শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
বুধবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » গল্পঃশাস্তি
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » গল্পঃশাস্তি
৯৭ বার পঠিত
বুধবার ● ১০ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গল্পঃশাস্তি

গল্পঃশাস্তিআমি কয়েকদিন ধরে খেয়াল করছি,মাঝ রাতে আমার দুলাভাই আমার ঘরে আসে…আমার বিছানার পাশ থেকে এসে ঘুরে-ফিরে চলে যায়.আপাকে এখনো বলিনি..কি কারণে আসে সেটা না বুঝে তো আর আপাকে বলা যায় না…
আজকে রাতে আমি বিষয়টা আরো ভালো ভাবে বুঝে দেখবো,এই চিন্তা মাথায় নিয়ে রাতে তাড়াতাড়ি খেয়েই আমি ঘুমতো গেলাম…
আপা জিজ্ঞাসা করলো যদিও, কেন এতো আগেই ঘুমোতে যাচ্ছি….
আমি উত্তর দিলাম,”মাথা ব্যাথা করছে আপা..
মাথা ব্যাথার ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো…”
উত্তর দেওয়ার সময় আড়চোখে খেয়াল করলাম,
দুলাভাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে…

আমি বুঝতে না দিয়ে আমার ঘরে চলে গেলাম..
বিষয়টা কেমন জানি অস্বস্তিকর..আগে ক্লিয়ার করে বুঝে নেই,তারপর আপাকে বলবো..

ঘরের লাইট বন্ধ করে,মাথার পাশে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে শুয়ে পড়লাম..
ঘুম তো আসবে না,শুধু শুধু চোখ বন্ধ করে থাকা..
কিছুক্ষণ পরে,আপা আসলো ঘরে..
এসে আমার মাথার কাছে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো…
আপার আদরটা খুব ভালো লাগছিলো..
আপা জিজ্ঞাসা করলো–
“মাথা ব্যাথা কমেছে…?”
আমি মুচকি হাসছিলাম–
“নাহ..তুই হাত দেওয়াতে বেড়েছে…”

আপা মাথায় আলতো করে একটা টোকা দিয়ে বললো–
“যাহ..মিচকা শয়তান একটা…”
আপার এই ভালোবাসার সময়টাতে চেহারা যেন ঠিক মায়ের মত হয়ে যায়..কি যে শান্তি লাগে,দেখলে….!
আমি আপাকে জিজ্ঞাসা করলাম–
“আপা,তুই আমাকে খুব ভালোবাসিস..তাই না..??
আপা হেসে উঠে উত্তর দিলো–
” রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েকে আবার কেউ ভালোবাসে নাকি….!!”

দুজন মিলে খুব হেসে উঠলাম…
তারপর আপা কাথাটা মেলে আমার গায়ে জড়িয়ে দিয়ে, টেবিল ল্যাম্প টাও বন্ধ করে দিয়ে আমার গায়ে কয়েকটা আস্তে থাবা দিয়ে ঘুমিয়ে যেতে বললো…আমিও মাথা নেড়ে গুড নাইট জানালাম আপাকে…

সব ঘরের লাইট বন্ধ করে আপারাও বোধ হয় শুয়ে পড়েছে..আমার একটু একটু ভয় করছে..কেমন জানি বিরক্তও লাগছে..এভাবেই রাত এক টা বেজে গেল…
ঘড়ির কাটা টিকটিক করতে করতে রাত আরো গভীর হচ্ছে..আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি…
ঠিক সেসময়ে আমার ঘরে দুলাভাইয়ের উপস্থিতি টের পেলাম..যদিও খুব নিঃশব্দে এসেছে সে…
আমি চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকলাম বিছানায়…

আস্তে আস্তে মনে হলো,দুলাভাই আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে..কারণ দুলাভাইয়ের ট্রাউজার আমার এক আংগুলের কোণায় বাঁধছিলো..তবুও আমি স্থির হয়ে আছি..এরপর দুলাভাই,তার একটা হাত দিয়ে আমার মুখের সামনে ধরে খেয়াল করতে লাগলো আমি ঘুমোচ্ছি কিনা…কাব্য পেইজে সকল পাঠ দেওয়া হবে
আমি ঘুমের ভান করেই থাকলাম..
তারপর হঠাৎ দুলাভাই আমার ঘাড় বরাবর হাত দিলো..আমার সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠলো..ছিঃ দুলাভাই এমন করছে কেন আমার সাথে..!!
ভয়ে আমার গা শিউরে উঠলো…
আমি সাথে সাথেই একটু আড়মোড়া ভাব করে উঠলাম…আর দুলাভাই আমার থেকে ছিটকে সরে গেল…ঘুমের ঘোরে থাকার মতন গলা করে,আমি
আস্তে আস্তে বলে উঠলাম–
“উহু…পানির পিপাসা লেগেছে খুব….”

এই কথা শোনার সাথে সাথেই দুলাভাই জলদি করে বোধ হয় চলে গেল..আমিও তাড়াহুড়ো করে উঠে গিয়ে ডাইনিং এর লাইট দিলাম..দিয়ে দেখি দুলাভাইও দাঁড়িয়ে পানি খাচ্ছে..খুব খুব রাগ হচ্ছিলো উনার চেহারা দেখে…তবুও কিছু বুঝতে দেওয়া যাবে না এই কারণে,আমি ঢুলতে ঢুলতে জিজ্ঞাসা করলাম-
“দুলাভাই এতো রাতে??”
দুলাভাই উত্তর দিলো–
“তোমার আপা পানি নিয়ে যেতে ভুলে গেছে,তাই আমি পানি খেতে আসলাম..”

মিথ্যুক..মনে মনে ধিক্কার দিলাম তাকে…
আমার মত আমি পানি খেয়ে,নিজের ঘরে এসে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে দিলাম..।
খুব খারাপ লাগছে আমার..মনে হচ্ছে যেন,নিজের ভেতরই মিশে যাচ্ছি লজ্জায়..
দুলাভাই সুবিধার মানুষ না..
আপার চেহারা মনে হতেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলাম..।।
কোনভাবে রাত টা পার করলাম..জেগেই ছিলাম..কখনো কেঁদে,কখনো ঘরের মধ্যে পায়চারী করে এভাবেই কাটলো রাত…
সকাল সাতটা বাজলে দুলাভাই অফিস চলে যায়..তারপর আপাকে সব খুলে বলবো..।
এই অপেক্ষায় ঘর থেকে একবারও বের হলাম না..সাতটা বাজার সাথে সাথেই বের হয়ে গেলাম ঘর থেকে আপার কাছে……

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত



বিষয়: #  #


আর্কাইভ