বুধবার ● ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » শিরোনাম » কার্বন নির্গমন ৬৮ শতাংশ কমানোর বিষয়ে সম্মত ৬০ দেশ
কার্বন নির্গমন ৬৮ শতাংশ কমানোর বিষয়ে সম্মত ৬০ দেশ
যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬০ দেশ আগামী ২৭ বছরের মধ্যে (২০৫০ সালের মধ্যে) কার্বন নির্গমন ৬৮ শতাংশ কমানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর, বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ- ২৮) বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নেতারা। পরে এ বিষয়ে সম্মত হন তারা।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও রেফ্রিজারেটর থেকে নির্গত বায়ু জলবায়ু সংক্রান্ত এই সমস্যার ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ দায়ী। ২০৫০ সাল নাগাদ এর চাহিদা তিনগুণ হতে পারে। যা বৈশ্বিকভাবে উদ্বেগের কারণ হবে।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) বৈশ্বিক শীতলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শীতলতার পাশাপাশি নির্গমন কীভাবে কমানো যায়। এতে তিনটি রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমটি হলো সুশৃঙ্খলভাবে পর্যায়ক্রমে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বন্ধ করা; দ্বিতীয়টি হলো অপ্রতিরোধ্য জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদনকে পর্যায়ক্রমে বন্ধের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানানো; আর তৃতীয়টি হলো বিকল্প জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি এড়ানো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুলিং ইকুইপমেন্টের বিদ্যুৎ খরচ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন কমপক্ষে ৬০ শতাংশ হ্রাস পাবে, এনার্জি গ্রিডের ওপর চাপ কমবে এবং ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করবে।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনজার এনডারসেন বলেন, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা থেকে সবাইকে রক্ষা করতে, খাদ্যের গুণমান ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং ভ্যাকসিনগুলোকে স্থিতিশীল রাখতে শীতলকরণ খাতকে অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু এই বৃদ্ধি অবশ্যই জ্বালানির স্থানান্তর এবং আরও তীব্র জলবায়ু প্রভাবের খরচের হিসাবে কোনো অংশে কম নয়।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১৭৬০ সালের পর ইউরোপে যখন শিল্পবিপ্লবের সূচনা তখন থেকেই প্রকৃতির বিপদের শুরু। তখন থেকেই পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণ শুরু হয়। এর ফলে দিন দিন বাতাসের উষ্ণতা বেড়েছে; হয়েছে বায়ুদূষণ। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২১০০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অন্তত ১ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে একবিংশ শতাব্দী শেষে পৃথিবীর বুক থেকে প্রায় অর্ধশত দেশ সমুদ্রপৃষ্ঠে তলিয়ে যাবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, বন্যা, খরা, দাবানল বেশি হচ্ছে। এ কারণে এবারের জলবায়ু সম্মেলনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
প্রথম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জার্মানির বার্লিনে ১৯৯৫ সালে। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কপ- ২১ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো প্যারিস চুক্তিতে অনুমোদন দেয়। এই প্যারিস চুক্তি ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় রাষ্ট্রগুলোর করণীয় নির্ধারণে একটি যুগান্তকারী চুক্তি।
বিষয়: #কার্বন #নির্গমন #শতাংশ