শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
শনিবার ● ২ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » খেলা » আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে শাবি প্রশাসনের দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ
প্রথম পাতা » খেলা » আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে শাবি প্রশাসনের দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ
৬১ বার পঠিত
শনিবার ● ২ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে শাবি প্রশাসনের দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে শাবি প্রশাসনের দ্বিমুখী নীতির অভিযোগশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কর্তৃপক্ষের দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ উঠেছে।

খেলায় প্রথম রাউন্ডে তিনটি বিভাগে একজন করে সাবেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার অভিযোগ থাকলেও এর মধ্যে দুটি বিভাগকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

বাকি একটি বিভাগকে পুনরায় ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়াতে প্রশ্ন উঠছে, সকল বিভাগই সমান সুযোগ-সুবিধা ও সকলের উপর সমান আইন প্রযোজ্য থাকার কথা। কিন্তু এক বিভাগ কেন বাড়তি সুযোগ পাচ্ছে? এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বিমুখী নীতিকেই দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। সবপক্ষই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।

শিক্ষার্থী ও শারীরিক শিক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা জানান, প্রথম রাউন্ডে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ বনাম জিওগ্রাফি এন্ড এনভারনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (জিইই) বিভাগের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ জয়লাভ করে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপি) বিভাগ বনাম ইংরেজী বিভাগের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইপি বিভাগ জয়লাভ করে। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি সমাজবিজ্ঞান বিভাগ বনাম পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাজবিজ্ঞান জয়লাভ করেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায়, আইপি বিভাগ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ। বিপত্তিবাদে এই রাউন্ডে গিয়ে। এতে প্রথমে গণিত বিভাগের সঙ্গে সমাজবিজ্ঞানের খেলা দিনতারিখ নির্ধারিত হয়।

গণিত বিভাগ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের একজন সাবেক শিক্ষার্থী টিমে খেলেছেন। পরবর্তীতে আইপি বিভাগের টিমে ২০১৩-১৪ সেশনের একজন সাবেক শিক্ষার্থী খেলেছেন এমন অভিযোগ তুলে ইংরেজী বিভাগের খেলোয়াড়রা। সমুদ্রবিজ্ঞানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া আইন অনুযায়ী, বর্তমান শিক্ষার্থীই বিভাগের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অছাত্র বা সাবেক শিক্ষার্থী খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

তবে ‘অছাত্র বা সাবেক শিক্ষার্থী’ নিয়ে খেলায় ক্রীড়া কমিটি শুধু সমাজবিজ্ঞান ও সমুদ্রবিজ্ঞানকে টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করেছেন। কিন্তু আইপি বিভাগকে টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে করে ক্ষোভ জানিয়েছেন নিষিদ্ধ বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীরা।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও টিমের খেলোয়াড় মোহাম্মদ তারেক বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সমাজবিজ্ঞান ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ প্রথম রাউন্ডে হেরে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী পদার্থবিজ্ঞান ও জিইই বিভাগকে পুনরায় ম্যাচ খেলতে রাজি করাতে পারি তাহলে শাস্তি মওকুফ করা হবে। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান ও জিইই বিভাগ পুনরায় খেলতে রাজি হয়নি। কর্তৃপক্ষের দেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে প্রথম রাউন্ডে হেরেও দ্বিতীয় রাউন্ডে কোয়ালিফাই করে পদার্থ ও জিইই বিভাগ।’ একইসঙ্গে আইপি বিভাগ-ইংরেজী বিভাগকে পুনরায় ম্যাচ খেলার সুযোগ দেয় প্রশাসন।

তিনি বলেন, ‘অবশেষে আমরা একপ্রকার বাধ্য হইছি যাতে টুর্নামেন্টটি চলমান থাকে।’

বিগত টুর্নামেন্টগুলোতে সাবেক শিক্ষার্থীরা খেলছেন; তবে অছাত্ররা খেলতে পারবে না এই আইনটাও শিক্ষার্থীদের অনেকের কাছেই অজানা ছিল বলে শিক্ষার্থীদের ভাষ্য।

এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক সউদ বিন আম্বিয়া বলেন, ‘‘খেলোয়াড়দের ছাত্রত্ব ও অছাত্রত্ব নিয়ে সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। ইংরেজি ও আইপি বিভাগের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আবার খেলা শুরু হবে।’’

খেলাধুলা ও ক্রীড়া উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘ইংলিশ ও আইপি ডিপার্টমেন্টকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করতেছি ওরা অংশগ্রহণ করবে।

আইপি বিভাগের টিমের অছাত্র খেলোয়াড়ের ছাত্রত্বের প্রমাণ পেয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, এখনো ‘সে ছাত্র হয় নাই। মাস্টার্স করার জন্য সে অ্যাপ্লাই করছে।’

অছাত্রের রেশ ধরে অন্য দুই বিভাগকে খেলার সুযোগ না দিলেও আইপি বিভাগকে কেন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, এ প্রশ্ন তুমি ভিসি স্যারকে করবা, ভিসি স্যার আইপি ডিপার্টমেন্টকে খেলার সুযোগ দিয়েছে এবং তারা তা মানছে। তবে হ্যাঁ আমি আমার পক্ষ থেকে সমুদ্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে সুযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা সে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে নি। এজন্য আমরা দুইদিন খেলা বন্ধও রাখি। কিন্তু দুইদিন পার হয়ে গেলেও তারা আমাদের কাছে কোন এ্যাপ্লিকেশন দিতে পারিনি।’’

সার্বিক বিষয় জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ কে একাধিক বার কল দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যায় নি।



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)