সোমবার ● ২০ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ইমিগ্রেশন ভিসার গতি বাড়ছে
ইমিগ্রেশন ভিসার গতি বাড়ছে
নতুন অফিসে কাজ শুরুর পরই কম্যুনিটির জন্য আশাব্যঞ্জক সংবাদ দিলেন অ্যাটর্নি জন্নাতুল রুমা। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি জানালেন, ইউএসসিআইএস বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পারিবারিক কোটায় গ্রিনকার্ডের প্রসেসিংয়ের প্রক্রিয়াকে দ্রত করতে। শুধু তাই নয়, দক্ষ কর্মীর ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ইস্যুতেও ধিরগতি কমানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অ্যাটর্নি রুমা নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ৭৪ স্ট্রিটের অফিস ছেড়ে ৭৫ স্ট্রিটে (৩৭-৫১ ৭৫ স্ট্রিট, অর্থাৎ ৩৭ এভিনিউ এবং ৩৭ রোডের মধ্যে) উঠেছেন। নিরিবিলি পরিবেশে এ অফিসেই কথা হচ্ছিল ইমিগ্রেশনের হাল-হকিকত নিয়ে।
অ্যাটর্নি রুমা জানালেন, করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে টানা তিন বছরের মত কার্যক্রম এক ধরনের স্থবিরতায় আক্রান্ত হয়েছিল। গত বছর হঠাৎ করে তা শুরু হওয়ায় জট দেখা দেয়। কারণ, ট্রাম্পের আমলে ইমিগ্রেশনের অনেক কর্মচারি ছাটাই করা হয়েছে। তেমনি অবস্থায় জট কমানো দূরের কথা স্বাভাবিক কার্যক্রমও অব্যাহত রাখতে হিমসিম খাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। এখন ইউএসসিআইএস চেষ্টা করছে ধীরগতি কমিয়ে আনতে। যার সুফল কিছুটা হলেও দেখতে পাচ্ছি।
অ্যাটর্নি রুমা বলেন, গ্রিনকার্ডের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে ৭৬ লাখের মত। এরমধ্যে স্কিল্ড ওয়ার্কার হিসেবে গ্রিনকার্ডের পেন্ডিংয়ের সংখ্যা ১৮ লাখ। অবশিষ্টগুলো পারিবারিক কোটা।
অ্যাটর্নি রুমা বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসাইলাম মঞ্জুরির পরের সপ্তাহেই গ্রিনকার্ডের আবেদন করা যাচ্ছে এবং খুবই স্বল্প সময়ে তা চলে আসছে। আগে আবেদনই করতে হতো এক বছর পর। একইভাবে পারিবারিক কোটায়ও (আই-১৩০)জট কমতে শুরু করেছে। এ্যাপ্রুভাল আসছে দ্রুত। এসাইলাম অথবা অন্য কোন প্রোগ্রামে আবেদন গ্রহণের পর ওয়ার্ক পারমিট পেতেও সময় অনেক কমেছে।
রুমা বলেন, সিটিজেনশিপের আবেদন প্রসেসিংয়ের সময়ও অনেক কমেছে। ৪/৫ মাসের মধ্যেই ইন্টারভিউ হচ্ছে। তিনি বলেন, এফ-২ এ হচ্ছে গ্রীনকার্ডধারিগণের ২১ বছরের কম বয়সী সন্তানের জন্য ভিসার আবেদন প্রসেসিং, (নভেম্বরের ভিসা বুলেটিন অনুযায়ী) বর্তমানে ফেব্রুয়ারি-০৮, ২০১৯, এবং এফ-২ বি ক্যাটাগরিতে (গ্রিনকার্ডধারির ২১ বছরের অধিক বয়সী অবিবাহিত সন্তান) ২২ সেপ্টেম্বর’২০১৫এর মধ্যে অনুমোদিতদের ইন্টারভিউ চলছে। তবে গত দু’মাসের তুলনামূলক আলোচনায় খুব বেশি আগাচ্ছে না। এর আগে অনেকটাই উঠানামা করেছিল।
অ্যাটর্নি রুমা উল্লেখ করেন, আগস্ট থেকে কিছুটা হলেও ব্যাকলগ কমেছে। এটাই সুসংবাদ যে, কিছুটা হলেও নাড়াচাড়া করতে শুরু করেছে। আগে তো থমকে ছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৩৮৭৫৫ জনের ইন্টারভিউয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। আগস্টে এ সংখ্যা ছিল ৩৯৩৪৭। অক্টোবরের তথ্য পেতে আরো কদিন অপেক্ষা করতে হবে।
অসাধারণ ক্ষমতা অথবা কৃতিত্বের অধিকারিদের জন্য ইবি-১, এডভান্সড ডিগ্রি অথবা ব্যতিক্রমী মেধাসম্পন্নদের জন্য ইবি-২, দক্ষ শ্রমিক, পেশাদার অথবা অন্য শ্রেণির কর্মীর জন্য ইবি-৩, স্পেশাল ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্যে ইবি-৪ এবং ইবি-৫ হচ্ছে বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রিনকার্ডের ভিসা। এগুলোর প্রসেসিংয়ের জটও কমিয়ে আনার অভিপ্রায়ে লোকবল নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জেনেছি।
রুমা কম্যুনিটির জন্য পরামর্শ দিয়েছেন যে, অভিবাসীদের গড়া এই আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অভিজ্ঞ অ্যাটর্নির পরামর্শক্রমে আবেদন সাবমিট করা উচিত। সাবমিশনের সময়ে যদি ক্রটি না থাকে অথবা প্রয়োজনীয় ডক্যুমেন্টের ঘাটতি না থাকে, তাহলে দ্রুত রেজাল্ট পাওয়া যায়। একবার ত্রুটি ধরা পড়লে খেসারত দিতে হয় দীর্ঘ সময়। এমনকি এসাইলাম অফিসার/বিচারকও সন্দেহ পোষণ করেন আবেদনে বর্ণিত ঘটনায়।
বিডি-প্রতিদিন
বিষয়: #ইমিগ্রেশন