শনিবার ● ২ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » সাহিত্য রম্যগল্প » #গল্প_হটাৎ_রহস্য
#গল্প_হটাৎ_রহস্য
মায়া এক টানে প্যান্ট খুলে ফেললো রনির ।রনি ঘুম থেকে লাফ মেরে উঠে। দেখে মায়া প্যান্ট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রনি কম্বলটা টেনে লজ্জাস্থান ঢেকে নেয়। এরপর বলল,
- তোমার কি আক্কল জ্ঞান বলতে কিছু নেই?
- আছে রনি সাহেব। সেই আক্কল জ্ঞানের উপরে ভিত্তি করেই প্যান্ট খুললাম।
- তুমি কখনো বদলাবে না? সব সময় এই বাচ্চা বাচ্চা আচরণ কেনো করো।
- কি করবো। কয়টা বাজে এখন। আজ আমাকে কোথায় নিয়ে যাবার কথা মনে আছে?
- মর্গে যাবো,যাবে?
- উফফ মজা করো নাতো? সিলেটের দৃশ্য দেখার জন্য মন চটপট করছে আমার। সকাল ৮ টায় আমরা রওনা দেওয়ার কথা। এখন ১০ টা বাজে। রাগ কি হবেনা আমার? আর ১ মাস পর আমাদের বিয়ে,বউয়ের মন জয় তো করো।
- ওয়েট ওয়েট,তুমি বাসায় ঢুকেছো কেমনে। আম্মু দেখেনি?
- আন্টি বলেছে তোমাকে একটা শিক্ষা দিতে হিহিহি।
- তাই বলে প্যান্ট খুলে ফেলবা? দাও প্যান্ট দাও।
- না দিবো না।
- দিতে বলছি।
- দিবো না, দিবো না, দিবো না।
- মাইর দিবো।
- তবুও দিবো না।
- তোকে আজ খাইছি আমি।
রনি উঠে এসে মায়াকে কোলে তুলে নেয়। এরপর আর শুনার দরকার নাই। স্কিপ করে চলে যাই পরের ঘটনায়
গোসল সেরে রনি মায়াকে নিয়ে বের হয়। বহুদিন ধরে মায়া সিলেটে যাওয়ার বাহানা ধরছিলো। রনি অবশেষে মায়ার কথা তো রেখেছে,কিন্তু বুঝতে পারেনি এই ট্যুর ওদের জন্য একটা অভিশাপ্ত ট্যুর হবে। হ্যাঁ, অভিশাপ্ত ট্যুর। ধীরে ধীরে বুঝে যাবেন।
ব্যাগ নিয়ে দুজনেই ঢাকা মিরপুর থেকে রওনা দেয়। বাসে উঠে মায়া রনির কাধে মাথা রেখে বলতে লাগলো।
- বাস কখন ছাড়বে?
- ১ বছর পর।
- ধুরর ছাই,কোনো কথার উত্তর সঠিক দেয়না।
- দিবো কিভাবে। জানোই ১২ টার বাসে উঠলাম। এখন ১১ঃ৪৭। আর ১৩ মিনিট বাদেই তো ছাড়বে। আজাইরা প্রশ্ন করলে আজাইরা উত্তরই তো দিবো।
- থাক থাক,জ্ঞান দিতে হবেনা।
- তোমারে জ্ঞান দিয়ে আমার ২ টাকা লাভ হবে নাকি।
- একটা পাপ্পি দাও কপালে।
- থাপ্পড় দিয়া জানালা দিয়ে বাহিরে ফেলে দিমু। পাবলিক প্লেসে পাপ্পি কে দিবো।
- ওকে আমি দিচ্ছি।
বলেই মায়া রনির কোলে উঠে,কপালে চুম্বন একে দেয়। ডান পাশের সিটে থাকা দুইটা কাপল মুচকি মুচকি হাসছে। রনি এসব দেখে সংকচবোধ করলো। মায়াকে আবার সিটে বসিয়ে রনি বলল,
- আর একবার পাগলামি করলে,সিলেটে রেখে চলে আসবো।
মায়া মুখ বাকা করে বসে পড়ে।বাস ছেড়ে দেয়। মায়া লাফিয়ে উঠে জানালা খুলে ফেলে। রনিও লাফিয়ে উঠে,তবে ভয়ে। হটাৎ মায়ার এমন কান্ড থেকে ভয় পাবারই কথা। বাস চলছে,মায়া জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছে। রনি আবার সোজা হয়ে বসে পড়ে। মায়া বাহিরের দৃশ্য দেখে কি মজা পাচ্ছে রনির মাথায় ঢুকছেনা। কারণ এখনো গ্রাম অঞ্চল আসেনি। ঢাকা শহরের এই দালানকোঠা সারা বছর দেখে এসেছে। নতুন করে দেখার কি মানে। রনি চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করে৷ বাহিরে বৃষ্টি হবে হয়তো। ঠান্ডা শীতল বাতাস বইতে লাগলো। এই বাতাসে ঘুম ধরতে থাকে রনির। ঘুম জোরালো চোখে নেতিয়ে পড়ে সে।
হটাৎ এক বিকট শব্দে চোখ খুলে যায় রনির। চোখ খুলেই রনি দেখতে পায়,একটা ট্রাকের চাকা বাসের গ্লাস ভেঙ্গে সোজা মায়ার মুখে পড়ে। চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে রনি। চারপাশ স্লো মোসন লাগছে ওর কাছে। রনিদের বাস ফ্লাইওভারের পাশে ধাক্কা খেয়ে নিছে পড়ে যাচ্ছে। সামনে এক্সিডেন্ট হওয়ায় ট্রাকের চাকা মায়ার মুখে পড়ে। মুখের হাড্ডি মাংস ফেটে ছিটকে যায়।গ্লাস ভাঙ্গায় ড্রাউভার কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে। অবশেষে বাস পড়তে থাকে ফ্লাইওভারের নিছে। বাস পড়তে থাকল নিছে। রনি তখনি এক চিৎকার দিয়েই লাফিয়ে উঠলো।
- কি হয়েছে তোমার?
