে সায়ন বললো,
- কত দিন হলো?
- তা প্রায় দেড় মাস।
- ওহ..! টেস্ট করেছো?
- না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুমি বাবা হতে চলেছো।
সায়ন খবরটা শুনে খুব আনন্দিত। হা হা করে হেসে বললো,
- কন্ডমে ফুঁটো ছিল?
- ধুর ইয়ারকি মেরো না।। কি গো আমি মা হবো।। ভাবতে পারছো? আমার পেটে আমার বাচ্চা আছে। আমায় মা বলে ডাকবে।
- আর আমি বাবা।। আচ্ছা রাগি বাবা হবো না ভাল বাবা হবো?
সায়ন কমলিকা দুজনেই খুশি। সায়ন ঠিক করল পরদিন সে অফিসটা কামাই করে কমলিকাকে নিয়ে যাবে গাইনোর কাছে। কমলিকা লজ্জা পেল যখন ডক্টোর নীলিমা বললেন,
- আপনি মা হতে চলেছেন।
সায়ন ডক্টোর নীলিমাকে লজ্জিত অথচ বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,
- কত দিন? কি কি করতে হবে? এখন আমি কি করবো? আমি যে বাবা হতে চলেছি…আমায় কি করতে হবে?
ডক্টোর নীলিমা সায়নের মনে অবস্থা বুঝতে পেরে বললেন,
-শান্ত হন শান্ত হন। এখন আপনার কাজ বউ এবং আপনার সন্তানের দেখাশোনা করা। এই ওষুধ , প্রেশক্রিপসন। সবথেকে ইনপরটেন্ট কথা সায়ন বাবু ,”এই কয়েক মাস সেক্সটাকে কন্ট্রোল করতে হবে।
সায়ন সবিনয়ে উত্তর দিল “অবশ্যই” বলে ডাক্টোরের সামনেই কমলিকার মাথায় একটা চুমু দিল বাড়ির পথে।
রাত হলো। গত রাতেও নৃশংস যৌনতা চলেছে বিছানায়। বিছানা থেকে উঠছে বীর্যের গন্ধ। সায়ন রাতে কমলিকার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললো,
- ও সোনা! একটু !
কমলিকা হেসে বললো,
- কি একটু! ডক্টোর কি বলল শোনো নি? এই ক’দিন হবে না।
-আচ্ছা চুমু খাই? নাইটিটা একটু নিচে নামাই?
কমলিকারও ইচ্ছা করছে সায়নের মত একটা সুপুরুষের ছোঁয়া পেতে। তাই হেসে বললো,
- আচ্ছা। কোমর ওবধি। তার নিচে না।
রাত কাটলো পরদিন সেই অফিস । সায়ন গেল টি.সি.এস-এ আর কমলিকা স্কুলে। রাতে অফিস থেকে ফিরে কথা হলো। রাতে খাবার পর শুতে যাবে,কমলিকা সায়নের ব্যাগ গোছাতে গিয়ে খুঁজে পেল কন্ডোমের প্যাকেট,স্ট্রবেরি ফ্লেবার।
- কি গো কন্ডোম কেন কিনেছো?
- ওহঃ সরি সরি। এতদিনের অভ্যাস তাই।
কমলিকা সংসার করছে তিন বছর হলো সে জানে যে , সায়ন বলতে পারছে না আসল কথাটা। সেরাতেও চুমু খেয়ে শুয়ে পরলো সায়ন। কমলিকা আগের মতন আর আদর করে না। সায়ন সারাদিন যৌনজ্বালায় ছটফট করে। খুঁটি নাটিতে ঝাগড়া বেঁধে যায়। সায়ন চায় ছেলে হোক , কমলিকা চায় মেয়ে। বিছানায় দুরত্ব বাড়তে থাকে। ঠিক পাঁচ মাস পরে, কমলিকা শোয় বিছানার একদিকে , অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে শোয় সায়ন।
রাতে যৌনতার শব্দগুলো বদলে আসলো কান্নার শব্দ। বাচ্চা হবার আগে মেয়েদের সাইকোলজিকাল একটা আমূল পরিবর্তন আসে সেটা কি করে বুঝবে একটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বাড়তে থাকলো দূরত্ব। মাঝে মাঝে রাতে বাড়ি ফেরে না সায়ন। ছ’মাসের মাথায় পেটটা বেশ ফুলে উঠলো কমলিকার। এক রবিবার সায়নের জামা কাঁচতে গিয়ে কমলিকা কলারের কাছে লিপ্টিকের দাগ ও একটা ফিমেল পারফিউমের গন্ধ আবিষ্কার করলো। কেমন যেন চুপ মেরে গেল কমলিকা। সেদিন দুপুরে ফোলা পেটটা নিয়ে বিছানায় বসে আছে কমলিকা আর সায়ন তাঁর দিকে পিঠ ফিরিয়ে আয়নায় চুল আচরাচ্ছে। সায়নের পিঠে নখের আঁচড়ের দাগ স্পষ্ট হয়ে উঠলো। কমলিকা একভাবে তাকিয়ে আঁচড়গুলোর দিকে। চোখ থেকে বড় কষ্টে বড় দুঃখে একফোঁটা নোনা জল বেড়িয়ে,গড়িয়ে পরতে লাগলো গাল বেয়ে। আম্লান গলায় কমলিকা সায়নকে জিজ্ঞাসা করলো,
- কি গো..বাচ্চাটা নষ্ট করা যাবে? আমি মা ডাক শুনতে চাই না। অ্যাবরসন করা যাবে?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত
বিষয়: #আবশ্যক #যৌ*নতা