বৃহস্পতিবার ● ১৬ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রযুক্তি » ঝড়ের গতিকেও হার মানাবে ইন্টারনেটের স্পিড, ভারতেও শুরু হচ্ছে স্টারলিঙ্কের জার্নি
ঝড়ের গতিকেও হার মানাবে ইন্টারনেটের স্পিড, ভারতেও শুরু হচ্ছে স্টারলিঙ্কের জার্নি
“High Speed Internet: ঝড়ের গতিকেও হার মানাবে ইন্টারনেটের স্পিড, ভারতেও শুরু হচ্ছে স্টারলিঙ্কের জার্নি High Speed Internet: ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ভারতে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা শুরুর ঘোষণা করেছিল ইলন মাস্কের সংস্থা। অনলাইন বুকিংও শুরু করে দিয়েছিল সংস্থা। কিন্তু পদ্ধতিগত কারণে স্টারলিঙ্ককে ব্যবসা শুরুর অনুমতি দেয়নি মোদী সরকার”
কলকাতা: মহাকাশে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি ইন্টারনেট পৌঁছবে বাড়িতে, অফিসে। ৮ বছর আগে সেই পথ দেখিয়েছিল ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক (Elon Musk’s Starlink)। বহু জটিলতা আর জট কাটিয়ে এবার ভারতেও শুরু হচ্ছে স্টারলিঙ্কের জার্নি। স্টারলিঙ্ক ভারতে এলে আপনার – আমার কী লাভ? প্রথমত, ভারতে এখন নেটের সর্বোচ্চ যে গতি তার থেকে বহুগুণ দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা মিলবে। মানে ধরুন ৫জি-তে একটা মুভি ডাউনলোড করতে যদি ২০ মিনিট লাগে, তা হলে স্টারলিঙ্ক সময় নেবে ৪ থেকে ৫ মিনিট। দ্বিতীয়ত, দেশের যে সব এলাকা, বিশেষত পাহাড়ে, প্রত্যন্ত গ্রামেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট মিলবে। এতে কী সুবিধা হতে পারে, সেটা তো আমাদের সবারই জানা।
আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রত্যন্ত এলাকায় টেলিমেডিসিনই একমাত্র ভরসা। টেলিমেডিসিন ক্লিনিক চলে, কারণ স্টারলিঙ্ক আছে। লোয়ার অরবিটে থাকা স্যাটেলাইট মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দেয় স্টারলিঙ্ক। টাওয়ার তৈরি বা ব্যান্ডউইথের উপর নির্ভর করার ব্যাপার নেই। তাই স্টারলিঙ্কের এত নামডাক। মোদী সরকার সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষে বা নতুন বছরের প্রথমে ভারতে স্টারলিঙ্ককে ইন্টারনেট পরিষেবা শুরুর অনুমতি দেওয়া হতে পারে। ইলন মাস্কের সংস্থা জানাচ্ছে, অনুমতি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে তৈরি তাঁরা।
সূত্রের খবর, প্রথম পরিষেবা এমন একটা এলাকা থেকে চালু হবে, যেখানে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছয়নি বা পৌঁছলেও ইন্টারনেট সিগন্যাল পাওয়া কঠিন। ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট ভারতে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা শুরুর ঘোষণা করেছিল ইলন মাস্কের সংস্থা। অনলাইন বুকিংও শুরু করে দিয়েছিল সংস্থা। কিন্তু পদ্ধতিগত কারণে স্টারলিঙ্ককে ব্যবসা শুরুর অনুমতি দেয়নি মোদী সরকার। এদেশের তথ্য প্রযুক্তি আইনে ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থাকে দেশেই ডেটা সেন্টার তৈরি করতে হয়। ভারতের সার্ভারের ডেটা মজুত করতে হয়। স্টারলিঙ্কের বক্তব্য ছিল, তাঁরা নিজেদের ডেন্টা সেন্টারে অন্য কাউকে অ্যাকসেস দেয় না। ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে নতুন ডেটা সেন্টার তৈরিও তাঁদের নীতি নয়। এই জটিলতায় সেই সময় ভারতে পরিষেবা শুরু করতে পারেনি স্টারলিঙ্ক। সূত্রের খবর, মোদীর আমেরিকা সফরে বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের কথা হয়। তারপরই ভারতে ডেটা স্টোরেজ তৈরি করার শর্ত মেনে নেয় ইলন মাস্কের সংস্থা। জিও স্যাটেলাইট ও এয়ারটেল ওয়ান ওয়েব স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের বাজার ধরতে নেমেছে। স্টারলিঙ্ক ভারতে এলে স্বভাবতই ইন্টারনেটের দুনিয়া প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
বিষয়: # #ইন্টারনেট #ভারত #স্পিড