শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
শুক্রবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » রাজনীতি » সুনামগঞ্জ ২ দিরাই-শাল্লা আসনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন এনজিও ব্যক্তিত্ব জামিল চৌধুরী
প্রথম পাতা » রাজনীতি » সুনামগঞ্জ ২ দিরাই-শাল্লা আসনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন এনজিও ব্যক্তিত্ব জামিল চৌধুরী
৬৪ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২৪ নভেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুনামগঞ্জ ২ দিরাই-শাল্লা আসনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন এনজিও ব্যক্তিত্ব জামিল চৌধুরী

সুনামগঞ্জ ২ দিরাই-শাল্লা আসনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন এনজিও ব্যক্তিত্ব জামিল চৌধুরীআল হেলাল, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জ ২ নির্বাচনী এলাকা দিরাই-শাল্লা আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন প্রখ্যাত এনজিও ব্যক্তিত্ব জামিল চৌধুরী।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি,জামাত, জমিয়ত,ইসলামী আন্দোলন ও কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন বর্জন করার কারণে দিরাই-শাল্লা আসনে বিদ্যমাণ প্রার্থী সংকটে যে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জনগনের প্রত্যাশা পূরনের জন্যই তিনি প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।

এছাড়া সরকার বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীরা ইতিমধ্যে তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য জোরালো তাগিদ দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

জানা যায়, দিরাই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রবল প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে ব্যক্তি ইমেইজের এই প্রার্থী ইতিপূর্বে দলীয় ২ প্রার্থীর কাছে পরাজয় বরন করেন।

কিন্তু সেই পরাজয় তাকে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে টলাতে পারেনি। এখনও তার ব্যক্তি ইমেজ বলবৎ রয়েছে। বিগত দিনগুলিতে দিরাই-শাল্লা তথা বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নে মন্ত্রীদের বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আব্দুল মোমেন ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এমএ মান্নান এমপির সুপারিশ সহকারে সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন করে তিনি সকল মহলের কাছে তার আলাদা গ্রহনযোগ্যতা গড়ে তুলেছেন।

দিরাই-শাল্লার ভোটাররা তাকে একজন কাজের লোক হিসেবে জানেন। এক নামে আবাল বৃদ্ধ ভনিতারা তাকে সমীহ করেন। এতদিন এই জনপদের ভোটাররা মনে করতেন সংসদ সদস্য মানেই ঢাকা থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এলেন গেলেন,কয়েকটা মিটিং করলেন,একদল কর্মী খাটালেন,কয়েকটা গ্রæপ সৃষ্টি করলেন ইত্যাদি।

কিন্তু এখন এমপি হলেই কাজ করতে হবে আর উন্নয়নে পিছিয়ে থাকা যাবেনা এমন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে ভোটাররা তাদের কাংকিত কাজের লোক খুজে বেড়াচ্ছেন।

দিরাই-শাল্লার জনপ্রিয় নেতা শীর্ষ রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও নাছির উদ্দিন চৌধুরীর পরে জামিল চৌধুরীর নাম আলটিমেটলি ভোটারদের কাছে গ্রহনযোগ্য।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মতিউর রহমানের সরাসরি ছাত্র। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রায় শতাধিক সচিব তার গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদে স্বশরীরে এসেছেন।

তার সেবামূলক কর্মকান্ডের নীরব সাক্ষী হচ্ছেন বিজ্ঞ সচিবগণসহ সরকারের উর্ধতন মহলও। তাই এসব সুসম্পর্ককে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে যান ভোটারদের প্রিয় পরিচিত সজন জামিল চৌধুরী। যার নাম একজন ভলান্টিয়ার হিসেবে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।

২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের গুজরাটের ভয়াবহ ভূজ ভূমিকম্পে গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদের একদল ভলান্টিয়ার সহকারে ২১ দিনের পূণর্বাসন কাজ সুচারুরুপে পরিচালনা করেন তিনি। ঐ সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সেই সময় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ভারতের গুজরাটের ভুজ শহর । সেদিন ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের খবর পেয়ে কেবল মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে থাকতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী।

