শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
শনিবার ● ২ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শীত কমতেই সিলেটে বেড়েছে মশার উৎপাত
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » শীত কমতেই সিলেটে বেড়েছে মশার উৎপাত
৭৪ বার পঠিত
শনিবার ● ২ মার্চ ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শীত কমতেই সিলেটে বেড়েছে মশার উৎপাত

শীত কমতেই সিলেটে বেড়েছে মশার উৎপাতদিন দিন দুর্ভোগের নগরীতে পরিণত হচ্ছে সিলেট। কোনো মৌসুমেই নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারছে না। বর্ষাকালে ভুগতে হয় জলাবদ্ধতায় আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলার দুর্ভোগ। এখন পোহাতে হচ্ছে মশার উৎপাত। ঘরে-বাইরে, বাসা কিংবা অফিস সব জায়গায় মশা। শীত কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে সিলেট মহানগরীতে বেড়েছে মশার উৎপাত। মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে গতবারের মতো এবারও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নগরবাসী বলছেন, মশক নিধন কর্মীদের মাঠে তেমন দেখা যায় না। শীতের শেষে মশার উপদ্রব বাড়বে, সেটা মাথায় রেখে সিলেট সিটি করপোরেশনের আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু কোথাও তাদের এ ব্যাপারে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কয়েল, এরোসল, মশা নিয়ন্ত্রণের ওষুধেও দমন করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। সন্ধ্যার দিকে ছেলেমেয়েরা পড়তে বসতে পারছে না।

মদিনা মার্কেট এলাকার বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন জানান, সন্ধ্যা হলেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ করেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। ডেঙ্গুর সময় সিটি করপোরেশন যেভাবে মাঠে নেমেছিল পরবর্তী সময়ে মশক নিধন কর্মীদের আর সেভাবে ওষুধ ছিটাতে দেখা যায়নি। তদের গতি কমেছে। এ সুযোগে বেড়েছে মশা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে কোথাও দাঁড়ালেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঘিরে ধরছে। বাসায় তো মশারি ছাড়া টেকাই যায় না।

করিম উল্লাহ মার্কেটে মার্কেটের ব্যবসায়ী সালমান জানা, দিনের বেলাই মার্কেটে বসা যাচ্ছে না। রাতে তো আরো খারাপ পরিস্থিতি। বাসাবাড়িতে মশার উপদ্রব আরো বেশি। অথচ সিলেট সিটি করপোরেশনের যেন কোনো মাথাব্যথা নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিশেষ মৌসুম বা নির্দিষ্ট সময়ে ডেঙ্গুবিরোধী তৎপরতা চালালে হবে না। বরং বছরব্যাপী এ কার্যক্রম জোরদার রাখতে হবে।

নগরভবন সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় নিয়মমাফিক কীটনাশক প্রয়োগ না করায় মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মশা নিয়ন্ত্রণ করতে একটি এলাকায় ১৫ দিন পর একবার করে স্প্রে এবং এর ১৫ দিন পর ফগার মেশিন ব্যবহার করতে হয়। এভাবে চার-ছয়বার স্প্রে করতে পারলে দীর্ঘমেয়াদি ফল পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। স্প্রে করার পাঁচ-সাতদিনের মধ্যে ফগিং করতে হচ্ছে। ফলে অভিযানের সুফল মিলছে না। একসময় নগরীতে ২৭টি ওয়ার্ড ছিল। এখন এর পরিধি বেড়ে ৪২টিতে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে মশক নিধনে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

মশার উপদ্রবের ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য সিসিকের স্থায়ী কোনো জনবল নেই। দৈনিক মজুরিতে লোক নিয়োগ করে চালানো হয় কার্যক্রম। নগরীর একটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য দৈনিক মজুরি বাবদ ৩৬ হাজার টাকা দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের মাধ্যমেই পরিচালিত হয় মশক নিধন কার্যক্রম। প্রতি ওয়ার্ডে আড়াই থেকে তিন মাসব্যাপী কার্যক্রমে ৯০ জনকে দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে এটা পর্যাপ্ত নয়। পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ওষুধ ছিটানো, জঙ্গল পরিষ্কার সবই একসঙ্গে করতে হয়। তাছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে একটি বা দুটি ওয়ার্ড করে মশকনিধন কার্যক্রম চালিয়ে দীর্ঘস্থায়ী কোনো সুফল আসবে না। এজন্য এ বছর ৪২টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে অভিযান চালানো হবে। একই সাথে এ বিষয়ে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে।



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)