শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Somoy Channel
মঙ্গলবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » তাহিরপুরে অপ্রয়োজনীয় পিআইসি গঠন,বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকা
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » তাহিরপুরে অপ্রয়োজনীয় পিআইসি গঠন,বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকা
৮৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তাহিরপুরে অপ্রয়োজনীয় পিআইসি গঠন,বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
তাহিরপুরে অপ্রয়োজনীয় পিআইসি গঠন,বরাদ্দ ১৩ লাখ টাকাঅপ্রয়োজনীয় পিআইসি গঠন করে হাওর রক্ষা বাঁধের টাকা দিয়ে নামকাঅস্তে মাটি ফেলে সড়ক মেরামত করা হয়েছে। আর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৩লাখ টাকা। কিন্তু হাওর রক্ষায় কোনো কাজেই আসবে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এমনি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের বালিজুরী নওয়াহাট গ্রামে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাহিরপুর উপজেলার দায়িত্বে থাকা এসও মনির হোসেন এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন আর মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে তিনি নিজেই এই প্রকল্পটি অনুমোদন করান বলেও অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়,২০১৭ সালের জেলার সব হাওর বন্যায় ডুবে যাওয়ার পর থেকে স্থানীয় কৃষকদের অংশগ্রহণে প্রকল্পের মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু কখনও বালিজুরি নওয়াহাট গ্রামের সামনে আঙ্গারুলি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ হয়নি আর কাজের প্রয়োজনও পড়েনি। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের পানি উন্নয়ন বোর্ড এই স্থানটিতে উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন বালিজুরি গ্রামের খলিল মিয়াকে ৭৩ নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি করে ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। যেখানে কোনো বরাদ্দের প্রয়োজন পড়েনি কোনো বছরেই। আর নামমাত্র মাঠি ফেলে এই বরাদ্দের টাকা পুরুটাই পকেটে ভরার পায়তারা চলছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়েই আলোচনা সমালোচনা চলছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,হাওর রক্ষা বাঁধের টাকা দিয়ে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ হবে। আর যেখানে কোনো সময়ই মাটির প্রয়োজন পড়ে না আর মাটিরও প্রয়োজন পড়ে না। সেখানে অপ্রয়োজনীয় পিআইসি দিয়ে টাকা লুটপাট করতেই এই আয়োজন করেছে। আর যে সড়কে মাটি ফেলা হয়েছে তা নামমাত্র। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

খোঁজ নিয়ে আরও জানাযায়,উপজেলায় পিআইসি গঠন ও বরাদ্দ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ছিল শুরু থেকেই। লিখিত অভিযোগ দিলেও দায়সারা ভাবে দু থেকে তিনটি অভিযোগ যাচাই বাছাই করে পদক্ষেপ নিলেও বেশির ভাগ পিআইসির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অপ্রয়োজনীয় পিআইসি গঠন করে লাখ লাখ টাকা অপচয়ের মহোৎসব চালাচ্ছে দায়িত্বশীলরা। ফলে হাওর রক্ষা বাঁধের অধিকাংশ কাজ এখনও শুরু হয়নি। এর ফলে হাওর পাড়ে কৃষক ও তাদের পরিবারে উৎবেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি বালিজুরি গ্রামের খলিল মিয়া জানিয়েছেন,প্রকল্পটি ফসল রক্ষা বাঁধের জন্য প্রয়োজনীয় একেই সাথে গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তাটি করায় খুবই উপকারী হবে।

আঙ্গারুলি হাওরপাড়ের বাসিন্দা বালিজুরি গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ফেরদৌস আলম,বালিজুরি গ্রামের সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করা হচ্ছে সেখানে মাটি ফেলার কোন প্রয়োজনই ছিল না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে।

এই পিআইসি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইন ক্ষোব প্রকাশ করে তিনি জানান,এখানে কোনো বরাদ্দের প্রয়োজন পড়ে না। হাওর রক্ষা বাঁধের টাকা দিয়ে গ্রামের সড়কের কাজ কোনো ভাবেই কাম্য নয়। অপ্রয়োজনীয় এই পিআইসি গঠন করে সরকারের টাকা অপচয় ও লুটপাট করার পাশাপাশি সরকারের ভার্বমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এখানে বাঁধ রক্ষা পিআইসি দেয়ার উদ্দেশ্য।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাহিরপুরের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, প্রতিটি পিআইসিই প্রয়োজনীয় কোনো অপ্রয়োজনীয় পিআইসি গঠন করা হয়নি। স্থানীয় মেম্বারের সুপারিশে এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন,অপ্রয়োজনীয় কোনো বাঁধ নির্মানে করার কোন সুযোগ নেই তারপরও আঙ্গারুলি হাওরে অপ্রয়োজনীয় স্থানে কি কারণে এই প্রকল্পটি নেয়া হল তার খোঁজ নিচ্ছি।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন জানান,এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।



বিষয়: #


আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)