শনিবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চান ব্যবসায়ীরা
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চান ব্যবসায়ীরা
“এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে”
অবরোধ ও হরতালের রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, “হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে একদিনে অর্থনীতিতে ৬,৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। আমরা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চাই। হরতাল বা অবরোধের রাজনীতি চাই না। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই।”
রাজনৈতিক বিবাদমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে এ সপ্তাহে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, “এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সহিংসতার শঙ্কা বাড়াচ্ছে। এতে বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ায় ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষকে বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে।”
হরতাল ও অবরোধের কারণে কাঁচামাল সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শিল্পখাতে উৎপাদন কমে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হতে পারে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আসন্ন রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ ও রমজান পর্যন্ত শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে; এর প্রভাব পড়েছে শিল্পখাতে। এখন রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে আবারও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে এই খাতকে। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। কেননা স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অসম্ভব।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশউদীয়মান অর্থনীতির দেশ। এখানে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণে যদি বিদেশি ক্রেতারা নেতিবাচক ইঙ্গিত পান- তা মোটেই শুভকর কিছু হবে না। সেক্ষেত্রে রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শিল্প খাতের টিকে থাকার পাশাপাশি তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য অপরিহার্য।”
সরকার ও বিরোধী দলের প্রতি হরতাল-অবরোধের পরিবর্তে বিকল্প কর্মসূচি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এই নেতা।
বিষয়: #নির্বাচন ২০২৪