একেবারে স্বশরীরে দুর্যোগ বিধ্বস্ত ভুজে গিয়ে বাংলাদেশী স্বেচ্ছাসেবী জামিল চৌধুরীর সাথে কাঁধে কাঁদ মিলিয়ে ‘ভলান্টিয়ার’ হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।

পুরোনো স্মৃতিচারণ করে জামিল চৌধুরী বলেন, “ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০০১ সালে গুজরাটের ভুজে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, সেটাকে আগের শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে চিহ্নিত করেন।

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ লোককে খোঁজা, জখমীদের উদ্ধার করে সেখানে হাসপাতাল খুঁজে নিয়ে যাওয়া কতটা দুষ্কর, আমি জানি না। সেখানে খাওয়া-দাওয়া, জল পান করার কোনও অবস্থা ছিলনা,হাসপাতালও ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিলো।

নরেন্দ্র মোদী ও আমি এবং আমরা তা দেখেছি। তিনি নিজে ভলান্টিয়ার হিসাবে আমাদের সাথে কাজ করেছেন। হাসপাতালে গিয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া জখমীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আবার ভূ-কম্প বিধ্বস্ত এলাকায় জীবিতদের খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন এবং একেবারে সরাইখানায় ঢুকে ‘ভলান্টিয়ার’ হয়ে সেই খাবার রান্নার তদারকিও করছেন তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জামিল চৌধুরী বলেন,২৬ জানুয়ারী ভারতের ৫২তম সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন, সকাল ০৮:৪৬-এ সংঘটিত ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ভারতের গুজরাত রাজ্যের কচ্ছ জেলার ভচাউ তালুকের চৌবারি গ্রামসহ প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম এলাকা।

ভূমিকম্পে ২০ হাজারের অধিক মানুষ প্রাণ হারায়, ১ লক্ষ ৬৭ হাজার জন আহত হয় এবং প্রায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজারটি ভবন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এই ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে একজন বাংলাদেশী ভলান্টিয়ার হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর সাথে কাজ করা তাঁর জীবনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে জানান জামিল চৌধুরী।

ভাটির জনপদে তথা বৃহত্তর সিলেটে নিবেদিত এক সমাজকর্মীর নাম জামিল চৌধুরী।

তিনি ১৯৫০ সালের ৩০ মে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল গ্রামে এক সম্রান্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম জালাল উদ্দিন চৌধূরী মাতা মরহুমা নুরুন্নেছা চৌধুরী।

১৯৬৭ সালে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষে কিছুদিন সমাজকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত থাকার ধারাবাহিকতায় লন্ডনের গ্রীনিচ ইউনিভার্সিটি থেকে ডিপ্লোমা অধ্যয়ন করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি ৫ কন্যা ও ২ পুত্রের জনক। তার কন্যারা যুক্তরাজ্য ও য়ুক্তরাষ্ট্রে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। ২ পুত্র দেশে ও বিদেশে থেকে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনার পাশাপাশি জনকল্যাণে সম্পৃক্ত থেকে পিতার ন্যায় সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অবদান রেখে চলেছেন।

দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও তিনি গড়ে তুলেছেন তার ব্যক্তিগত পরিচিতি।

নিউজিল্যান্ড,গ্রীস,স্পেন,আয়ারল্যান্ড,কুয়েত,চায়না,পাকিস্তান,বলিভিয়া,উরুগুয়ে,ফকল্যান্ড,ইতালী,ইরান,থাইল্যান্ড,অষ্ট্রেলিয়া,যুক্তরাজ্য,মালয়েশিয়া,যুক্তরাষ্ট্র,বাহরাইন,আবুধাবী,সৌদিআরব,সিঙ্গাপুর,ইরাক,সুইডেন,ডেনমার্ক,ফ্রান্স,জার্মানী,ভারত,আর্জেন্টিনা,কাতার,ওমান,আফ্রিকা,চিলি,হংকং,মালদ্বীপ,শ্রীলংকা,কাতার,ইয়েমেন,আমিরাত, নেদারল্যান্ড, পেরু, স্কটল্যান্ড,বেলজিয়াম,স্প্যানসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ অনেকবার সফর করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হিসেবে গড়ে তুলেছেন গ্রামীণ জনকল্যান সংসদ (জি.জে.কে.এস) ও বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমি (বি.এফ.এ) নামের দুটি সমাজসেবা ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান।

কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সিলেট এর বিভাগীয় সভাপতি,প্রবাসী সার্ভিস সেল এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,ক্যান্সার কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এর সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক বাণিজ্যিক ও এনজিও সংগঠনের গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন একাধিকবার। প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সভাপতি হিসেবে তার উদ্যোগেই রোটারী ক্লাব অব দিরাই সুনামগঞ্জ,রোটারী ক্লাব অব গ্রেটার সিলেট ও রোটারী ক্লাব অব সিলেট সেন্ট্রাল গঠিত হয়।

১৯৭২ সাল থেকে বিভিন্ন উদ্যোগে ২ লাখ, ৫০ হাজার মানুষকে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা সেবা ও ১২ হাজার ৮ শত ৩৭ জন মানুষের চোখের ছানির অপারেশন করান তিনি।

৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৫ শত ২৬ জন দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্রসহ ঔষধ প্রদান করেন বিভিন্ন হ্যাল্থ ও মেডিকেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে।

১৯৭৮ সাল থেকে ইউনিসেফ ও সরকারী পাবলিক হ্যাল্থ এর সহায়তায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ৭ হাজার ৩ শত ৬০টি পরিবারকে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা প্রদান করেন।

সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ লক্ষ ৫০ হাজার ৩ শত ১৮টি পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন। গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদ এর উদ্যোগে ইউনিসেফ ও রোটারী ক্লাবের সহায়তায় ১৯৭৯ সাল থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মসজিদ,মাদ্রাসা ও বসতবাড়ীতে ১ হাজার ২ শত ৩০টি নলকূপ স্থাপন করে দেন।

১৯৮০ সাল থেকে সিলেট ও চট্ট্রগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ২ লক্ষ ২৩ হাজার ১৮ জন বন্যা দূর্গত জন সাধারন কে রিলিফ সামগ্রী প্রদান করেন।

দিরাই শাল্লা ও জামালগঞ্জ থানায় অসহায় দরিদ্র ও বিধবা মহিলাদেরকে বিনামূল্যে ৬ হাজার ১ শত ৯টি টিনশেড গৃহ নির্মাণ করে দেন। দেশে প্রথমবারের মত বিভিন্ন সহযোগীতায় নিজ উদ্যোগে এতিম মেয়েদের জন্য ফ্রি লেখাপড়া,থাকা খাওয়ার জন্য নতুন কর্মসুচির উদ্যোগ গ্রহন করে সমাজে তাদের সাহায্যে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা,বন্ধ্যাকরন শিবিরের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসুচি বাস্তবায়নে দেশের প্রধান সমস্যা সমাধানে প্রসংশনীয় উদ্যোগ গ্রহন করে সরকারী বেসরকারী সংস্থা হতে স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হন।

