শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

Somoy Channel
বুধবার ● ২৭ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন, ব্যয় ৬৮০ হাজার কোটি টাকা
প্রথম পাতা » বিশেষ প্রতিবেদন » তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন, ব্যয় ৬৮০ হাজার কোটি টাকা
৭৯ বার পঠিত
বুধবার ● ২৭ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন, ব্যয় ৬৮০ হাজার কোটি টাকা

তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন, ব্যয় ৬৮০ হাজার কোটি টাকাতিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ তিনটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৯ কোটি ৮৭ লাখ ৬৭ হাজার ১৫১ টাকা।

২৭মার্চ, বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় ১০ (+১০%) মেগাওয়াট গ্যাস ভিত্তিক ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ট্যারিফ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পন্সর কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের ১৫ বছর চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট তারিখ উত্তীর্ণ হয়।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে আরও ৫ বছর বৃদ্ধি করা হয় যার মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট উত্তীর্ণ হয়। নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে দ্বিতীয় বার আরও ৫ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বাপবিউবো সুপারিশ করে। বাপবিবো এবং নেগোসিয়েশন কমিটি কর্তৃক স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত করে ৩টি গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ৫ বছর বৃদ্ধির জন্য সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫.৮২ টাকা হিসেবে নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বর্ধিত মেয়াদে (৫ বছরে) স্পন্সর কোম্পানিকে ৫৪৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। বর্ণিত প্রস্তাবে ট্যারিফ আগের তুলনায় হ্রাস পাওয়ায় বর্ধিত মেয়াদে প্রায় ৬.৮১ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় হবে।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো: ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পের আওতায় সিপিসি ঠিকাদারের সঙ্গে পঞ্চম সাপ্লিমেন্ট চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় মহেশখালীতে ১টি স্বয়ংসম্পূর্ণ ট্যাংক ফার্ম ও গভীর সমুদ্রে ১টি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুংরিং এবং ১১০ কিলোমিটার দুইটি ডাবল পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চায়না পেট্রোলিয়ম পাইপলাইন ব্যুরোর (সিপিপিবি) সঙ্গে ৪টি সাপ্লিমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে সিপিপি কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন ও পিপিসি’র সুপারিশ মোতাবেক টেস্টিং ও কমিশনিং কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে যথাযথ শক্তির টাগবোট সংগ্রহ, পাইলটেজ এবং আনুষঙ্গিক সার্ভিস অন্তর্ভুক্তির জন্য চায়না পেট্রোলিয়ম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কো. লি. এর সঙ্গে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি অ্যাগ্রিমেন্ট বাবদ ৫.৭০ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬২ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় চুক্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

এছাড়া ‘খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-১ এর পূর্ত কাজের তৃতীয় ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউডি-১১ এর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে ভারতের মেসার্স ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৯০৭ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় তৃতীয় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৭০ কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ১৫১ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে।



বিষয়: #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)