শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
বুধবার ● ৬ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত, ঝুঁকিতে ৫৬ প্রজাতি: পরিবেশমন্ত্রী
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত, ঝুঁকিতে ৫৬ প্রজাতি: পরিবেশমন্ত্রী
৪৮ বার পঠিত
বুধবার ● ৬ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত, ঝুঁকিতে ৫৬ প্রজাতি: পরিবেশমন্ত্রী

৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত, ঝুঁকিতে ৫৬ প্রজাতি: পরিবেশমন্ত্রীবাংলাদেশে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত এবং ৫৬ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সরকার বন্যপ্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর বৈধ বাণিজ্য এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পরিষেবা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যপ্রাণী রক্ষার অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

৬ মার্চ, বুধবার দুপুরে বন অধিদফতরে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন’ শ্লোগানে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্বেষণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির টেকসই অভিযোজন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রয়োগে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিবিদ, এবং সংরক্ষণবাদীসহ সকলকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলে।

তিনি বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপ, বাঘের শিকার প্রাণীর বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি ও স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেম, রিয়েল টাইম ডেটা অ্যানালিটিক্স, রেডিও কলারিং প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য রোধের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

সাবের চৌধুরী বলেন, বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের আওতাধীন ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাব এ ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর নমুনা থেকে প্রজাতি চিহ্নিতকরণ এবং জীনগত সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ডিএনএ বারকোড ডেটাবেস তৈরি, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি মাইলফলক। বাংলাদেশে ১ম বারের মতো ২০২২ সালে হাতির রেডিও কলারিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বনাঞ্চলে হাতির বিস্তৃতি ও চলাচল পথ নির্ণয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষে বন অধিদফতরসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ব্যবহার এর জন্য একটি বন্যপ্রাণী অপরাধ রিপোর্টিং টুল তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সারা দেশে বন্যপ্রাণী পাচার অপরাধ সংঘটনের চিত্র খুব সহজেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। আলোচনা করেন ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী, ওয়াইল্ডটিম এবং মুকিত মজুমদার বাবু চেয়ারম্যান প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।

এসময় পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রজেক্ট বেজড চিন্তা-ভাবনা বাদ দিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছরের ৩ মার্চ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস পালিত হয়।



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)