বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » আগৈলঝাড়ায় ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগের দায় মাথায় নিয়ে ঘুরছে শাকিল
আগৈলঝাড়ায় ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগের দায় মাথায় নিয়ে ঘুরছে শাকিল
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি ||
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের গৌহার গ্রামের রহমান বেপারীর ছেলে ও ছয়গ্রাম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র শাকিল বেপারী বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শাকিলের পরিবার যানায় আমার বড় ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ এনে আমাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দিছে আমার এর শুষ্ঠ কোন বিচার পাইনি। তারা আরো বলেন কে বা কারা কিশোরীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা বানিয়েছে তা আমরা জানিনা। আমাদের আর্থিক সঙ্গতি ও লোকজন না থাকায় আমাদের পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে পারিনি।
শাকিল বলেন ২০১৫ সালের ৪ই নভেম্বর রাতে ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো. সাকিব হোসেন শান্তর উপস্থিতে ধর্ষিতার বাড়িতে সালিশ বসায় মাতবররা। এ সময় মাতবররা ধর্ষিতার সন্তান প্রসব ও ডিএনএ টেস্টের জন্য জলিল, মতলেব, ইসমাইলরা মেয়ে পক্ষকে ২৫ হাজার টাকা ও ছেলে পক্ষকে ২৫ হাজার টাকা তাদের কাছে জমা রাখার নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া মাতবররা রায় দেয়, সন্তান জন্মের পর তার ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে অপরাধী জন্মদাতা শনাক্ত করা হবে।
কিন্তু সন্তান জন্মের পরে কোন ডিএনএ টেস্ট না করে অভিযুক্ত শাকিল ও তার পরিবারকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করে ধর্ষতা সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করেন এলাকার মাতবররা।
শাকিল আরো জানান, এসময় আমি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে প্রমাণ করতে ডিএনএ টেস্ট ম্যাচিং করতে ২৫ হাজার টাকা জমা দেই কিন্তু এই ধর্ষণে মাতবরদের আপনজনরা জড়িত থাকায় আমার ডিএনএ টেস্ট ম্যাচিং প্রমাণিত না করে সালিশ বৈঠকে মারধরের হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক ফৌজদারি আইন না মেনে অন্যয়ভাবে অবিচার করেন। আমাকে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জোর পূর্বক ১ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে দেয় কিন্তু আমি স্ত্রী সহবাস ও করিনি এবং ডিএনএ টেস্টর প্রমাণ ছাড়া গণধর্ষণের বাচ্চার পিতার পরিচয় আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে অন্যায়ভাবে বিচার শেষ করেন। এর কিছু দিন পরে বাচ্চা জন্ম হওয়ার পরে আমি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় রত্নপুর ইউনিয়ন পরিষদে লিগ্যাল এইড এ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা করে দেনমোহর ধার্য টাকা আদায় করে এই টাকা মাতবররা ভাগ করে খায়। অথচ আমার পরিচয়ে জন্ম নেয়া বাচ্চা গোপনে পালতে দেয় আমি জানিনা কারণ আমি বাচ্চা ডিএনএ টেস্ট করলে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেড় হবে তাই মাতবররা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এড়িয়ে যায়।
গণধর্ষনের ফলে জন্ম নেয়া বাচ্চার মায়ের সাথে আমার বিবাহ হওয়ায় ভবিষ্যতে আমার কাছে পিতার পরিচয় ও সম্পত্তির অংশিদার দাবী করবে তাই ২০২১ সালে আমি বাদী হয়ে বরিশাল জজ কোর্টে পারিবারিক আদালতে ডিএনএ টেষ্টের মাধ্যমে বাচ্চার আসল জন্মদাতার পরিচয় নির্ধারণ করার জন্য মামলা করি। মামলা নং ১৪/২০২১ কোর্টে বিবাদীর নামে শুনানির পরে সমনজারি হলেও আজ পর্যন্ত বিবাদী কোর্টে হাজির হয় নাই এজন্যে ডিএনএ টেষ্ট করতে পারিনাই। ২০১৭ সালে গণধর্ষণের একটি ভিডিও এলাকার যুবকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আমি না থাকায় এলাকার মানুষ মেয়ের বাড়িতে আমার পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করায় পরেরদিন সাংবাদিক দিয়ে আমার নামে ২০১৫ সালের ঘটনা আবার প্রচার করে ভিডিও কাহিনি ধামাচাপা দেয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভূগী শাকিল বেপারী।
বিষয়: #আগৈলঝাড়া