মঙ্গলবার ● ২ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে দুটি পার্সপোট তাহিরপুরে স্কুল শিক্ষিকা তাহেরাকে শোকজ
কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে দুটি পার্সপোট তাহিরপুরে স্কুল শিক্ষিকা তাহেরাকে শোকজ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সরকারি চাকরী থাকা অবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই সিলেটের এমসি কলেজে লেখাপড়া এবং নিয়মবহির্ভূত ভাবে দুটি পাসপোর্ট করার অপরাধে শিক্ষিকা তাহেরা আক্তার(৩০)কে শোক করছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
তাহেরা আক্তার তাহিরপুর উপজেলার রাছিনগর মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও বালিজুরী ইউনিয়নের পুরান বারুংকা গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে।
গত ২৮মার্চ তাকে শোকজ করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মোহন লাল দাশ। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এই বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আবুল খায়ের জানান,জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমার কাছে শিক্ষিকা তাহেরা আক্তারের সম্পর্কে লেখা পড়া করা ও দুটি পার্সপোটের বিষয়ে জানতে চাইলে আমি জানিয়েছি দুটি বিষয়ে কোনো অনুমতি নেয়নি এবং তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
একজন শিক্ষিকার এমন কর্মকাণ্ডের ঘটনাটি জানাজানি হলে রীতিমত টপ অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে তাহিরপুর উপজেলা। তাকে নিয়ে সচেতন মহলসহ সর্বমহলে মুখরোচক নানান আলোচনা সমালোচনা চলছে।
তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়,গরীব পরিবারের সন্তান হলেও লন্ডন,আমেরিকায় বসবাস করার স্বপ্ন বিভুর ছিল শিক্ষক তাহেরা বেগম। তাই সুযোগ বুঝে টাকা ওয়ালা প্রবাসীদের সঙ্গে সারাক্ষণ অনলাইনে কথাও বলতেন। এমনকি তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি,ভিডিও শেয়ার করতেও শোনা গেছে। এক প্রর্যায়ে ২০১৮সালে আমেরিকান প্রবাসী নজরুল আহমেদের এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয়। আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাহেরা। এরপর দুজনের সম্পর্ক গড়ায় ভালবাসায়। পরে বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মূল্যবান জিনিস পত্র ছাড়াও এই প্রবাসীর কাছ থেকে ২০লাখ টাকা নিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি বিলাশ বহুল বাড়ি। এছাড়াও বড় দুই বোনের চাকরী ও বিয়ের জন্য আনেন ১০লাখ টাকা। প্রবাসী নজরুলের কাছে যাবার জন্য তার টাকায় আইইএলটিএস সম্পন্ন করেন তিনি। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে মেশিন রিডেবল (এমআরপি)পাসপোর্ট করেন। এছাড়াও শিক্ষার্থী কোটায় যাওয়ার জন্য তিনি নিজেকে শিক্ষার্থী পরিচয়ে ডিজিটাল(ই)পাসপোর্টও করেন। কিন্তু সেই প্রবাসীর ভালবাসা ভুলে থাকে না জানিয়ে সম্প্রতি সিলেটে তার চেয়ে বয়সে ছোট আরেক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা তাহেরা আক্তার জানান,নজরুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হবার পর আমি না চাইতেই সে হাত খরচ বাবদ টাকা পাঠাত। সে যত টাকার কথা বলছে এত টাকা নয়।
ভুক্তভোগী আমেরিকান প্রবাসী নজরুল আহমেদ জানান,তাহেরা ভালবাসার অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দামী আইফোন,মূল্যবান জিনিসপত্রসহ ৩০লক্ষাধিক টাকা নিয়েছে। সে আমাকে ছেড়ে অন্য ছেলেকে বিয়ে করেছে। তার এমন আচরনে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। সে আমাকে এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে নারী নির্যাতনের মামলা দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
বিষয়: #অনুমতি #কতৃপক্ষ #শোকজ