শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
রবিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » চারদির দেখা মেলেনি সূর্যের, পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » চারদির দেখা মেলেনি সূর্যের, পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ
১০০ বার পঠিত
রবিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চারদির দেখা মেলেনি সূর্যের, পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মাঝারি মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ । আবারও জেঁকে বসেছে শীত । ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা । গত এক সপ্তাহ ধরেই এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ হতে ১২ ডিগ্রির মধ্যে বিরাজ করলেও আবারও তা কমতে শুরু করে।

চারদির দেখা মেলেনি সূর্যের, পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ১৩ জানুয়ারি, শনিবার সকাল ৯টায় তেতুঁলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস । গত চারদিন ধরে সুর্যের মুখ দেখা না গেলেও আজ দুপুরের পর একটু রোদের দেখা মিলেছে তাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ।

স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুত্রে জানা যায়, তাপমাত্রা ৮ হতে ১০ এর মধ্যে বিরাজ করলে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ , ৬ হতে ৮ এর মধ্যে বিরাজ করলে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৬ হতে ৪ অর্থবা এর নিচে আসলে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বলা হয়ে থাকে । সেই সুত্র অনুযায়ী এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মৃত্যু শৈত্য প্রবাহ । তবে দুইএকদিন তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানা গেছে ।

হিমালয় কন্যা নামে খ্যাত দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত । সাথে হিমালয় থেকে প্রবাহিত হওয়া হীম শীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাত যত গভীর হয় এর তীব্রতা ততই বাড়তে থাকে। পরদিন সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে । প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর হতে বের হয় না । কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। দিনের বেলা খানিকটা সময়ের জন্য ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও বিকেল হতে না হতেই তা আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে ।

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিন্ম আায়ের মানুষ বিশেষ করে ভ্যান চালক, রিক্স্রা চালক যারা রয়েছেন তাদের আয় ইনকাম অর্ধেকে নেমে এসেছে । ঠান্ডার কারণে যাত্রী একবারে কমে গেছে । সকাল সকাল বাসাথেকে রিক্সা ভ্যান নিয়ে বের হলেও ঠান্ডা কুয়াশার কারণে তারা ভাড়া মারতে পাড়ছেন না । একশগজ দুরেও ঠিক ভাবে দেখা যায়না । এতে করে দুর্ঘটনারও ঝুঁকি রয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছ

প্রতিদিন শহরের প্রেসক্লাব মোড়, বাজারের বাখোপট্ট্রিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল সকাল বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হন বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার কিছু শ্রমিক । কাজ পেলেই তারা সেই কাজ করে থাকেন । নির্বাচন ও ঠান্ডায় কারণে তাদেরও কাজ একবারে কমে গেছে । অনেকে কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বাসায় পিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়া কৃষি শ্রমিক যারা রয়েছেন তাদেরও ভোগান্তির শেষ নেই । কারণ সকাল সকাল তাদের কাজে যোগ দিতে হয় । ঠান্ডার কারণে সঠিক সময়ে তারা কাজে যোগ দিতে পারছেন না । এজন্য তাদেরও কাজের সমস্য হচ্ছে ।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ উপজেলার শিতার্তদের মাঝে প্রায় ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে । শীতবস্ত্রের জন্য আরও চাহিদাপত্র অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।



বিষয়: #  #  #  #  #  #


আর্কাইভ