বুধবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জয়পুরহাটে ভাইকে হত্যা মামলায় ছোট ভাইসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ভাইকে হত্যা মামলায় ছোট ভাইসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন
মোফাজ্জল হোসেন, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে বড় ভাই সালেহ মোহাম্মদকে হত্যা মামলায় ছোট ভাইসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে পাঁজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি।
সালেহ মোহাম্মদ (৬৯) হত্যা মামলার ১৪ বছর পর রায় ঘোষণার সময় আদলতে ২০ জন উপস্থিত ও ২ জন আসামির অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বিচারক। এদের মধ্যে পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আরিফুল প্রাং, আবু নাসের প্রাং, ডা: মো: শাহজাহান আলী, হাদিউজ্জামান প্রাং, আশরাফ আলী প্রাং, মোহাম্মদ আলী প্রাং, লাল মোহাম্মদ ওরফে লাল, মোহাম্মদ আলী প্রাং, জহির প্রাং, শামছুল আলম প্রাং, সায়েম উদ্দিন প্রাং, ওবাইয়দুল প্রাং, সইম প্রাং, আবু সাঈদ প্রাং, রহিম প্রাং, আবু বক্কর প্রাং, বানু বেগম, সাহেরা বেগম।
তাদের মধ্যে আদালতে সাজাপ্রাপ্তের মধ্যে ১৫ জন উপস্থিত ছিলেন। অন্য ২ জন আশরাফ আলী প্রাং ও আবু সাঈদ প্রাং পলাতক রয়েছে। আর ৫জনকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২ মে সকাল ৮টার দিাে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর চকপাড়া গ্রামে সালেহ মোহাম্মদ ফসলি মাঠ থেকে শ্যালো মেশিনের ঘর ভাঙ্গিয়া টিন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী প্রাং জমিজমা বিরোধে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তার বাড়ির নিকটে কয়েকজন দলবদ্ধ ভাবে গাছের সাথে হাত- পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে পানি খাইতে চাইলে মুখের মধ্যে মরিচের গুড়ার পানি ঢালিয়া দেয়। আসামিদের ভয়ে কেহ উদ্ধার করতে সাহস পাননি। একসময় ঘটনাস্থলেই মারা যায় সালেহ মোহাম্মদ প্রাং। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আজিজুল হক প্রাং ২০০৯ সালের ২ মে ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন।
পরবর্তীতে মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মুমিনুল হক ২০০৯ সালের ২৪ জুন এজাহার নামীয় আসামীর সাথে তিন জনের নাম তদন্তে বর্ধিত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার আদালতের বিচারক এ রায় দেন।
মামলার সরকারি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পি.পি ও এ্যাড. উদয় সিংহ এ.পি.পি। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. নন্দকিশোর আগরওয়ালা ও এ্যাড. হেনা কবির।
বিষয়: #ছোট #জয়পুরহাট #ভাই #ভাইসহ #মামলা #যাবজ্জীবন #হত্যা