শনিবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » বিশ্ব » মিয়ানমারের একটি শহর দখলের দাবি বিদ্রোহীদের
মিয়ানমারের একটি শহর দখলের দাবি বিদ্রোহীদের
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা জাতিগত সংখ্যালঘুর সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটির বাণিজ্য প্রদেশ হিসেবে খ্যাত শানের একটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে।
১৬ ডিসেম্বর, শনিবার এই দখলের কথা জানিয়েছে তারা। আর একদিন আগে চীন প্রদেশটিতে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার কথা জানিয়েছিল।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চীন সীমান্তের পাশে অবস্থিত মিয়ানমারের শান প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে জান্তা বাহিনী ও বিরোধীদের সংঘাত আগের তুলনায় বেড়েছে। তিনটি বিদ্রোহী সংগঠন মিলিত হয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে। সেগুলো হলো- মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মি (এএ)। তাদের আক্রমণ গত অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলমান রয়েছে এখনও।
মিয়ানমারের সংখ্যালঘু এই তিন গোষ্ঠী থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত। তারা বলছে, সেনাবহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ও বাণিজ্যের ‘হাব’ হিসেবে পরিচিত সীমান্ত দখলে নেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সালে ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে এবারই প্রথম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা।
গত বৃহস্পতিবার বেইজিং জানিয়েছিল, এমএনডিএএর নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সব পক্ষই ঐক্যমতে পৌঁছেছে। তবে, এএ ও টিএনএলএর নিয়ন্ত্রণ থাকা অঞ্চলে আগের মতো লড়াই চলবে।
এএফপি বলছে, দুই সপ্তাহ আগে নামহসান শহরে আক্রমণ শুরু করে টিএনএলএ। গতকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কথা জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। টিএনএলএর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তার বনে কয়ে এএফপিকে বলেন, আমরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।
আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে টিএনএলএ। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির ঊর্ধ্বতনরা শহরটি ঘুরে দেখছেন ও বন্দি করে নেয়া জান্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন।
নামহসান শহর নিয়ে শুক্রবার রাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, শহরটিতে লড়াই চলছে।
টিএনএলএর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তার বনে কয়ের তথ্যমতে, বাণিজ্য অঞ্চলের ১০৫ মাইল এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেনাবাহিনী। অক্টোবরের ২৭ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত তিনটি গোষ্ঠী মিলে জান্তা বাহিনীর ৪২২টি বেসক্যাম্প ও সাতটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বিষয়: #নির্বাচন ২০২৪