বুধবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » এবার স্ত্রীসহ ১৪ বছরের কারাদণ্ড ইমরানের, কোন মামলায় জানুন
এবার স্ত্রীসহ ১৪ বছরের কারাদণ্ড ইমরানের, কোন মামলায় জানুন
আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ইসলামাবাদের জবাবদিহিতা আদালত (অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট)। খবর ডনের। বুধবার সকাল ১০টার দিকে জবাবদিহিতা আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বশির এই রায় দেন।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরান খানকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং প্রত্যেককে ৭৮ কোটি ৭০ লাখ রুপি জরিমানা করেছেন আদালত।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, ৮ ফেব্রুয়ারি হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনের মাত্র ৮ দিন আগে ইমরানের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় রায়, যা তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) নির্বাচনী লড়াই আরও কঠিন করে তুলবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দণ্ডিত হয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। আদালত রায় দেওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) পরে ইমরানের সেই সাজা স্থগিত করে। তবে পরে একটি ডিভিশন বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে ইমরানের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গত মাসে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি গহনা বিক্রি করার জন্য দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে নতুন রেফারেন্স দায়ের করে।
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি আরও অভিযোগ করেছে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার মেয়াদকালে, ইমরান এবং তার স্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিদেশি বিশিষ্টজনের কাছ থেকে মোট ১০৮টি উপহার পেয়েছিলেন।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস বা সাইফার মামলায় ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তার হাতে এমন রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য আছে যাতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা উল্লেখ আছে।
অভিযোগ রয়েছে, কূটনৈতিক তারবার্তাটি ইমরান খানের হাতে তুলে দেন সাবেক মুখ্যসচিব আজম খান। পরে তারবার্তাটি কোথায় রেখেছেন, ভুলে গেছেন বলে ইমরান খান তাকে জানান এবং বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সেটা আর ফেরত দেননি।
মঙ্গলবার রায়ের আগে বিশেষ আদালতের বিচারকও ইমরানের কাছে সেই তারবার্তা কোথায় আছে জানতে চান। জবাবে ইমরান বলেন, ‘আমি স্বীকারোক্তিতে আগেও বলেছি তারবার্তা কোথায় আছে আমি জানি না। সাইফারটি আমার কার্যালয়ে ছিল।’ ইমরানের এই বক্তব্যের পর সাজার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরানের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশী অভিযান ও মামলায় দিশেহারা পিটিআই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারচালাতে গিয়ে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও আদালতের নিষেদ্ধাজ্ঞার কারণে নির্বাচনে দলের প্রতীক ক্রিকেট ব্যাটও ব্যবহার করতে পারছেন না তারা।
বিষয়: #ইমরান #এবার #কারাদণ্ড #স্ত্রীসহ