মঙ্গলবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভাড়া করা লোকজন দিয়ে নাশকতা রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না: হারুন
ভাড়া করা লোকজন দিয়ে নাশকতা রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না: হারুন
হরতাল-অবরোধ ডেকে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে নাশকতার অভিযোগ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ৯ দফায় ১৮ দিন অবরোধ আর তিনদিন হরতাল ডেকেছে। পরিত্যক্ত গাড়িগুলোতে আগুন দিচ্ছে। কিন্তু হরতাল-অবরোধ ডেকে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে থেকে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে গাড়িতে আগুন ও ককটেল নিক্ষেপ করা রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।
নাশকতার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হরতাল-অবরোধে জনগণ সাড়া দেয়নি দাবি করে ডিবিপ্রধান বলেন, হরতাল ও অবরোধ ডেকে রাস্তায় নামা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা তাদের সমাবেশ করতে পারে। আমরা আগেও দেখেছি, ২০১৪ সালে এ রকমভাবে তারা রাস্তায় বোমা নিক্ষেপ করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেছে। জনগণ তাদের এমন কর্মসূচিতে সাড়া দেয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের দিকনির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি।
তিনি বলেন, পাশাপাশি আমাদের রুটিনমাফিক কাজও করছি। যারা প্রতারণা করছে, ডাকাতি করছে, ওয়ারেন্টভুক্ত ও তালিকাভুক্ত আসামি তাদের গ্রেফতার আমাদের রুটিনওয়ার্ক। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে, সম্পত্তি রক্ষা করতে আমরা পুলিশ বাহিনী, ডিবি পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তায় থেকে রাত-দিন কাজ করি। উদ্দেশ্য একটাই, স্বাভাবিক যান চলাচলে কেউ যেন বাধা সৃষ্টি না করে। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে কাজ করবে, তাদের সম্পত্তি রক্ষা করবে। কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন কোনো হামলা করতে না পারে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ৯ দফায় ১৮ দিন অবরোধ আর তিনদিন হরতাল ডেকেছে, তাদের এসব কর্মসূচি সাধারণ মানুষ মানছে না। মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। অবরোধ ডেকে ঘরে বসে ভাড়া করে লোক এনে বিচ্ছিন্নভাবে আগুন লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। দিনশেষে মানুষের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না বলেই মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলাচল করছে।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, আনুপাতিক হারে বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি দেশ। ১৮ কোটির কাছাকাছি মানুষ। সে তুলনায় যদিও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে অনেক কম, তারপরও প্রত্যেক পুলিশ সদস্য রাতদিন পরিশ্রম করছে।
হারুন আরও বলেন, মানুষ তো অবরোধ ও হরতাল মানছে না। মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। অবরোধ ডেকে ঘরে বসে ভাড়া করা লোক দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে হয়ত আগুন লাগছে, দিনশেষে মানুষের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। তারা রাস্তায় চলাচল করছে।
নাশকতাকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যেসব দুষ্কৃতিকারী তথাকথিত অবরোধের নামে জানমালের ওপর ককটেল বিস্ফোরণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের অনেককে গ্রেফতার করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অনেকের নামও আমরা পেয়েছি। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করব।
বিষয়: #নির্বাচন ২০২৪