সোমবার ● ২২ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » রেসিপি » ছুটির দিনে কী কী খাবেন
ছুটির দিনে কী কী খাবেন
শহুরে জীবনে আজকাল কেবল ছুটির দিনেই বেশির ভাগ পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ পান। তাই বাড়িতে সেদিন রান্নাটা একটু অন্য রকম হয়। কেউ কেউ আবার ছুটির দিনে বাইরে বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খান। বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণও থাকতে পারে। তাই সপ্তাহান্তে প্রায় প্রতিটা ছুটির দিনে খাওয়াটা হয়ে যায় জম্পেশ।
ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, শরীরের বাড়তি ওজন বা অন্যান্য কারণে খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করেন অনেকে। তাঁদের কেউ কেউ বলে থাকেন, সারা সপ্তাহ তো ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করলাম, কিন্তু শুক্রবারেই সব ভেস্তে গেল।
ছুটির দিনে চাইলে আপনিও রেস্তোরাঁয় বা উৎসব আপ্যায়নে নিয়ন্ত্রিত খাবার গ্রহণ করতে পারেন।
এ জন্য কয়েকটি পরামর্শ:
* ছুটির দিনের মেন্যুতে পোলাও-মাংসের মতো একটু ভালো খাবার থাকতেই পারে। বাড়িতে রান্না হলে মাংসের দৃশ্যমান চর্বি ফেলে দিন। কম তেল দিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করুন। যেমন গ্রিল, বেক বা কাবাব করার পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন। ঘি ব্যবহার করবেন না। মেন্যুতে সবজি অবশ্যই রাখবেন। আর খুব সুস্বাদু ও মুখরোচক একটা সালাদ তৈরি করুন, যা অনেকখানি খাওয়া যায়।
* যে রাতে রেস্তোরাঁয় বা নেমন্তন্ন খেতে যাবেন, তার আগে সারা দিন হালকা খাবারই খেতে হবে। রাতে মাংস খেলে দুপুরে মাছ—এই নীতি চালু করা ভালো।
* রেস্তোরাঁয় ঠিক কী ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়, আগে থেকে জেনে নিতে পারেন। অনেক রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে মেন্যুর নাম ও ছবি দিয়ে রাখে। সেখানে দেখে নিন, আপনার জন্য উপযোগী কম তেল-চর্বিযুক্ত খাবার আছে কি না।
* রেস্তোরাঁর আইটেম কার্ডে ‘ক্রিসপি’, ‘রিচ’ ইত্যাদি লেখা খাবার এড়িয়ে চলুন। বেক করা, গ্রিল করা বা সেদ্ধ (বয়েলড) আইটেম আছে কি না দেখুন। শুরুতে স্বাস্থ্যকর স্টার্টার (যেমন স্যুপ) নিন। এতে পরের খাওয়ার পরিমাণ কমে আসে। সস বা মেয়নেজযুক্ত এবং পিকলড বা স্মোক করা খাবারে লবণের মাত্রা বেশি থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
* অর্ডার দেওয়ার সময় নিজের পছন্দমতো অদলবদল করতে লজ্জা পাবেন না। ভোক্তা হিসেবে এটা আপনি করতেই পারেন। কম লবণ দেবেন বা সালাদে মেয়নেজ ড্রেসিং চাই না, কিংবা কফিতে চিনি কম—ইত্যাদি নির্দেশনা দিতে বাধা নেই। কোমল পানীয়র বদলে ফলের রস বা বরফ মেশানো পানি চান। ডেজার্টের বদলে নিন ফলের সালাদ বা দই।
* পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে যান। যত বেশি মানুষ হবে তত কম খাওয়া হবে। রেস্তোরাঁয় তিনজনের খাবার অনায়াসে চারজন খেতে পারে। বেশি বেশি অর্ডার দিয়ে ফেললে খাওয়া বেশি হবে। সবাই মিলে গল্প করতে করতে ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খান।
বিষয়: #খাবেন #ছুটি #দিন