মঙ্গলবার ● ২৮ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » জীবনযাপন » অবাস্তব আকাঙ্ক্ষায় বিষাদগ্রস্ত হচ্ছেন না তো!
অবাস্তব আকাঙ্ক্ষায় বিষাদগ্রস্ত হচ্ছেন না তো!
বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ঘটনা আপনার অখুশিকে প্রভাবিত করতে পারে। জীবনে হতাশা, দুঃখ সহ আরও নানা কারণে নিজের খুশি থাকার পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কিছু সাধারণ জিনিস থাকে যা প্রায়শই অসন্তুষ্টি নিয়ে আফসোস। ফলে জীবনের খুশিই হারিয়ে যায়্-
অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা: নিজে অথবা সমাজের দ্বারা সফলতার মানদন্ড নির্দিষ্ট থাকলে তা বয়ে আনবে হতাশা। কারণ, আপনি একটা নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়েন।নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে মনমতো ফলাফল করতে না পরলে আপনি নিজেকে অপারগ ভাবেন এবং জীবনে অখুশি ভর করে।
তুলনা: অন্যের সাথে অনবরত নিজেকে তুলনা করতে থাকলে শিঘ্রই হতাশা চলে আসে। সবার কিছু বিশেষত্ব থাকে। কিন্তু অন্যের সফলতা,বিশেষ গুণ বা সাফল্য থেকে অনেকেই আফসোসে নিজস্বতা হারাতে থাকেন।
কাজের চাপ: অতিরিক্ত কাজের চাপ, বিশ্রামহীনতা, ছুটির ঘাটতির কারণে অবসাদ চলে আসে এবং জীবনের ভারসাম্য ব্যাহত হয়।
জীবনসঙ্গী: জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই জীবন সঙ্গী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। অসুস্থ সম্পর্ক মানুষের জীবনকে অসুখী করে। এছাড়াও, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার পরিজনের সাথে অশান্তিও মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। তাদের সহযোগীতাই আপনাকে সবচেয়ে সুখী মানুষ বানায়।
আর্থিক অবস্থা: আর্থিক দুরবস্থা জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলে। বকেয়া বিল, ধার-দেনা ও অনিশ্চিত ভবিষৎ আর্থিক অবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করলে খুশি থাকা যায় না।
মানসিক অবস্থা: মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে সুখী জীবনযাপন সম্ভব নয়। মানসিক অসুখকে অবহেলা করলে তা ধীরে ধীরে আরও বাড়তে পারে। ডিপ্রেশন, ট্রমা, উদ্বেগ সহ অন্যান্য রোগে আক্রা্ন্ত থাকলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
নেতিবাচক চিন্তা: নিজেই নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা করতে থাকলে একসময় নিজের উপর ঘৃণা চলে আসা শুরু হতে পারে। নিজেকে বাজে ভাবে বিচার করা ও সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকুন।
শারীরিক সুস্থতা: শারীরিক সুস্থতা সুখী জীবনের পূর্বশর্ত। কথায় বলে, সুস্থ দেহে সুন্দর মন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা বা শরীরে ব্যথা হতাশ করে ফেলতে পারে। অথবা তৈরি করে পারে বিরক্তি ও মানসিক অস্থিরতা। তাই যথা সম্ভব সুস্থ থাকার চেস্টা করুন। অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকুন।
বিষয়: #অবাস্তব #আকাঙ্ক্ষা #বিষাদগ্রস্ত