হাপাতে হাপাতে রনি মায়ার দিকে তাকায়। সামনে এবং পিছনে থাকা সিটের লোকজনও রনির দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায়। খারাপ স্বপ্ন দেখেছে সে।রনি চারপাশে ভালো করে দেখে হুট করে মায়াকে জড়িয়ে ধরে। মায়া অবাক হয় কিছুটা। সিটের লোকজন এমন কান্ড দেখে আবার নিজেদের মত করে বসে৷ রনি মায়ার মুখে চোখে কপালে চুম্বন আকতে থাকে। মায়া অবাক হয়ে যায়।
- কি হয়েছে তোমার? এমন করছো কেন?
রনি মুচকি হেসে মায়ার কাধে মাথা ফেলে বলল,” না কিছু না”।
সুন্দরভাবে ওরা সিলেট বাসস্ট্যান্ড নামে। তবে পুরো বাসে রনি খুবি ঘাবড়ে ছিলো।নামতে নামতে রাত ১০ টা বেজে যায়। বাস থেকে নেমে রনি রিসোর্ট এর নাম্বারে কল দেয়। সিলেট ” প্রজাপতি রিসোর্টে ” রুম বুকিং করা আছে। রিসোর্টের নাম্বারে কল দেওয়ার ১০ মিনিট পর একটা কালো রঙ্গের গাড়ি এসে ওদের রিসিভ করে। মায়া আর রনি দুজনেই গাড়িতে উঠে। রনি গাড়িতে উঠার আগে খেয়াল করে,গাড়ির বাহিরে একটা অদ্ভুত স্টিকার লাগানো। যেখানে একটা শয়তানের ট্যাটু, আর মাঝে লেখা P.R। রনি বুঝে নেয়,প্রজাপতি রিসোর্ট সংক্ষেপে দিছে হয়তো। গাড়িতে উঠার পর ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দেয়। মায়া রনিকে বলল,
- আমরা এখন কোথায় যাচ্ছি?
- প্রজাপতি রিসোর্টে। আমি আগেই অনলাইনে রুম বুকিং করে নিয়েছি।
- আচ্ছা শুনো।
- হ্যাঁ বলো?
- আমার খুব পেট ব্যাথা করতেছে।
- কি বলো। বাসে তো উল্টাপাল্টা জিনিষও খাওনি।
- জানিনা। প্রচুর পেট ব্যাথা করছে।
মায়ার কথা শুনে রনি ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে,” ভাই,সামনে কোনো ফার্মেসী পাওয়া যাবে”?। রনির কথা শুনে ড্রাইভার গম্ভীর গলায় বলল, এতো রাতে ফার্মেসী খোলা পাবেন না স্যার”। রনি মায়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
- পেট ব্যাথা কি খুব বেশি?
