শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
বৃহস্পতিবার ● ৭ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খৎনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবন
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খৎনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবন
১০৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৭ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খৎনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবন

হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খৎনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবনহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খৎনা করার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ১৫ দিন আগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা করে দেয় প্রশাসন।

রাতেই কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত শিশুর চাচা হারুন মিয়া।

শিশুটির স্বজনরা জানান, বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে ১২ বছর বয়সী ছেলে তোফায়েল আহমদ তামিমকে খৎনা করাতে কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে যান নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকার উত্তর ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের স্ত্রী রোকসানা পারভীন। খৎনা করেন ক্লিনিকের চিকিৎসক জাহিরুল ইসলাম জয়। খৎনার সময় পুরুষাঙ্গের অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলায় কিছুক্ষণ পর মারাত্মক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কয়েক দফায় চেষ্টার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে তামিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটে পাঠানো হয়।
এদিকে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ আহমদ আজাদসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে শিশু তামিমের মা রোকসানা পারভীন বলেন, কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে কয়েক দফায় চেষ্টার পরও অবস্থা বেগতিক দেখে আমাদের সিলেটে পাঠায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এখানে ভর্তির পর আরও একঘণ্টা অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন রক্তক্ষরণ কিছুটা বন্ধ হলেও শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন।

তিনি আরও বলেন, খৎনার সময় অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলা হয়েছে। এর ফলে কিছুক্ষণ পরেই রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে ডাক্তার এসে আরও একঘণ্টা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে চেষ্টা করেন। তাতেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। অবস্থা বেগতিক দেখে আমাদের সিলেটে পাঠানো হয়।

জানা যায়, ১৫ দিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করে দেন।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কেন খোলা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এখনও শিশুটিকে দেখতে পারিনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)