শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
বুধবার ● ১ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল ৭৫ পয়সা
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল ৭৫ পয়সা
৩৩ বার পঠিত
বুধবার ● ১ মে ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল ৭৫ পয়সা

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল ৭৫ পয়সাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ও ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে বিদ্যুৎ ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১ মে থেকে এ মূল্য কার্যকর হবে।

৩০ এপ্রিল, মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গ্যাস খাতে ভর্তুকি সীমিত রাখার লক্ষ্যে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৩৪ক তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটারে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটারে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে গ্যাসের মূল্য ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারিদের ৮টি গ্রাহক শ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ শতাংশ, শিল্পে ২৩ শতাংশ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ শতাংশ, গৃহস্থালিতে ১০ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৪ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ শতাংশ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরও বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের মূল্য ইউনিট প্রতি ৭৫ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছিল। আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা। আর ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট ও স্মল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য প্রতি ঘন মিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা।

বর্তমানে সার কারখানার জন্য প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা, শিল্প সংযোগের জন্য প্রতি ইউনিট ৩০ টাকা, চা বাগানের জন্য ১১ টাকা ৯৩ পয়সা, হোটেল রেস্তোরাঁর জন্য ৩০ টাকা ৫০ পয়সা, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জন্য ৩৫ টাকা এবং গৃহস্থালির জন্য প্রতি ইউনিট ১৮ টাকা মূল্য নির্ধারিত রয়েছে।



বিষয়: #  #  #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)