১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক এপেক্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক গভর্ণর নিযুক্ত হয়ে সমাজ উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করা,নিজের খরিদ করা জমিতে সিলেট শহরে ৮ হাজার ৭ শত বর্গফুটের ৭ তালা ভবনে ও দিরাই উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে ৪ হাজার বর্গফুটের বিল্ডিং স্থাপন করে গ্রামীণ জনকল্যাণ সংসদ ভবনের মাধ্যমে ফ্রি সার্ভিস কার্যক্রম তরান্বিত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জনের পাশাপাশি পুরস্কৃত হওয়া,যক্ষা ও কুষ্ঠরোগীদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান,১৯৮৫ সাল থেকে সিলেট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গরীব রোগীদের চিকিৎসায় নতুন কৌশল তৈরী করা সহ অসংখ্য রোগীদের সেবাপ্রদান সুনিশ্চিত করা,১৯৮৫ সালে রোটারী ক্লাবের সভাপতি হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিয়ে পুরস্কার গ্রহন,১৯৮৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সিলেট বিভাগের ৩৬টি উপজেলায় সেবা ও সচেতনতামূলক কাজে নতুন উদ্যোগ গ্রহন করে পুরস্কৃত হওয়া,১৯৮৮ সালে ভয়াবহ বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করে জাতীয় পুরস্কার গ্রহন,১৯৮৯ সালে গরীব ও বিধবা মহিলাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজে সম্পৃক্ত করে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ হতে পুরস্কার গ্রহন,১৯৯০ সালে দেশে প্রথম বারের মত সরকারী বেসরকারী সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজ কল্যাণমূলক কাজের জন্য বেসরকারী সংস্থা ওডিএ থেকে পুরস্কার গ্রহন,১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের ভয়াবহ সাইক্লোনে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করে জাতীয় পুরস্কার গ্রহন,১৯৯২ সালে সামাজিক বনায়ন ও বৃক্ষরোপন নিবিড় কর্মসুচির উদ্যোগ গ্রহন করে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা,১৯৯২ সালে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্রে এক বিঘা জমি লাভ করে সেখানে ট্রেনিং সেন্টার ও জনকল্যাণ ভবন স্থাপন করা,১৯৯৩ সালের ৩০ আগস্ট ভারতের মহারাষ্ট্রের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পূণর্বাসন কর্মসুচিতে অংশ নিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করে পুরস্কার গ্রহন, ১৯৯৪ সালে হাওরাঞ্চলে ৭০ হাজার ৩ শত ১১ জন গরীব কৃষকদেরকে অধিক ফলনের জন্য সার ও বীজ প্রদান,১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক রোটারী ক্লাবের পক্ষ থেকে সমাজসেবায় পুরষ্কার গ্রহন, ১৯৯৮ সালে বৃটিশ হাই কমিশনের সাথে ফোর্স ম্যারেজের কাজ করায় লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে স্বীকৃতি গ্রহন, ১৯৯৭ সালে নিজ হাতে দেড় লাখ বৃক্ষ রোপন এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় স্বর্ণপদক গ্রহন, ১৯৯৮ সালে দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করার জন্য কেয়ার বাংলাদেশ হতে প্রশংসা পত্র গ্রহন,১৯৯৯ সালে দিরাই শাল্লা উপজেলায় বন্যায় উচ্ছেদকৃত কয়েকটি গ্রামের অসহায় মানুষের পক্ষে কাজ করায় স্বীকৃতিস্বরুপ সনদপত্র গ্রহন,২০০০ সালে ইসলামিক রিলিফ ইউকের সাথে কাউ এন্ড প্লাউ কর্মসুচির নতুন উদ্যোগ গ্রহন করা ও সনদপত্র গ্রহন,২০০০ সালে ফোর্স ম্যারেজ সেমিনারের আয়োজক হিসেবে প্রিন্সেস আনকে প্রধান অতিথি করে সিলেট শহরে সংবর্ধনা প্রদান করত: সনদপত্র গ্রহন,২০০০ সালে দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনায় মানবাধিকারে অবদানের জন্য বুয়েন্স আয়ার্সে সনদপত্র গ্রহন,২০০১ সালে অক্সফামের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে বন্যা পুনর্বাসন কর্মসুচিতে অবদান রাখায় সনদপত্র গ্রহন,২০০২ সালে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে লর্ড মেয়রের কাছ থেকে সমাজসেবার স্বীকৃতিস্বরুপ সনদপত্র