রবিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আবারও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়, জনজীবনে দুর্ভোগ
আবারও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়, জনজীবনে দুর্ভোগ
তীব্র ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহের পর আবারও পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে সর্বোত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের জনজীবন।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ হতে ১০ ডিগ্রির মধ্যে বিরাজ করলেও ২৮ জানুয়ারি, রবিবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় এই তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিমালয় কন্যা নামে খ্যাত পঞ্চগড়ে মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়ায় ঢেকে আছে পুরো এলাকা। কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর হিমালয় থেকে বয়ে আসাা হীম শীতল ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাত যত গভীর হয় এর তীব্রতা ততই বাড়তে থাকে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর হতে বের হয় না। বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ । হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হতদরিদ্র মানুষ। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, তাপমাত্রা ৮-৬ এর মধ্যে বিরাজ করলে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ এবং ৬-৪ তার নিচে বলা হয় তীব্র শৈত্য প্রবাহ। সেই নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। আজকে যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তা এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং গত ৫ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ অবস্থা আরও দু-একদিন থাকার সম্ভবনা রয়েছে।
জেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন জেলা প্রশাসন। এ যাবৎ জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৩ হাজার শীতার্ত হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরও শীতবস্ত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়: #জনজীবন #তীব্র #দুর্ভোগ #শৈত্যপ্রবাহ