বৃহস্পতিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোটে দাঁড়াতে মনোনয়ন ফরম কিনছেন বিএনপির সাবেক নেতারা
ভোটে দাঁড়াতে মনোনয়ন ফরম কিনছেন বিএনপির সাবেক নেতারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিএনপির সাবেক চার নেতা। গতকাল বুধবার তাঁরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে ভোটে অংশ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
মনোনয়ন ফরম নেওয়া বিএনপির এই চার নেতা হলেন- বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ শোকরানা, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরকার বাদল এবং জেলা বিএনপির সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম।
এর মধ্যে আখতারুজ্জামান কিশোরগঞ্জ–২ আসনের জন্য, শোকরানা বগুড়া–১, বিউটি বেগম বগুড়া–২ ও বাদল বগুড়া–৭ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
আখতারুজ্জামান সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে এই আসন থেকে নির্বাচন করেন। তবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের কাছে হেরে যান।
মনোনয়নপত্র কেনার পর তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে গেল তিনি বিএনপি থেকেই প্রার্থী হবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কিনা এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
আখতারুজ্জামান ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন সময় দল থেকে বেশ কয়েকবার বহিষ্কার হন। আবার দলে ফেরেন। সর্বশেষ বহিষ্কার হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য দলীয় নেতাদের সমালোচনা করে।
মোহাম্মদ শোকরানা বগুড়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার বাদল বগুড়া-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে মনোনয়নপত্র তুলেছেন। আর বিউটি বেগম বগুড়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
শোকরানা ২০১৯ সালে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। এই আলোচিত ব্যবসায়ী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। মোহাম্মদ শোকরানা ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। এই নেতা জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলেই তাঁর বিশ্বাস। আর তা হলে নির্বাচনে তিনিই জয়ী হবেন।
বগুড়াকে বিএনপির ঘাঁটি বলেই মনে করা হয়। এই দলের নেতারা নির্বাচন করলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে বলে স্থানীয় রাজনীতিবিদের মনে করছেন।
বিষয়: #নির্বাচন ২০২৪