শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
রবিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » শিরোনাম » সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রে দিতে হবে যেসব তথ্য
প্রথম পাতা » শিরোনাম » সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রে দিতে হবে যেসব তথ্য
৮৫ বার পঠিত
রবিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রে দিতে হবে যেসব তথ্য

সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রে দিতে হবে যেসব তথ্য” বিভিন্ন কারণে বাতিল হতে পারে মনোনয়নপত্র ”

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

সংসদ সদস্য হতে আগ্রহীরা ইতোমধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শুরু করেছেন। প্রার্থী হিসেবে কেউ যোগ্য হলে তাকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্রে প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকার তথ্য অনুযায়ী, প্রার্থীর মনোনয়ন পত্রে তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য যেমন প্রার্থীর নাম, ঠিকানা, বৈবাহিক অবস্থা, জন্মতারিখ, ভোটার নম্বর, ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর, ভোটার এলাকার নাম, উপজেলা, জেলার তথ্য দিতে হয়। এর সাথে আরও যেসব তথ্য দিতে হয় তা হলো-

প্রার্থীর পক্ষে প্রস্তাবকের নাম ও ভোটার নম্বর, সমর্থকের নাম ও ভোটার নম্বর, প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা দিতে হবে। হলফনামার মধ্যে প্রার্থী নিজের এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের আয়ের উৎস ও দায়ের বিস্তারিত তথ্য, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিবরণ, দায়ের হিসাব, এর আগে নির্বাচনে জয়লাভ করে থাকলে ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এবং তার কী পরিমাণ অর্জন করা হয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা, ঋণের হিসাবের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হয়।
এছাড়া হলফনামার মধ্যে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সে সম্পর্কিত নথি, বর্তমানে বা অতীতে কোন ফৌজদারি মামলা থাকলে সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যও হলফনামায় তুলে ধরতে হবে।
নির্বাচনে ব্যয় নির্বাহ করার জন্য অর্থের উৎসের বিবরণ, নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম, আয়করের তথ্য, সম্পদ ও দায় এবং বাৎসরিক আয় ও ব্যয়ের হিসাব, সম্পদের বিবরণী সম্বলিত রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ কপি এবং কর পরিশোধের প্রমাণপত্রের কপি সংযুক্ত করতে হবে। নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য তফসিলি ব্যাংকে প্রার্থীর নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং সেই একাউন্ট নম্বর ফরমে উল্লেখ করতে হবে। এটি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই করতে হবে। এই ব্যাংক হিসাব থেকেই সব নির্বাচনী ব্যয় সম্পাদন করতে হবে।
একইসঙ্গে ওই প্রার্থী যে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পাবেন সেই দলের মনোনয়নের কপি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ১৯৭২ এর ১২(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে। এসব নথির মধ্যে রয়েছে, তিনি সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক কোনো সম্পর্ক বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন কি-না সে বিষয়ক তথ্য।
জামানত হিসেবে জমাকৃত ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালান বা রশিদের কপি জমা দিতে হবে।
এর আগে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে কি-না এবং নির্বাচিত হয়ে থাকলে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। যেমন: তিনি কততম সংসদ নির্বাচনে কোন নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তার নাম ও নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
এর আগে নির্বাচিত হয়ে না থাকলে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তিনি যে নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থিতা করবেন তার নাম ও নম্বর উল্লেখ করে ওই এলাকার ১% ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা সংযুক্ত করতে হবে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণ
১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৪ নম্বর বিধান অনুসারে মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাছাইয়ের পর সেটি বাতিল বা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কিছু কারণ থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
প্রার্থীর নামে ফৌজদারি মামলা থাকলে বা প্রার্থী যদি কোনো তথ্য গোপন করেন তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।
প্রার্থী অভিযুক্ত আসামি হলে তার মনোনয়ন বাতিল হতে পারে।
প্রার্থী ঋণ খেলাপি হলে তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।
এমনকি প্রার্থী যদি মনোনয়ন পত্রে ভুলবশত: স্বাক্ষরও না করেন, তাহলেও তার বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
মনোনয়নপত্র যদি অসম্পূর্ণ থাকে, যেমন- হলফনামা কিংবা আয়কর রিটার্নের কপি সংযুক্ত করা না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে।
মনোনয়ন পত্র বাতিল হলে কি নির্বাচনের সুযোগ থাকে?
রিটার্নিং অফিসারের বিবেচনা সাপেক্ষে একজন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হলেও সেই প্রার্থীর সামনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কিছু বিকল্প রয়েছে।

রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বাতিল হওয়ার পর প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রাথমিক পর্যায়ে আপিল করতে পারেন।

নির্বাচন কমিশনও যদি প্রার্থীর আবেদন বাতিল করে দেয় তখন প্রার্থী হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবেন। হাইকোর্ট যদি তার আবেদন মঞ্জুর করেন তাহলে ঐ প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।



বিষয়: #  #  #


শিরোনাম এর আরও খবর

সাতক্ষীরায় দেড় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎহীন ৬ লাখ মানুষ সাতক্ষীরায় দেড় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎহীন ৬ লাখ মানুষ
এবারও বুক চিতিয়ে উপকূলকে রক্ষা করল সুন্দরবন এবারও বুক চিতিয়ে উপকূলকে রক্ষা করল সুন্দরবন
রেমালের প্রভাবে রাজশাহীতে ঝড়বৃষ্টি থাকবে যে কয়দিন রেমালের প্রভাবে রাজশাহীতে ঝড়বৃষ্টি থাকবে যে কয়দিন
চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা
মানবপাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই: সিআইডি প্রধান মানবপাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই: সিআইডি প্রধান
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
কুমিল্লায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কুমিল্লায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান বিজয়ী আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীতা বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান বিজয়ী আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীতা
গরিব-দুঃখী মানুষের আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা: নানক গরিব-দুঃখী মানুষের আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা: নানক

আর্কাইভ