শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
রবিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » চুয়াডাঙ্গায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, নেই সূর্যের উত্তাপ
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » চুয়াডাঙ্গায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, নেই সূর্যের উত্তাপ
৩৮ বার পঠিত
রবিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চুয়াডাঙ্গায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, নেই সূর্যের উত্তাপ

চুয়াডাঙ্গায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, নেই সূর্যের উত্তাপটানা দুইদিনের মৃদুশৈতপ্রবাহ শেষে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। চলতি শীত মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ই এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

এরই মধ্যে কয়েক দিন দেশের এবং মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। ভৌগোলিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হয় বলে মনে করেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকে বলে গণ্য করা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে, তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সে অনুযায়ী, আজ চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলার কারণে চুয়াডাঙ্গার মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে অতি প্রয়োজন ছাড়া কেও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আর এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী রবিবার, ২৮ জানুয়ারি সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।

আর সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।

গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।

সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় এবং উত্তর থেকে ধেয়ে আসা কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকায় স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোটাভাইরাস জনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

খেজুর রস বিক্রেতা হালিম মিয়া বলেন, শীত মৌসুমে খেজুর রস বিক্রি করে সংসার চলে। প্রতিদিন ফজরের নামাজ আদায় শেষে বিভিন্ন গ্রামে রস বিক্রি করি। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে সকালে বাইরে বের হতে কষ্ট হয়।

বড় বাজারের মাছ বিক্রেতা লোকমান হোসেন বলেন, তীব্র শীতে ক্রেতারা সকালের দিকে বাজারে কম আসছেন। বেলা বাড়ার পর ক্রেতারা বাজারে আসছেন। শীতে বেচাকেনা তুলনামূলক কম।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ২০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড দেখলে বুঝা যায় এ জেলায় শীতের তীব্রতা কতটা ভয়াবহ। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ জেলার গত ২০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।



বিষয়: #  #  #  #


আর্কাইভ