বৃহস্পতিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » জীবনযাপন » শীতে অন্দর সাজবে কার্পেটে
শীতে অন্দর সাজবে কার্পেটে
বাতাসে এখন হালকা হিমেল আমেজ। ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা আসতেই ঘরে আনতে পারেন উষ্ণতার পরশ। অন্দরসাজে এখন আনতে পারেন কার্পেটের ব্যবহার।
আলাদিনের সেই কার্পেটে অভিযানের গল্প অনেকেরই জানা। এমন করে যদি সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানো যেত। এমন ইচ্ছে অনেকের। সেটা না হলেও কার্পেট কিন্তু শীতের দিনে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। রং, ডিজাইন, মোটিফের বুননে এক একটা কার্পেট এক এক রকম। কোনটি প্রকৃতির ছবি, তো কোনোটা জিওমেট্রিক প্যাটার্ন। আবার কোনোটা অ্যাসিমেট্রিক্যাল হিজিবিজি মোটিফ।
ট্র্যাডিশনাল নকশা, মোটিফে সিল্ক বা উলের হাতে বোনা কাপের্টর আভিজাত্য একেবারেই আলাদা। সাবেকি ফুলের নকশা কিংবা চমকপ্রদ ওরিয়েন্টাল ডিজাইনের ঘরে এনে দেয় আলাদা মাত্রা। কার্পেটের তুলনায় রাগ মেন্টেন করা সহজ। তাই দিন দিন রাগের চাহিদাও বাড়ছে। বাড়িতে রাগ মানেই জুয়েল টোন রঙ। সাফায়ার ব্লু, চুনী, পান্না সবুজ, অ্যাকোয়ামেরিন, আয়ভরি ও অ্যামেথিস্ট রঙ মিলে এক মায়াজাল তৈরি করে।
ট্র্যাডিশনাল ভারী কার্পেটের পাশাপাশি, হালকা সিন্থেটিক ও অন্যান্য ফ্যাব্রিকের কার্পেটের কদর রয়েছে। রোজকার ব্যবহারের জন্য এসব কার্পেট আদর্শ। এই ধরনের কার্পেট ওয়াশেবল ফ্যাব্রিকে তৈরি, ফলে নিয়মিত ব্যবহারে ময়লা হলেও সমস্যা নেই। অনায়াসে ধোয়া যাবে। তাই তো সেন্টার টেবিলের নিচে বা খাটের পাশে সারা বছরই দেখা যায় এই শ্যাগি রাগ। ঘরে কার্পেট থাকলে অন্দরে এক সফিস্টিকেটেড লুক আসে। তাই বলে যেন-তেন কার্পেট দিলে হবে না। নিজের পছন্দ ও রুচি অনুযারী ঘর সাজান। মাথায় রাখবেন ছোট পরিসরে বিশাল আয়তনের কার্পেট বেমানান লাগবে।
বসার ঘরে কাশ্মীরি অথবা পারসি কার্পেট দেখতে ভাল লাগবে। আর খাবার জায়গায় দিতে পারেন ছোট, ছিমছাম ও ওয়াশেবল রাগ। আধুনিক অন্দরমহলে একরকম কার্পেট ভাল লাগবে। আবার এথনিক সাজের সঙ্গে অন্যরকম। ঘরের অন্যান্য আপহোলস্ট্রির মতোই কার্পেটের ক্ষেত্রেও কালার প্যালেটের সামঞ্জস্য বজায় রাখবেন। না হলে খুব বেমানান লাগবে। এটাই অন্দরসাজের মূল মন্ত্র। কোঅর্ডিনেশন, প্লেসমেন্ট ও ইউটিলিটি এই তিনের সমাবেশেই অন্দরসাজ পায় পরিপূর্ণ মাত্রা।
বিষয়: #শীত