- এতোটাও না। সকালে নিও মেডিসিন।
- ওকে,রাতটা পার করো কোনোভাবে। রিসোর্টে গিয়ে লেবুর পানি খেয়ে নিও। হালকা লাগবে।
কিছুক্ষণ পর হটাৎ ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক কষলো। রনি আর মায়া ঘুম থেকে জেগে যায়। ড্রাইভার বলল,” রিসোর্ট এসে গেছে স্যার”। রনি গ্লাসের ভিতর থেকে বাহিরে দেখে,বড় করে লেখা প্রজাপতি রিসোর্ট। লাল লাইট দিয়ে নামটা ডিজাইন করা। রনি গাড়ি থেকে নামে। চারপাশে তাকিয়ে দেখে,রিসোর্টের পাশে একটা বড় হাসপাতাল আছে। আর বাম পাশে আরো একটা বড় রিসোর্ট। ওটার নাম ” রাজরানী “। জায়গাটা অনেক সুন্দর। রাস্তার এপাশে অনেক বড় নদীর স্রোত যাচ্ছে। এক পাশে নদীর স্রোত,মাঝে রাস্তা,আর এপাশে রিসোর্ট।অনেক ভালো ফীল পাওয়া যাবে। মায়া গাড়ি থেকে নেমে আসে। রনি ব্যাগ হাতে নেয়। ড্রাইভার কিছু না বলে গাড়ি পার্কে রেখে দেয়। এরপর সে গাড়ি থেকে নেমে সোজা রিসোর্টে ঢুকে যায়। অদ্ভুত লোক। রনি ব্যাগ হাতে নিয়ে মায়া সহ রিসোর্টের ভিতরে আসে। দরজা খুলে ঢুকতেই দেখে,অনেক মানুষ ফুল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রনি আর মায়া ঢুকতেই সবাই ওদের গায়ে ফুল ছিটাতে থাকে। মায়া অনেক খুশি হয়ে গেলো। তখনি একটা লোক আসে ওদের সামনে।কালো শার্ট আর কালো প্যান্ট পড়া৷ মাথায় একটা কালো ক্যাপও আছে। হাতে কালো ঘড়ি,আবার পায়ের জুতাটাও কালো।কিন্তু লোকটা অনেক স্মার্ট এবং ফর্সা। বডি ফিটনেস পুরো পারফেক্ট। লম্বা চাওড়া,মনে হয় ৫-৬ বছর ধরে জিম করে বডি বানিয়েছে। উনি রনির সামনে এসেই হাত বাড়িয়ে রনিকে বলল,
- হ্যালো মিষ্টার রনি। আই এম এলিথ্যান।প্রজাপতি রিসোর্টে আপনাকে স্বাগতম।
- হ্যালো স্যার।
হ্যান্ডশেক করে এলিথ্যান আবার বলল,
- আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?
- না না,সব ঠিকই ছিলো।
- শুকরিয়া। এই নিন আপনার রুমের চাবি।৭ তলা, রুম নাম্বার ২২৯। আপনারা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন। একটু পর খাবার চলে যাবে।
রনি চাবিটা হাতে নিয়ে বলল,
- হুম,ধন্যবাদ।
- স্বাগতম স্যার।
রনি চাবি আর মায়াকে নিয়ে লিপ্টের কাছে যায়। রিসোর্টের কয়েকজন কর্মী ব্যাগ হাতে নিয়ে রুমের দিকে যায়। রনি আর মায়া লিপ্টে উঠে যায়। ৭ তলার দিকে উঠে যাচ্ছে লিপ্ট। তখনি মায়া আবার বলল,” শুনো না,আমার পেট প্রচুর ব্যথা করতেছে। প্লিজ কিছু করো”। মায়ার কথা শুনে রনি বলল,” ঠিক আছে,রুমে চলো। আমি দেখতেছি”।
৭ তলায় এসে লিপ্ট ওপেন হয়ে গেলো। রনি আর মায়া বের হয়ে ২২৯ নাম্বার রুমের দিকে যায়। চাবি দিয়ে দরজা খুলেই রুমে প্রবেশ করে। অনেক সুন্দর করে রুম সাজানো। মায়াকে সোপায় বসিয়ে রনি বলল,” পাশে একটা হসপিটাল দেখেছিলাম। ওখানে সম্ভবত ব্যথার ট্যাবলেট পাবো। তুমি ১০ মিনিট অপেক্ষা করো। আমি যাবো আর আসবো”। রনি বের হতে যাবে, তখনি মায়া বলল,”
-রনি, দাড়াও।
- হুম বলো?
- এদিকে আসো?
- কেন?
- আসো তো?
রনি মায়ার সামনে এসে দাড়ায়। মায়া বলল,
- আমার কপালে কিস করো?
রনি মায়াকে মুখ ভেঙ্গিয়ে বলল,
- বাথরুমে ১ ঘন্টা বেধে রাখুম। যাবি?
- উফফ দাও না।
- আইসা দিতেছি।হুহুহু ( বলেই রনি চলে যেতে লাগলো)
- শয়তান পোলা।
- তোর দাদা শয়তান।
রনি লিপ্টে এসে নিচতলায় নামে। সামনেই এলিথ্যান পড়ে। এলিথ্যান রনিকে বলল,
- কোথায় যাচ্ছেন স্যার,কোনো সমস্যা?
- হুম। পাশের হসপিটালটা খোলা আছে?
