শনিবার ● ১১ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ছাতকে ৯ মাসেও পিআইও’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৩ সদস্য কমিটির তদন্তে নেই অগ্রগতি
ছাতকে ৯ মাসেও পিআইও’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৩ সদস্য কমিটির তদন্তে নেই অগ্রগতি
ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,
ছাতক উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে কাবিখা প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৯৭ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। ৩২ হাজার মে. টন চাল হলে প্রায় তিন কোটি ১০ লাখ চার হাজার টাকার ১৬টি প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কে এম মাহবুব রহমানের বিরুদ্ধে। এদিকে,জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর জেলা উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
তারই প্রেক্ষিতে গত ২৩ সালের সেপ্টেম্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের জামান চৌধুরী ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন
করে ২সপ্তাহের ভিতরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা থাকলে ৯ মাসেও কোন অগ্রগতি হয়নি এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। দুনীতিবাজ কিভাবে তদন্ত কমিটির সদস্য হলেন এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছেন সচেতনমহলের মাঝে। সরকারি প্রকল্পের লুটপাটের ঘটনায় আপোষে নিস্পতি নিয়ে কিভাবে হলো ?
এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে এম মাহবুব রহমান। তাঁর খুঁটির জোর কোথায়? তার বিরুদ্ধে আসছে ১৫ মে ঢাকা মহাখালি থেকে দুযোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর উপ পরিচালক পরিকল্পনা ইউনুছ আলী উপজেলা নিবাহী কর্মকতা অফিস কক্ষে
সকাল ১০টায় তদন্ত শুরু হবে। ২০২৩ সালে ২৫ অক্টোবর মাসে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভুয়া বিল জমা দিয়ে ৮৫টি প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করবেন দুযোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
এছাড়া উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির ৮টি প্রকল্পের ২৬ লাখ টাকার অনিয়ম লুটপাটের ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আফছর আহমদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও উপজেলা প্রকৌশলী আফছর আহমদ হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ সালের (৯নভেম্বর) মৃত্যুবরণ করেন। তার কিছুদিন পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের জামান চৌধুরী বদলী হয়ে ঢাকা চলে যান। এরপর আর তদন্তের কোন অগ্রগতি হয়নি। পত্র পত্রিকায় সংবাদ করে তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না এমনই মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কে এম মাহবুব রহমান ছাতকে যোগদানের পর থেকেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠে। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প সহ সকল প্রকল্পে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কন্টেক্টর, ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা। টাকা ছাড়াই কোন ফাইল নড়ে না এখনও। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে এম মাহবুব রহমান জানান, দূর্ণীতির বিষয়ে যারা অভিযোগ করেছিল তারা উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের সাথে আপোষ করেছেন। তবে তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে তিনি কোন কথা বলেননি।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না জানান,আমি যোগদানের আগেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন সাবেক ইউএনও। এ বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নিয়ে পরে জানাবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন।###
বিষয়: #অগ্রগতি #ছাতক