বৃহস্পতিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » দেশের পাশাপাশি বিশ্বে কমছে ডলারের দাম
দেশের পাশাপাশি বিশ্বে কমছে ডলারের দাম
দেশের পাশাপাশি বিশ্ব মুদ্রাবাজারেও কমছে ডলারের দাম। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর বিশ্বব্যাপী ডলারের দাম কমতে শুরু করেছে। দেশে ডলার সংকটের মধ্যে প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা। যা আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে।
মুদ্রবাজারে ডলারের দাম কমার বিষয়ে বাফেদার পক্ষ থেকে বলা হয়, আমদানি কমেছে এবং রপ্তানি বাড়ছে। এ ছাড়া চলতি হিসাবে এখন ঘাটতি নেই। যা আছে তা কৃত্রিম। এ জন্য ডলারের দাম ৫০ পয়সা করে কমানো হচ্ছে।
এদিকে, ডলারের বিপরীতে ইউরো, ইউয়ান, ইয়েনসহ অন্যান্য মুদ্রার বিনিময় হার শক্তিশালী হয়েছে। চীনে ১ ডলার মিলছে ৭ দশমিক ১৩০১ ইউয়ানে। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এটা চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মুদ্রা ডলারের চেয়ে জাপানি মুদ্রা ইয়েন গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইয়েনের বিপরীতে ডলার প্রায় দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। ১ ডলারের বিনিময়ে মিলছে ১৪৭ দশমিক ৫ ইয়েন। জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক দরপতন এটি। অন্যদিকে, ডলারের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশেরও বেশি বিনিময় হার বেড়েছে ইউরো ও পাউন্ডের। ইউরোর বিনিময় হার শূন্য দশমিক ২ থেকে ১ দশমিক ০৯৬৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। মধ্য আগস্টের পর থেকে এটা সর্বনিম্ন।
এদিকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে অস্টেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ডলারের বিনিময় হার সাপ্তাহিক ১ দশমিক ৭ এবং ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। ছয় মাস আগে এটা ছিল শূন্য দশমিক ৬০৭২ মার্কিন ডলার। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মান বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। বর্তমানে এর বিনিময় হার শূন্য দশমিক ৬৫৮৫ মার্কিন ডলার। এটা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বৈশ্বিক মুদ্রা ডলারের চেয়ে জাপানি মুদ্রা ইয়েন গত চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে থাকার বিষয়ে জাপানের বিশ্লেষকেরা বলছেন, নেতিবাচক সুদহার বিলুপ্ত করার জন্য বাজারকে প্রাধান্য দিচ্ছে ব্যাংক অব জাপান। কারণ জাপানের অতি নিম্ন সুদহার এবং আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভের সুদহারের মধ্যে বিস্তৃত ব্যবধান রয়েছে, যা ইয়েনকে চাপের মধ্যে রেখেছে।
স্টার্লিংয়ের বিনিময় হার দুই মাসে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এটা বর্তমানে ১ দশমিক ২৫৪০ ডলারে বিনিময় হচ্ছে। সুইস ফ্রাঙ্ক সেপ্টেম্বরের শুরুতে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে চলে এসেছে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মুদ্রার দাম বাড়তে শুরু করেছে। সুইডিশ ক্রোনা সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। নরওয়েজিয়ান ক্রোন দুই মাসের মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী। যদিও আর্জেন্টিনার মুদ্রার বিনিময় হার একেবারে তলায় ঠেকে গেছে।
এদিকে, এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মুদ্রাবাজার ঊর্ধ্বমুখী। ফলে বেশিরভাগ দেশেই কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম। দেশের মুদ্রাবাজারে গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে উর্ধ্বমুখী থাকা ডলারের দাম প্রথমবার কমানো হয়েছে।
বিষয়: #ডলার