শনিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » সুনামগঞ্জ » হাওরে ইংরেজি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে সীমান্ত’র ই-প্ল্যানেট
হাওরে ইংরেজি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে সীমান্ত’র ই-প্ল্যানেট
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন প্রত্যন্ত এই হাওর বেষ্টিত দ্বীপের মত ছোট একটি উপজেলা শাল্লা। সেখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দিতে চালু হয়েছে ই-প্ল্যানেট নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সেখানে বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় গুরুত্ব সহকারে শিক্ষার্থীদেরকে উদ্বুদ্ধ হওয়ায় শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পথে শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামের পাশাপাশি আলো ছড়াচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এলাকায়।
আর এই কাজটি করছেন সীমান্ত তালুকদার সুমন। তিনি একজন স্মার্ট তরুণ উপজেলার শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক,এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
তার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত হাওর পাড়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে,আঁধারে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন অভিভাবক।
আর সবার সহযোগিতা পেলে এর সুনাম দিনদিন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার সিইও সীমান্ত তালুকদার সুমন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,উপজেলা সদরের ডুমড়া মিশন রোডে প্রতিষ্ঠানটির সূচনা চলতি বছরের ১ তারিখ থেকে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ৪র্থ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ১১০ জন। অল্প দিনেই ইংরেজি শিক্ষায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার পাশাপাশি প্রশংসনীয় এ প্রতিষ্ঠানটি। আরও জানাযায়, একটি ডায়াস ও বিভিন্ন স্থিরচিত্র দিয়ে নানাভাবে ই-প্ল্যানেটের অফিসটি সাজিয়েছেন তিনি। ই-প্ল্যানেটের অফিসের ভেতরের পরিবেশটি খুব সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। ডায়াসের সামনে দাড়িয়ে অনর্গল ইংরেজি ভাষায় চর্চা করতে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থীকে। বিভিন্ন রংঙ্গে সাজানো গুছানো পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাল ও সুন্দর চিন্তার উদ্ভব ঘটছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক সীমান্ত তালুকদার সুমনের ব্যক্তিগত ব্যয়ভার নিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি। নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার অসহায় গরীব মানুষের জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দুস্থ মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছেন। মুমূষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্ত দেওয়া, বন্যা ও বিভিন্ন সময়ে হত দরিদ্রদের মাঝে,শীতবস্ত্র,ত্রাণ বিতরণসহ নানা কার্যক্রম করতে দেখা গেছে তাকে।
অবিভাবক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাস বলেন,প্রত্যন্ত অঞ্চলে এরকম একটি উদ্যােগকে স্বাগত জানায়। বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষায় তার (সীমান্ত’র) ই-প্ল্যানেট প্রতিষ্ঠানটি অল্প দিনেই এলাকায় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আমি চাই প্রত্যেকটি শিক্ষকের মনে এরকম পরিবেশ তৈরি হউক। এতে দেশ ও জাতি অনেক উপকৃত হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ই-প্ল্যানেটের প্রতিষ্ঠাতা ও ফাউন্ডার সিইও সীমান্ত তালুকদার সুমন বলেন,শাল্লা আমার জন্মভূমি। আমি চাই শাল্লার ছাত্রছাত্রীরা অনেক ভালো জায়গায় অবস্থান তৈরি করে শাল্লা তথা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক। সে লক্ষ্যই ই-প্ল্যানেটে প্রতিদিন সকাল ৬:৩০ থেকে ৮:৪০ মিনিট ও বিকাল ৪:৩০ থেকে কোনো দিন ৬:৩০ কোনোদিন ৫:৩০ পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন,প্রত্যেকটি ভাষারই চারটি ধাপ থাকে। সেই চারটি ধাপ হলো শুনা,বলা, পড়া এবং লেখা। আমি সেগুলো নিয়েই কাজ করছি। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ইংরেজি ভাষার কোনো বিকল্প নেই৷ সরকারি/বেসরকারি চাকরি,দেশ কিংবা বিদেশের ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে কিংবা ভর্তির ক্ষেত্রে ইংরেজি জানাটা এখন খুবই জরুরি। তিনি বলেন,সব চাইতে বড় কথা হলো কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ইংরেজি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভালো ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়াটাও জরুরি। আমি তাদেরকে সেই শিক্ষাটাও দেওয়ার চেষ্টা করছি।
বিষয়: #আলো #ইংরেজি #শিক্ষা #সীমান্ত #হাওর