শুক্রবার ● ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » প্রধানমন্ত্রীকে গাম্বিয়া, ফিলিপাইন ও আইটিইউ মহাসচিবের অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রীকে গাম্বিয়া, ফিলিপাইন ও আইটিইউ মহাসচিবের অভিনন্দন
আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ আর মার্কোস আইআর ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব ডোরেন বোগদান-মার্টিন। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে তারা অভিনন্দন জানান।
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা লিখেছেন, গাম্বিয়ার সরকার ও জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আপনাকে আমাদের উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
আমি আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য গাম্বিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকারের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করার এই সুযোগটি নিতে চাই। আমি আপনাকে পুনরায় নিশ্চিত করতে চাই, গাম্বিয়া সরকার গাম্বিয়া প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বকে মূল্য দেয়।
আরেক চিঠিতে মার্কোস লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে ফিলিপাইন সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ফিলিপাইন বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের জন্য নতুনভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দেয়। কারণ আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং আমাদের উভয় জনগণের স্বার্থে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করার জন্য আমাদের ইচ্ছাকে পুনর্ব্যক্ত করছি।
চিঠির শেষে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি আপনার সাফল্য কামনা করি। কারণ আপনি আপনার দেশকে আরও অব্যাহত উন্নয়ন এবং অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের রায় পেয়েছেন।
এদিকে শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে আইটিইউয়ের মহাসচিব বলেন, আমি গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আপনার সাফল্যের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধি, ঐক্য, প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিটি সাফল্য কামনা করছি।
ডোরেন বোগদান-মার্টিন উল্লেখ করেছেন, আইটিইউ বছরের পর বছর ধরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং জাতীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সার্বজনীন সংযোগ এবং একটি টেকসই ডিজিটাল দেশে রুপান্তর করার জন্য বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা করেছে।
আইটিইউ মহাসচিব আরও বলেন, আমি আইসিটি-এর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতিতে আপনার দেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি এবং পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই এবং আমি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের অব্যাহত সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি।
মহাসচিব আরও বলেন, জেনেভাতে আমার অফিস এবং ব্যাংককে অবস্থিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আইটিইউ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে, আমি আপনাকে বাংলাদেশ ও আইটিইউ-এর মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখতে আমার পূর্ণ সমর্থনের নিশ্চয়তা দিতে পারি।
ডোরেন বোগদান-মার্টিন এই বলে শেষ করেন, আমরা আপনার দেশকে টেলিকমিউনিকেশন এবং আইটি ক্ষেত্রে যেকোনো উপায়ে সহায়তা করার জন্য বরাবরের মতো প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত সফল সহযোগিতার জন্য অপেক্ষায় আছি।
বিষয়: #নির্বাচন ২০২৪