শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

Somoy Channel
সোমবার ● ১ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » জীবনযাপন » সিলেটে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে, কারণ যা জানা গেল
প্রথম পাতা » জীবনযাপন » সিলেটে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে, কারণ যা জানা গেল
৪৬ বার পঠিত
সোমবার ● ১ এপ্রিল ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিলেটে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে, কারণ যা জানা গেল

সিলেটে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে, কারণ যা জানা গেল প্রতীকী ছবি।সিলেটে স্বামী থেকে স্ত্রীদের আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে স্বামীর কর্মসংস্থান, শিক্ষা কিংবা অভিবাসনের মতো কারণে অনেক নারীকে আলাদা থাকতে হয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, স্বামী ও স্ত্রী আলাদা থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে আদর্শ পরিবার গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া। বিশেষ করে সমাজের আদিম এ প্রতিষ্ঠানের মনস্তাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্যগুলো নানাভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

জরিপে দেখা গেছে, স্বামী থেকে পৃথক থাকার হার সিলেটে ১৮ শতাংশ। স্বামী থেকে আলাদা বসবাস করা নারীদের তথ্য উঠে এসেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) সর্বশেষ জরিপে। এর নাম ‘বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (২০২২)’। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিবাহিত নারীদের ১৬ শতাংশ স্বামী থেকে পৃথক থাকছেন। সবচেয়ে বেশি আলাদা থাকতে হয় গ্রামাঞ্চলের নারীদের। তাদের মধ্যে এ হার ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। শহরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। শিক্ষা ও অর্থনীতির মানদণ্ডে উচ্চ শিক্ষিত ও ধনী পরিবারের নারীদের মধ্যে এ হার বেশি।

নৃবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী দুই পক্ষেরই সমান ভূমিকা রয়েছে। এখানে এক পক্ষের শারীরিক অনুপস্থিতি আদর্শ পরিবার গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সন্তানের শিক্ষা, নৈতিকতা ও সম্মানবোধ।

৩৮ শতাংশ বিবাহিত নারী জানান, তাদের স্বামীরা (জরিপকাল থেকে) গত এক বছরের মধ্যে পরিবারের সঙ্গে একবারও সাক্ষাৎ করেননি। এই হার শহরে ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামে ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ। ৪১ শতাংশ নারীর স্বামী বছরে এক থেকে পাঁচবার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বছরে ছয় থেকে ১১ বার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে এসেছেন ১১ শতাংশ স্বামী। আর প্রতি মাসে এক বা একাধিকবার পরিবারের সাক্ষাৎ পেয়েছেন ১১ শতাংশ স্বামী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনও দেখা যায় অনেক নারী দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। কিন্তু স্বামী কাছে না থাকার কারণে তার চিকিৎসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। আবার বাবা না থাকার কারণে হাসপাতালে অনেক শিশু চিকিৎসার জন্য দেরিতে আসছে।

অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, ‘সমাজ বদলে যাওয়ার কারণে নারী-পুরুষের পরিবার থেকে পৃথক হতে হচ্ছে। এ সংকট মোকাবেলায় সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি দেখা যাচ্ছে না। মাইগ্রেশনের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বেশি।’



বিষয়: #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)