বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » হবিগঞ্জ » নবীগঞ্জে খাল খননে অনিয়ম দুর্নীতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষরে প্রতিরোধ কমিটি গঠন।
নবীগঞ্জে খাল খননে অনিয়ম দুর্নীতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষরে প্রতিরোধ কমিটি গঠন।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউনিয়নের নরখাই খালের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি খাল খনন কর্মসূচির নামে কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে এলাকা জুরে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা।
যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তকয়ী সংঘর্ষ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা! নদীপাড়ের মানুষ কে বাধ দিয়ে, বিভিন্ন এলাকার বহিরাগত মিলে সমিতির নামে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র!
জাপানি সংস্থা জাইকা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে সংঘবদ্ধ চক্র!
রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সরজমিন গিয়ে জানা যায়–
নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী থেকে অতিথে নরখাই খালের যোগাযোগ ছিল কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ায় এবং
কুশিয়ারা ডাইক নির্মাণ হওয়ায় নরখাই খাল বন্ধ হয়।
বর্তমানে সেই নরখাই শেরখাই খাল ভড় একটি বিলের সাথে যোগাযোগ থাকায় মৎস্যজীবী হাজারো জনসাধারণ, জীবিকা অর্জন করেন এবং ঐ খালে হাজারের বেশি শাকু রয়েছে নদীপাড়ের মানুষ পাকা রাস্তায় উঠেন এমতাবস্থায় ওই খাল খনন হলে, নদীপাড়ের লোকজনের কোনো লাভে আসবেনা বলেও অনেক জন জানান।
এবিষয়ে অনেকই বলেন নদীর বর্তী মানুষ জন সমিতি করার নিয়ম থাকলেও বহিরাগত প্রভাবশালী মহলটি গোপনে একটি সমিতি গঠন করে। নিয়ম বর্হিভূতভাবে সমিতি গঠন করায় এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৬ মার্চ নদী খনন কাজের পরিমাপে আসেন উপজেলা এলজিডি অফিসার, জাইকার পক্ষে কাজ বুঝে নিতে সরজমিন আসে,
গোপন কমিটির সভাপতি মোঃ দুলন মেম্বার গং,
এসময় প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য নিয়ম কানন জানতে চেয়েছিলেন, কামার গাও গ্রামের বাসিন্দা প্রবিণ মুরব্বি তাজিম উল্লা সহ কয়েক জন এ সময় কোনো কিছু বুঝার আগেই মার মুখি হয়ে উটেন জনৈক কমিটির শাহান সহ তার দলবল এক পর্যায়ে পকেট কমিটির সভাপতি দুলনের উপস্থিতিতে মুরব্বিকে গু”লি করে হ”ত্যা”র হু”ম”কি দেন শাহান নামক একজন ব্যক্তি, এর পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও এখনো সংঘর্ষের আশঙ্কা।
এর পর রাতেই কামারগাঁও হাজী বাড়ীতে শত শত লোকের উপস্থিতে প্রতিবাদ মিটিং অনুষ্টিত হয়।
ওই দিন প্রতিবাদ সভায় ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট সেন্ডিং কমিটি গটন করে পরের দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকোউশলি বরাবরে অবৈধ কমিটির অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৯ মার্চ কামার গাও গ্রামে প্রয়াত হাজী গুলজার মিয়ার বাড়ীতে হাজার ও
মানুষের উপস্থিতিতে ওই পকেট কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার ইউসুফ আলীর সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে কতিত পকেট কমিটি থেকে পদত্যাগ করে প্রতিরুধ কমিটি ঘটন করেন।
তিনি বলেন আমি আপনাদের পাশে আছি ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাল্লাহ। প্রতিরোধ কমিটিতে ইউসুফ আলী, স্বাক্ষর প্রদান করেন এবং প্রতিরুধ কমিটির কার্যক্রম, বেগবান করেন ইউসুফ মেম্বারের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত মদরিছ মিয়া ও স্বাক্ষর প্রদান করে জোরালো ভুমিকা দিয়ে সকল কে একত্রিত করে অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বর্তমানে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবার পুরান পকেট কমিটির মিটিং এ গিয়ে পকেট কমিটির লোক বলে নিজেকে পরিচয় দেন এবং মদরিছ মিয়া কে দিয়ে আপোষের প্রস্তাব প্রদান করেন উক্ত ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার ইউসুফ আলী নেতৃতে প্রতিরুধ কমিটিতে ভাংগন ধরাতে চালাকী শুরু করেন উক্ত চালাকী বুঝতে পেরে ০১/০৪/২০২৪ ইং তারিখে আবারো কামারগাঁও গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সাজু মিয়ার বাড়ীতে বিশিষ্ট বিচারক মদরিছ মিয়ার উপস্থিতিতে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট অবৈধ খনন প্রতিরুধ কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি করা হয়, ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুব আলম খসরু ও সাধারন সম্পাদক করা হয় ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস সহিদ মিয়া কে এছাড়াও প্রতিরোধ কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহ সুলতান আহমদ ও ক্যাশিয়ার সাজ্জাদুর রহমান সাজু এতে সাংঘটনিক সম্পাদক সৈয়দ শামীম আহমদ কে রেখে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরোধ কমিটি ঘোষনা করা হয়।
সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, নরখাই খাল প্রকল্পের কাজ নিয়ম বহির্ভূত সমবায় সমিতির দ্বারা হবে না এবং নিয়ম বহির্ভুত কমিটির বিরুদ্ধে আইনি ও সামাজিক কার্যক্রম বেগবান গৃহিত হয়।
বিষয়: #খাল #নবীগঞ্জ