গ্রহন, প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজের অবদানের জন্য ২০০৩ সালে লন্ডনের মেয়রের কাছ থেকে সনদপত্র গ্রহন,২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক রোটারী ক্লাবের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ অষ্ট্রেলিয়ার ব্রীজ ব্রেইনে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র গ্রহন,২০০৪ সালে লন্ডন শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাজ সেবার জন্য বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার কর্তৃক সনদ ও সম্মাননা গ্রহন,বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর ২১টি দেশে ৪৩টি আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্সে যোগদান,২০০৫ সালে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সিলেট বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সনদপত্র গ্রহন,২০০৬ সালে এতিম অসহায়দের জন্য বেসরকারী প্রাইমারী স্কুল ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রেশন আদায় করত: দেশের একমাত্র ফ্রি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমি (বিএফএ) প্রতিষ্ঠা করা, ২০০৮ সালে মেয়েদের এতিমখানা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সরকারের স্বীকৃতি গ্রহন,২০০৮ সালে বিএফএ কে ফ্রি আবাসিক জুনিয়র গার্লস স্কুল হিসেবে সরকারী রেজিস্ট্রেশন লাভ,২০০৯ সালে বিএফএ কে বৈদেশিক অনুদান গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিবন্ধিত করা,জাতীয় কর্মসুচির আওতায় ১০ কোটি টাকার শিক্ষা কর্মসুচির উদ্যোগ গ্রহন,২০১০ সালে নিজ উদ্যোগে ফ্রি আবাসিক মাধ্যমিক গার্লস স্কুল হিসেবে বিএফএ এর রেজিস্ট্রেশন আদায়, ২০১০ সালে এশিয়া ছিন্নমূল ফাউন্ডেশন থেকে সেবামূলক কাজের জন্য সম্মাননা গ্রহন,২০১২ সালে বিএফএ কে ফ্রি আবাসিক মহিলা কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি গ্রহন,২০১৩ সালে বিডি ফাউন্ডেশন থেকে সমাজসেবায় অবদানের জন্য জাতীয়ভাবে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পদক লাভ,২০১৬ সালের জুলাই মাসে পিকেএসএফ হতে জাতীয়ভাবে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জামিল চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন,রাজনীতির উচ্চাভিলাষ বলতে যা বুঝায় তা আমার নেই। এমপি না হয়েও দিরাই-শাল্লায় আমি যেসব কাজ করেছি তার যথেষ্ট সাক্ষী প্রমাণ আছে এবং থাকবে। মানুষকে ল্যাট্রিন বানিয়ে দেয়াকে আমি কখনও ঘৃণার কাজ মনে করিনি। এই কাজকে এবাদত মনে করেই সুচারুভাবে সম্পন্ন করে দিয়েছি। আমাদের গ্রামের মানুষ এমপি মন্ত্রী কম বুঝেন। তারা মনে করেন যে আমাদের কামলা অর্থাৎ কাজের লোক হতে পারবে তাকেই এমপি বানানো দরকার। আমি দিরাই-শাল্লার ভোটারদের কাছে একজন কামলা হিসেবে পরিচিত। এছাড়া বিগত দিনে যারা দিরাই শাল্লার প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাদের সাথে আমার কোন দ্ব›দ্ব কোন্দল ছিলনা। আমি তাদেরকে সম্মান শ্রদ্ধা সবসময়ই প্রদর্শন করেছি ভবিষ্যতেও মুরুব্বীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ থাকবে। আমি দলীয় কোন্দল গ্রæপিং লবিং এর পরিবর্তে সকল দলমতের মানুষকে নিয়ে উন্নয়নের প্রশ্নে একটা ঐক্যবদ্ধ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাই। ড.জয়াসেন গুপ্তা এমপির প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কোন কারণে তিনি যদি আওয়ামী লীগ ও নৌকার মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন এবং নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দ্বীতা না করেন তাহলে আমি এই নির্বাচনে আমি প্রার্থী হতে পারি। আগামী ২৬ নভেম্বর তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার বিষয়টি সকল কে জানাবেন উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সকল প্রার্থীদের সাথে এবং নির্বাচন বর্জনকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে পর্যায়ক্রমে আলাপ আলোচনা অব্যাহত রেখেছি।

