শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
সোমবার ● ৪ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কলেজছাত্র তাহসিন হত্যা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কলেজছাত্র তাহসিন হত্যা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১৬২ বার পঠিত
সোমবার ● ৪ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কলেজছাত্র তাহসিন হত্যা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
কলেজছাত্র তাহসিন হত্যা: ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলাহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কলেজছাত্র সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন (১৮) হত্যার পাঁচ দিন পর ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও চার-পাঁচ জনকে।

রবিবার রাতে নিহত তাহসিনের মা মুড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহফুজা সুলতানা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলো- নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের হেবলু মিয়ার ছেলে মান্না মিয়া (২০), আলাউর মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২১), আনমনু গ্রামের রুমন মিয়ার ছেলে রিহাত মিয়া (২১), রাজাবাদ গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে শাফি মিয়া (২০), গন্ধ্যা গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে রিমন মিয়া (২২), নিজ চৌকি গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে জাকির মিয়া (২০), মাইজগাঁও গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে লাদেন মিয়া (২০), দত্তগ্রামের আব্দুল হাফিজের ছেলে সাজু মিয়া (২৫), গন্ধ্যা গ্রামের মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে সাজ্জাত মিয়া (২৪), মিল্লিক গ্রামের মন্নান মিয়ার ছেলে রাতুল মিয়া (২৩), বানিয়াচং উপজেলার কালাইনজুরা গ্রামের মৃত আরজদ উল্লাহর ছেলে মওদুদ আহমেদ (৪০)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত তাহসিন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। হামলার শিকার ও মামলার সাক্ষী নিহাল আহমেদ মাহি তাহসিনের খালাতো ভাই ও সহপাঠী। আসামিদের কয়েকজন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র। অন্যরা লেখাপড়া করে না। তবে আসামিদের সহপাঠী হিসেবে তারা একসঙ্গে চলাফেরা করে। আসামি মান্নাসহ অন্যরা তাহসিনকে তাদের সঙ্গে চলাফেরা করার জন্য বলে। কিন্তু আসামিদের চালচলন, কথাবার্তা ও আচরণ উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির দেখে তাহসিন তাদের এড়িয়ে চলে। এজন্য আসামিরা তাহসিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

তাহসিন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বাসা থেকে বের হয়ে এইচএসসি নির্বাচনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজে যায়। পরীক্ষা চলাকালে আসামিদের মধ্যে কয়েকজন তাহসিনকে খাতা দেখানোর জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তাহসিন খাতা দেখায়নি। পরীক্ষার পর কলেজের সামনে মাঠে মান্না, জুয়েল, রিহাত ও রাতুল পরীক্ষার হলে খাতা না দেখানোর কারণে তাকে অপমান করে। একপর্যায়ে তারা মুখে ও শরীরে থুথু নিক্ষেপ করে। তাহসিন প্রতিবাদ করলে মান্নাসহ অন্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে কলেজের সিনিয়র ছাত্রদের হস্তক্ষেপে তাহসিন কলেজ ত্যাগ করে বাসায় চলে আসে। বিকালে তাহসিন খালাতো ভাই মাহিকে নিয়ে চা খাওয়ার জন্য নবীগঞ্জ শহরের রাজা কমপ্লেক্স মার্কেটের পেছনে একটি দোকানে যায়। চা খাওয়া অবস্থায় আসামি মান্নাসহ অন্যরা তাহসিনকে গালি-গালাজ করে। পরে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয় তারা। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের সরিয়ে দেয়।

পরে তাহসিন মাহিকে নিয়ে নবীগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত বইমেলায় যায়। তারা রাত ৯টায় বইমেলা থেকে ফেরার পথে ওসমানী রোডের চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের সামনের পৌঁছালে আসামিরা ধারালো দা, লাঠি, লোহার রড, পাইপ, ছুরি দিয়ে হামলা করে। তাহসিনকে সারা শরীরে আঘাত করে পেটে ছুরি মারা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মাহিকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাহসিন মারা যায়। বুধবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ জে কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, ‘তাহসিনের মা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা মামলা রুজু করে গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’



বিষয়: #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)