বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীর অভিযোগ শিক্ষিকা তাহেরার বিরুদ্ধে
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীর অভিযোগ শিক্ষিকা তাহেরার বিরুদ্ধে
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাহেরা আক্তারের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে ভার্চুয়াল যুক্ত থেকে এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নজরুল আহমেদ নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
তাহেরা আক্তার তাহিরপুর উপজেলার রাছিনগর মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও বালিজুরী ইউনিয়নের পুরান বারুংকা গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী নজরুল আহমেদ বলেন,আমি আমেরিকায় ২০বছর ধরে
একটি শহরে বসবাস করি। ২০১৮ সালে আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের পুরোনো বারুংকা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাহেরা আক্তারের (৩০) সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়। এক প্রর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা,আইফোন, ল্যাপটপ,স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়,তার দুই বোনের চাকরী ও বিয়ের জন্য মোটা অংকের আমার কষ্টের উপার্জিত টাকা নিয়ে আমার চরম ক্ষতি করেছে। তার আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। তিনি আরও জানান, আমি দেশে আসতে চাইলে তাহেরা বাধা দিত।
সে চাকরি ছেড়ে উন্নত জীবনের জন্য আমেরিকায় আমার কাছে আসার ইচ্ছা জানায়। আমেরিকায় আসার জন্য আমার টাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে আইইএলটিএস করে। এছাড়াও সে নিজের পেশাগত পরিচয় আড়াল করে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে একটি ও সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আরেকটি পাসপোর্ট বানায়।
নজরুল আহমেদ আরও বলেন,একটা সময় পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু সে আমার সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালে একাধিক ছেলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে, যা প্রথমে আমি জানতাম না। পরে বিভিন্ন মারফতে ও তাঁর আচরণে বিষয়টি বুঝতে পারি। আইইএলটিএস করার সময় তাহেরা একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
সম্প্রতি তাহেরা গোপনে সেই ছেলেকে বিয়ে করে। তিনি আরও বলেন,তাহেরা আমাকে এই বিষয় নিয়ে বাড়া বাড়ি করলে নারী নির্যাতনের মামলা দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি তার বিচার ও শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে স্কুল শিক্ষিকা তাহেরা আক্তার জানায়,তার সাথে আমার সম্পর্ক থাকা অবস্থায় সে আমাকে হাত খরচের টাকা নিজে থেকেই দিত।
উল্লেখ্য,তাহেরা কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে পেশাগত পরিচয় আড়াল করে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে একটি ও সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আরেকটি পাসপোর্ট বানানোর দায়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে গত ২৮ মার্চ শোকজ করেছে।
বিষয়: #প্রবাসী #সংবাদ #সম্মেলন