আমি কখনও একক সিদ্বান্তে কোন কিছু করতে চাইনা সকলের মতামত নিয়ে প্রার্থী হতে চাই।

দিরাই পৌরসভার,চন্ডিপুর গ্রামের আরেক কৃতি সন্তান, আশির দশকের তোখর ছাত্রনেতা, প্রথিতযশা সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী নেতা, অনেক সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত যিনি পূর্ব চন্ডিপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভূমি দাতা সেই সমাজসেবক ও শিক্ষানূরাগী শফিকুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে

যুক্তরাজ্যস্থ দৈনিক ভাটি বাংলা ও দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ এর ব্যুরো প্রধান এবং সিলেটের সমাচার ও এস. এস. টিভি অনলাইন এর চেয়ারম্যান হাজী হারুন মিয়া বলেন, ভাটি বাংলা বলে খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলাধীন দিরাই উপজেলার তাড়ল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম, যার স্বপ্ন দেশের এবং এলাকার অসহায় , নিপীরীত মানুষের কল্যাণে কাজ করা, জীবনের যৌবনকাল থেকে আজ অবদি গরীব, দু:খী, অসহায়, নিপীড়িত মানুষের কথা চিন্তা করে নিজ উদ্দোগে গঠন করেন মানবসেবামূলক সামাজিক সংগঠন গ্রামীন জনকল্যাণ সংসদ, যার মাধ্যমে তিনি দিরাই-শাল্লাসহ সারা সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বহু সমাজসেবামূলক কাজ করেছেন।

বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিঠিয়ে পরে থাকা , পিতা-মাতাহীন অসহায় এতিম মেয়েদেরকে আশ্রয়, লেখা পড়া শিখিয়ে স্বাবলম্ভী করে গড়ে তুলতে গড়ে তুলেন সম্ভবত বাংলাদেশর মধ্যে সবচাইতে বড় এবং আধুনিক প্রতিষ্ঠান , এতিমখানা বাংলাদেশ ফিমেইল একাডেমি।

এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি বছর অনেক এতিম অসহায় মেয়েরা স্বাবলম্ভী হয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে । যার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ হয়েছে ,যার অবদান কোনদিন অস্বিকার করা যাবে না।

যার কঠোর পরিশ্রমের ফসল পূর্ব চন্ডিপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ অনুমোদন পেয়েছে । তিনি হচ্ছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ,সমাজসেবক , শিক্ষানুরাগী , বহু সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে যার অবদান অবিস্মরনীয়,আমাদের এলাকার কৃতি সন্তান জামিল চৌধুরী।

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে আমি দিরাইবাসী, তথা সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য অনির্বাণ প্রজ্বলিত সূর্যসারথী,একনিষ্ট সমাজসেবী,নি:স্বার্থ মানবতাবাদী জামিল চৌধুরীর জনপ্রিয়তা রয়েছে সারা নির্বাচনী এলাকায়।

একটি বড় নির্বাচনের জন্য পূর্ব প্রস্তুতি বলতে যা বুঝায় তা এমনিতেই যথেষ্ট আছে তার। ভোটারদের কাছে অত্যধিক পরিচিত জনসেবক জামিল চৌধুরী শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতায় আসেন কিনা সেদিকে দৃষ্টি এখন সকলের।



বিষয়: #


রাজনীতি এর আরও খবর

৩য় ধাপের উপজেলা নির্বাচন, প্রচার শেষ মধ্যরাতে ৩য় ধাপের উপজেলা নির্বাচন, প্রচার শেষ মধ্যরাতে
বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান বিজয়ী আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীতা বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান বিজয়ী আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রীতা
১৫৬ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ আগামীকাল ১৫৬ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ আগামীকাল
বিশ্বম্ভরপুরে জনমত জরীপে এগিয়ে  ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ বর্মন বিশ্বম্ভরপুরে জনমত জরীপে এগিয়ে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ বর্মন
ত্রিশালে প্রান্তিক ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল নয়ন ত্রিশালে প্রান্তিক ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল নয়ন
দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে ব্যাপক জনসমর্থনে এগিয়ে চলছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বোরহান দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে ব্যাপক জনসমর্থনে এগিয়ে চলছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বোরহান
সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ সাঈদ খোকনের সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ সাঈদ খোকনের
মে দিবসে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি মে দিবসে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি
মে দিবসে রাজধানীতে শ্রমিক জনসভা করবে আওয়ামী লীগ মে দিবসে রাজধানীতে শ্রমিক জনসভা করবে আওয়ামী লীগ
উপজেলা নির্বাচনে কে কার আত্মীয়, দেখবে না নির্বাচন কমিশন: ইসি আলমগীর উপজেলা নির্বাচনে কে কার আত্মীয়, দেখবে না নির্বাচন কমিশন: ইসি আলমগীর

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)