শুক্রবার ● ১২ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » শিরোনাম » সিলেটে ‘কাউকে না জানিয়ে’ ইউরোপে পাড়ি জমালেন ১১ শিক্ষক-শিক্ষিকা!
সিলেটে ‘কাউকে না জানিয়ে’ ইউরোপে পাড়ি জমালেন ১১ শিক্ষক-শিক্ষিকা!
‘কেয়ার ও স্টুডেন্টস’ ভিসায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়।
‘আইইএলটিস’ কোর্স সম্পন্ন করে ‘কেয়ার বা স্টুডেন্টস’ ভিসায় সুবাদে চাকরিতে থাকাবস্থায়ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রবাসে পাড়ি জমানোয় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ যাওয়া ওই ১১ জন শিক্ষক তাদেরকে কিছু না জানিয়ে প্রবাসে যাওয়ার বিষয়ে জানাতে পেরে উপজেলা শিক্ষা অফিস ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বিষয়গুলো অবহিত করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। আর এরই মধ্যে প্রবাসে যাওয়ার ফলে বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকা হেকুরাগাঁও-পাঠানচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা ও বাহাড়া-দুবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাছলিমা আক্তারকে চাকরিচ্যুত করেছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। চাকরি চ্যুত হওয়া ওই ২ জন ছাড়া প্রবাসে যাওয়া বাকী ৯ জনের মধ্যে ৩ জন শিক্ষক ও ৬ জন শিক্ষিকা। আর ওই ৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয়ে পাঠদানে বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে উপজেলা শিক্ষা অফিস লিখিত সুপারিশ রয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহনের অপেক্ষায়।
উম্মে হাবিবা ও তাছলিমা আক্তারসহ অপর ৯ শিক্ষক-শিক্ষিকারা হলেন- টুকেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুহানা ইয়াসমিন, বরুনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সায়েদ খান, মিয়াজানেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিরিন বেগম, দ্বীপবন্ধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছাদিয়া বেগম, হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছাম্মত বেদানা বেগম, চারিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কায়েলা বেগম, শাহজালাল পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফুলজাহান বেগম, পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নাল উদ্দিন ও ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম শিবলী।
এদের মধ্যে টুকেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুহানা ইয়াসমিন ও ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম শিবলী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এসকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনানুমোদিত ভাবে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি যে দিন থেকে তারা অনুপস্থিত আছেন, সেদিন থেকেই তাদের বেতনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর ওই ১১ জনের মধ্যে ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ২ জনকে চাকুরী চ্যুত করেছেন। বাকীদের ব্যাপারে করণীয় আদেশ কপি এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।
বিষয়: #শিক্ষক-শিক্ষিকা! #সিলেট