- হ্যাঁ, কিন্তু কেন?
- মায়ার পেটে একটু ব্যাথা বেড়েছে। কিছু মেডিসিন আনবো।
- আপনি কষ্ট করে কেনো যাচ্ছেন।আমরা আমাদের স্টাফদের পাঠাচ্ছি।
- নো প্রব্লেম। পাশেই আছে। আমি গিয়ে নিয়ে আসি।
- ওকে স্যার।
রনি রিসোর্ট থেকে নেমে বাহিরে আসে। গেট দিয়ে বের হয়ে,পাশের গেটে প্রবেশ করে৷ হসপিটালে প্রবেশ করে দেখে,ভিতরে কয়েকজন মাত্র লোক। হসপিটাল বন্ধ হবার সময় হয়ে গেছে। রনি দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করে,” হসপিটাল কি খোলা”?। দারোয়ান রনির দিকে তাকিয়ে,আগে আগাগোড়া দেখে। রনি কিছুটা বিষ্ময়কর হলো। এইভাবে লোকটা তাকে দেখছে কেন। দারোয়ান অনেক্ষন পর বলল,” সবাই চলে গেছে। ভিতরে শুধু একজন ডাক্তার আছে”। রনি আর কিছু না বলে ভিতরে প্রবেশ করে। গিয়ে দেখে একটা মেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে। রনি তাকে ডাক দিয়ে মায়ার ব্যাপারে বলল। ডাক্তারও যা যা দরকার দিয়েছে। রনি বের হবার সময় ডাক্তারকে বলল,” আপনাদের গেটের বাহিরে যে দারোয়ান, উনি কি পাগল”?। রনির কথা শুনে ডাক্তার রনির দিকে তাকিয়ে আছে। রনি গলার ঢিপ গিলে বলল,” না মানে,এমনিই জিজ্ঞেস করলাম”। ডাক্তার আর কিছু বলল না। রনি বের হবার সময় পকেট থেকে ফোন বের করে।ফেসবুকে স্টাটাস দিলো,
Finally Sylhet Cholei Elam… Now Happy Moment Enjoy Korar Time.
ফোন টিপতে টিপতে রনি গেট থেকে বের হয়ে গেছে। রাস্তায় এসে ডান দিকে ঘুরে ফোনটা পকেটে রাখে। এরপর মাথা উঁচু করতেই, রনির গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। হাত থেকে ওষুধের পলিথিন পড়ে যায়৷ বুক থরথর করে কাপতে থাকে। মাথাটা ঝিম মেরে উঠে রনির।
রনি দেখতে পায়,সামনে কোনো রিসোর্ট নেই। এইটা একটা কবরস্থান। ডান পাশে হসপিটাল ঠিকই আছে,বাম পাশে “রাজরানী রিসোর্ট “। কিন্তু মাঝে শুধু একটা কবরস্থান। এখানে ৫ মিনিট আগেই প্রজাপতি রিসোর্ট ছিলো। রনির মস্তিষ্কে প্রচুর চাপ পড়ায় হুট করে বমি করে দেয়। বমি করেই রনি রাস্তায় মুখ উপচে পড়ে। থুতনিতে আঘাত খেয়ে থুতনি ফেটে যায়। রাস্তায় লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ে রনি। পুরো দেহ দুর্বল হয়ে যায়। হটাৎ রনির চোখ ঝিমঝিম করতে থাকে। আর জ্ঞান হারায়।
ঘড়িতে টিকটিক করে সেকেন্ডের কাটা দৌড়াচ্ছে। হটাৎ রনি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে লাফ মেরে উঠে। রাস্তায় বসেই রনি পিছনে তাকায়। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে,রাত ০২ঃ৫৮ মিনিট। তিনটার কাছাকাছি। সে কবরস্থানের সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। হসপিটাল আর রাজরানী রিসোর্টের মাঝে প্রজাপতি রিসোর্ট নেই। রনি ভাবতে লাগলো,গাড়িতে একটা শয়তানের স্টিকার ছিলো,তবে কি এখানে কোনো কারণ ছিলো? আর বাস স্ট্যান্ড থেকে কল দেওয়ার ১০ মিনিটের মাঝেই গাড়ি উপস্থিত হয়েছে,কিন্তু এখানে আসতে প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি লেগেছে। এদিকে রিসোর্টে এলিথ্যান নামক লোকটার নাম তো বৈদেশিক লোকদের মত লাগছে। নামটাও অদ্ভুত। কিছু তো কারণ আছে। ঘটনা কিছুই মাথায় আসছেনা। রনির বুক চেপে কান্না বের হচ্ছে। না পেরে রনি “মায়া” বলে, জোরে চিৎকার দিতে লাগলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত
বিষয়: #গল্প #রহস্য #হটাৎ