শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
মঙ্গলবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জামালগঞ্জে শতকোটি টাকার সবজি উৎপাদন
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » জামালগঞ্জে শতকোটি টাকার সবজি উৎপাদন
৬০ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জামালগঞ্জে শতকোটি টাকার সবজি উৎপাদন

ওয়ালী উল্লাহ সরকার জামালগঞ্জ

জামালগঞ্জে শতকোটি টাকার সবজি উৎপাদনশস্য ভান্ডার নামে খ্যাত জামালগঞ্জে আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। এই মৌসুমে প্রায় শতকোটি টাকার শীতকালীন আগাম সবজি উৎপাদিত হয়েছে। ভালো উৎপাদনের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে সবজির বাজার। এখন সারা বছরই জামালগঞ্জের মন্নান ঘাট বাজারে সবজির কেনাবেচা হয়। তবে শীতকালে সবচেয়ে বেশী সবজির আবাদ হয়। নিরাপদ ও বালাইমুক্ত সবজি দেশের বিভিন্ন স্থান সহ বিদেশেও রপ্তানী হয়। ভালো দাম পাওয়ায় প্রতিবছর বাড়ছে সবজির আবাদ। অনুকূল আবহাওয়া কৃষি বিভাগের পরামর্শে সবজির ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃষক।

শুধু নিজেদের চাহিদা নয়, বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে সবজী। সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে করলা, লাউ, শিম, ফুলকপি, বাধাকপি, মরিচ, লালশাক, মুলা, গাজর, শালগম, ডাটা, উচ্ছে , পাতি লাউ, লাইশাক, মিষ্টি কুমড়া, স্কোয়াশ, খিরা, শসা, জারশিম, বেগুন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ১৪৪০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৯০ হেক্টর টমেটো, ৪০ হেক্টর বেগুন, ৩৩০ হেক্টর করলা, ৫ হেক্টর বেগুন, ৩০০ হেক্টর ফুলকপি, ২৫ হেক্টর আলু, ৭৫ হেক্টর লালশাক, ৩০ হেক্টর বেগুন, ২৫৫ হেক্টর সরিষা। এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরাসরি ঢাকা, ময়মনসিংহ, ভৈরব, নেত্রকোনা, সহ বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হয়। ঢাকা থেকে বিদেশেও রপ্তানী করা হচ্ছে এসব পণ্য। শীতে নানা জাতের সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

মন্নানঘাটের সবজির আড়ৎদার ব্যবসায়ী মো. ফসাদ মিয়া বলেন, এবার শীতকালীন সবজির ফলন ভালো হয়েছে। বিশেষ করে করলা, ফুলকপি, বেগুন, বাধকপি সিম, আলু, টমেটু, উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার সবজি বেচা—কেনা হয় এই বাজারে। ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও মিনি ট্রাকে এসব পণ্য পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
করলা চাষী রামপুর গ্রামের মনফর আলী বলেন, শীতকালীন সবজি করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। দেড় বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। সবমিলিয়ে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এপর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা বিক্রয় হয়েছে। আরও ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আলা উদ্দিন বলেন, চলতি বছর জামালগঞ্জ উপজেলায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। সবজিতে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। শীতকালীন নানা জাতের সবজি চাষ করে কৃষকেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে।



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)