শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

Somoy Channel
বুধবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে শতাধিক ‘গোপন চোখ’র মধ্যে সচল মাত্র ৩০টি!
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে শতাধিক ‘গোপন চোখ’র মধ্যে সচল মাত্র ৩০টি!
৭৭ বার পঠিত
বুধবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সিলেটে শতাধিক ‘গোপন চোখ’র মধ্যে সচল মাত্র ৩০টি!

সিলেটে শতাধিক ‘গোপন চোখ’র মধ্যে সচল মাত্র ৩০টি!সিলেটকে দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলো সরকার। শহরজুড়ে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা, ফেস রিকগনিশন ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অটোমেশন ব্যবস্থা চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এই তিনটির মধ্যে দুটি সেবা চালুর কিছুদিন পরই মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর চালুই হয়নি একটি, আছে থমকে।

২০১৭ সালে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের অধীনে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটে ডিজিটাল শহরকরণ প্রকল্পটি যখন নেওয়া হয়, তখন শুরুতে একটি বৈঠক করে সিলেট সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়, এটিকে ডিজিটাল শহর করা হবে। তখন এ খবরে খুশি হয়েছিলেন সে সময়ের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতেও শহর ডিজিটাল করার বিষয়টি রেখেছিলেন। এরপর দুই বছর ট্রায়াল রান করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। এরপর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) হুট করে জানতে পারে- ১০টি ফেস রিকগনিশন ক্যামেরাসহ ১১০টি পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা তাদেরই অপারেট করতে হবে এবং এগুলোর ব্যবস্থাপনার ব্যয় তাদেরই বহন করতে হবে।

বর্তমানে সিসি টিভির দায়িত্বে থাকা সিলেট মহানগর পুলিশের ক্যামেরা নজরদারি হচ্ছে কোতোয়ালি থানায়। সেখানে ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে সচল মাত্র ৩০টি।

প্রথমদিকে এটি পুলিশের অপরাধ তদন্তে বেশ কাজে এসেছিল। ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর প্লেট শনাক্ত করে ডাকাত ধরাও হয়েছিল ফেস রিকগনিশন ক্যামেরার মাধ্যমে। তবে এ সুবিধা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ১১০টি ক্যামেরার মধ্যে বর্তমানে সচল ৩০টি। অর্থাভাবে সেগুলোও বিকল হওয়ার পথে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহরিয়ার আলম এ বিষয়ে বলেন, ‘এটি প্রথমে আমাদের খুব উপকারে এসেছিল। সম্প্রতি হোটেল অনুরাগে একজন সবজি ফেরিওয়ালা খুন হয়েছিলেন। সেই খুনিকেও এই ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলোর ব্যবস্থাপনায় বিপুল অর্থের প্রয়োজন। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে এটির জন্য বাড়তি বরাদ্দ নেই। আমরা হিসাব করে দেখেছি প্রতিবছর এর ব্যবস্থাপনায় খরচ হবে ৯২ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এ মুহূর্তে এগুলোর জন্য প্রতি শিফটে দুজন করে তিন শিফটে ছয়জন কাজ করছে। প্রথমে ১১০টি ক্যামেরাই সচল ছিল, কিন্তু কেবল নষ্ট হয়ে অধিকাংশ ক্যামেরার সার্ভিস বন্ধ রয়েছে দুই বছরের কাছাকাছি।’



বিষয়: #  #  #  #  #  #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)