শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
বৃহস্পতিবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভালুকা পৌরসভায় কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় আহত ৩, থানায় মামলা
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভালুকা পৌরসভায় কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় আহত ৩, থানায় মামলা
৬৪ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভালুকা পৌরসভায় কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় আহত ৩, থানায় মামলা

ভালুকা পৌরসভায় কাউন্সিলর এর নেতৃত্বে হামলার ঘটনায় আহত ৩, থানায় মামলানিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর, পেনেল মেয়র-২ মোঃ হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নারী পুরুষ সহ আহত হয়েছেন তিনজন। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও পেনেল মেয়র-২ মোঃ হুমায়ুন কবির (৫০), মোঃ সাব্বির আহাম্মেদ (৪৫), আরিয়ান হাসান মুগ্ধ (২০), আলাল উদ্দিন (৩৮), মোঃ ফিরোজ মিয়া (৫৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনদের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার মামলা নং- ২৬/৫৯, তারিখ-১৩/০২/২৩।

মামলা ও মামলার বাদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাজার বাসিন্দা আরিফ খন্দকার লিমন (৩৫) গণমাধ্যমকে বলেন, বিবাদীগন আমার বাড়ির পাশাপাশি বাড়ীর লোক। ১নং বিবাদী ভালুকা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও পেনেল মেয়র-২। বিবাদীগন মাদক সেবনকারী, দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির ও আইন অমান্যকারী খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে অন্যান্য বিবাদীগন এলাকার বিভিন্ন অপরাধ কর্মের সহিত জড়িত। আমরা নিরীহ মানুষ বিধায় বিবাদীদের ভয়ে বিবাদীদের সকল প্রকার নির্যাতন সহ্য করিয়া আসিতেছি। বিবাদীগন প্রতিহিংসামূলক ভাবে ১নং বিবাদীর ৩ তলা ভবনের উপর হইতে আমাদের টিনসেট ঘরের চালের উপর ইট পাটেকেল নিক্ষেপ করে। এই নিয়ে বিবাদীদের কিছু বলিতে গেলে সকল বিবাদীগন আমাদের খুন জখমের হুমকি প্রদান করে এবং ক্ষতিসাধনের সুযোগ খুজিতে থাকে। ঘটনার দিন- (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ১নং বিবাদীর তিন তলা ভবনের ছাদের উপর হইতে আমার সহোদর বড় ভাই আলমগীর খন্দকার (৪৫) এর বসত ঘরের টিনের চালের উপর ইট নিক্ষেপ করিলে আমার ভাই আলমগীর হোসেন ঘুম হইতে জাগ্রত হইয়া বিবাদীদের বাড়ীতে যাইয়া বিষয়টি অবগত করিলে সকল বিবাদীগন আমার ভাই আলমগীর খন্দকার কে গালিগালাজ করিয়া মারপিট করিতে উদ্যত -হইলে বিবাদীদের ভয়ে বাড়ীতে চলিয়া আসে। এরপর বিবাদীগন ধারালো দা, ছুরা, লোহার শাবল, কুড়াল, লোহার রড, বাশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতাবন্ধে ভালুকা থানাধীন পশ্চিম বাজার ২নং ওয়ার্ড সাকিনস্থ আমাদের বসত বাড়ীতে অনধিকারে প্রবেশ করিয়া আমাদের বসত ঘরের দরজা জানালা টিনের গেইট ভাংচুর করিয়া ঘরের ভিতরে প্রবেশ করিয়া আমার ভাই আলমগীর খন্দকার কে ধাক্কাইয়া বাড়ী হইতে বাহির করিয়া রাস্তায় নিয়ে সকল বিবাদীগন তাহাদের হাতে থাকা লাঠি শোঠা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকে। আমার ভাই আলমগীর খন্দকার এর মাথায় উপর্যপুরি কুপ মারিয়া মাথার বাম পাশে ও তালুতে কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। আমার চাচি ঝর্না আক্তার (৫৬) ও আমার মা বাছিরন নেছা (৬৩) ফিরাইতে গেলে চাচির ডান পায়ের টাকনুতে হাড় ভাংগা গুরুতর জখম করে ও আমার মায়ের ডান হাতে ও মুখে কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং মায়ের গলায় থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্নের একটি চেইন ছিড়িয়া নিয়ে যায়।

চিৎকার শুনিয়া আশ পাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীগন আমার ভাই আলমগীর খন্দকার কে সহ আমাদের পরিবারের সদস্যদের সুযোগমত পাইলে খুন করিবে বলিয়া হুমকি দিয়ে চলিয়া যায় পরবর্তীতে আমার ভাই আলমগীর খন্দকার, মা ও চাবিকে আহত অবস্থায় আশ পাশের লোকজন উদ্ধার করিয়া ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করিলে আমার ভাই ও চাচির অবস্থা আশংকা জনক দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে আমার ভাই আলমগীর খন্দকার ও চাচি ঝর্না আক্তার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।

মামলার বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল আকন্দ বলে, এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)